যুদ্ধ, গণহত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে জাতীয় কবিতা উৎসব শুরু ১লা ফেব্রুয়ারি

Post Thumbnail

যুদ্ধ, গণহত্যাসহ সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ উচ্চারণ করা হবে ৩৬তম জাতীয় কবিতা উৎসবে। সেলক্ষ্যে এবারের উৎসবের স্লোগান নির্ধারণ করা হয়েছে, ‘যুদ্ধ গণহত্যা সহে না কবিতা’।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার সংলগ্ন হাকিম চত্বরে আগামী ১-২ ফেব্রুয়ারি ৩৬তম ‘জাতীয় কবিতা উৎসব-২০২৪’ অনুষ্ঠিত হবে। উৎসবে আর্জেন্টিনা, নেপাল, জার্মানি, ইরাক, ফিলিপাইনসহ বিভিন্ন দেশের কবিরা অংশ নেবেন। বরাবরের মতোই এবারের উৎসবের আয়োজক জাতীয় কবিতা পরিষদ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জাতীয় কবিতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তারিক সুজাত। তিনি জানান, বাংলাদেশ ছাড়াও বেশ কয়েকটি দেশের কবি ও কবিতাপ্রেমীরা উৎসবে একত্রিত হয়ে যুদ্ধ, গণহত্যাসহ সব অন্যায়ের প্রতিবাদ জানাবেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দুই দিনব্যাপী এই উৎসবের উদ্বোধন করবেন কবি নির্মলেন্দু গুণ। উৎসবে কবিতাপাঠ, নিবেদিত কবিতা, সেমিনার, আবৃত্তি ও সংগীতের মধ্য দিয়ে ‘যুদ্ধ গণহত্যা সহে না কবিতা’ স্লোগানকে মূর্ত করে তোলা হবে। উৎসবের দ্বিতীয় দিন বিকেলে জাতীয় কবিতা পরিষদ পুরস্কারপ্রাপ্ত কবির নাম ঘোষণা করবে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জাতীয় কবিতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তারিক সুজাত। তিনি বলেন, আয়োজন সফল করার জন্য ২৩টি উপকমিটি নিয়ে উৎসব পরিষদ গঠন করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, উৎসব পরিষদের সভাপতি কবি মুহাম্মদ সামাদ, সাধারণ সম্পাদক কবি তারিক সুজাত ও আহ্বায়ক কবি শিহাব সরকার। এবারের উৎসবের ঘোষণাপত্র লিখেছেন কবি আসলাম সানী। শোক প্রস্তাব পাঠ করবেন কবি আমিনুর রহমান সুলতান। এবারের কবিতা উৎসব উৎসর্গ করা হয়েছে কবি আসাদ চৌধুরী, কবি মোহাম্মদ রফিক, কবি জাহিদুল হক, কবি বুলবুল মহলানবীশ ও কবি হানিফ খানকে।

এবারের উৎসবের পোস্টার, ব্যাকড্রপ, স্যুভেনিরের প্রচ্ছদে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ও গণহত্যার ওপর ভারতীয় শিল্পী নীরেন সেনগুপ্তের আঁকা ছবি, ১৯৩৭ সালে পাবলো পিকাসোর আঁকা বিশ্ববিখ্যাত শিল্পকর্ম ‘গোয়ের্নিকা’ ও গাজায় চলমান হত্যাকাণ্ডের ওপর রাশিদ বাউহামিদির শিল্পকর্ম ‘মা ও শিশু’ ব্যবহার করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। উৎসব প্রাঙ্গণে ‘ফ্রি ওয়াই–ফাই’ থাকবে বলেও জানানো হয়।

সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তারিক সুজাত বলেন, প্রায় আটটি দেশের কবিরা কবিতা উৎসবে অংশ নেবেন। এর মধ্যে ১০ জন কবি সশরীর আসবেন। আর মিসরের কায়রোর আন্তর্জাতিক বইমেলা থেকে চারটি দেশের আটজন কবি অনলাইনে এই উৎসবে যুক্ত হবেন।

সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি মুহাম্মদ সামাদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের পক্ষের লোকদের কাছ থেকে যৎসামান্য অর্থ সংগ্রহ করে তাঁরা সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনা করেন। সংগঠনে তাঁরা নিরপেক্ষতা বজায় রাখার চেষ্টা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে কবিতা পরিষদের নেতা আসলাম সানী, দিলারা হাফিজ, নাসির আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।