বিশ্ব ইজতেমার ২য় দিন : লাখো মুসল্লির জমায়েতে মুখর তুরাগ তীর

Post Thumbnail

লাখো মুসল্লির জমায়েতে মুখর গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরের বিশ্ব ইজতেমা প্রাঙ্গণ। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ফজরের নামাজের পর সাধারণ-বয়ানের মধ্যদিয়ে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় দিনের আয়োজন। আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য নিজের ইমান, আমল ও আখলাককে পরিপূর্ণ শুদ্ধরূপে গড়ে তুলতে বয়ান শুনছেন ইজতেমার শীর্ষ আলেম ও মুরুব্বিরা। তাবলিগ-জামাতের সবচেয়ে বড় এ আয়োজনে যোগ দিতে দেশ-বিদেশ থেকে জড়ো হয়েছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।

টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমায় আজ শনিবার দ্বিতীয় দিনের আম বয়ান চলছে। আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য নিজের ঈমান (বিশ্বাস), আমল (কর্ম) ও আখলাককে (চরিত্র) পরিপূর্ণ শুদ্ধভাবে গড়ে তুলতে এই বয়ান শুনছেন ইজতেমার শীর্ষ আলেম ও মুরুব্বিরা।

ইজতেমা সূত্র জানিয়েছে, আগামীকাল রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েত বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। এদিন সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে আখেরি মোনাজাত সম্পন্ন হবে।

আখেরি মোনাজাতের আগে হেদায়েতি বয়ান করা হবে। আশা করা হচ্ছে, তাবলীগ জামাতের শীর্ষস্থানীয় মুরুব্বিদের পরামর্শের ভিত্তিতে বিশ্ব তাবলিগ জামাতের শীর্ষ মুরুব্বি বাংলাদেশের হাফেজ মাওলানা জুবায়ের আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন।

শনিবার সকালেই টঙ্গী শহর এবং ইজতেমাস্থল ও এর আশপাশের এলাকা যেন জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। টঙ্গীর তুরাগ তীর বিশ্ব ইজতেমায় আগত লাখ লাখ মুসল্লির পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে। শনিবারও টঙ্গী অভিমুখী বাস, ট্রাক, ট্রেন, লঞ্চসহ বিভিন্ন যানবাহনে ছিল মানুষের ভিড়। রোববার আখেরি মোনাজাতের আগ পর্যন্ত মানুষের এ ঢল অব্যাহত থাকবে।

এদিকে বার্ধক্যজনিত কারণে ইজতেমায় এসে গত রাতে মারা গেছেন আরও ৩ মুসল্লি। এ নিয়ে মারা গেলেন মোট ৭ জন।

যারা বয়ান করছেন :
বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় দিনের শুরুতে শনিবার বাদ ফজর মুসল্লিদের উদ্দেশে বয়ান করেন ভারতের মাওলানা আব্দুর রহমান, তার বয়ান বাংলায় তরজমা (অনুবাদ) করেন বাংলাদেশের মাওলানা আব্দুল মতিন।

বাদ জোহর বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা ইসমাইল গোদরা। বাদ আসর বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা জুহাইরুল হাসান। বাদ আসর যৌতুকবিহীন বিয়ে অনুষ্ঠিত হবে। বাদ মাগরিব বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা।

সকালে বয়ানে ওলামায়ে কেরাম বলেন, ‘পরকালের (আখেরাত) চিরস্থায়ী সুখ-শান্তির জন্য আমাদের সবাইকে দুনিয়াতে জীবিত থাকা অবস্থায় দ্বীনের দাওয়াতের কাজে জানমাল দিয়ে মেহনত (পরিশ্রম) করতে হবে। ঈমান-আমলের মেহনত ছাড়া কেউ হাশরের ময়দানে কামিয়াব (সফল) হতে পারবে না।’

বয়ানে আরও বলা হয়, ‘দাওয়াতের মেহনত হলো নবুওয়্যাতি মেহনত। এই মেহনত খুলুসিয়্যাত (আন্তরিকতা) ও আজমতের (সম্মান) সঙ্গে যারা করবে তাদের যেকোনো আমলের ফজিলত বহুগুণ বেড়ে যায়।’

ইজতেমায় মূল বয়ান উর্দুতে হলেও অংশ নেওয়া বিভিন্ন ভাষাভাষী মুসল্লিদের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে বাংলা, ইংরেজি, আরবি, তামিল, মালয়, তুর্কি ও ফরাসিসহ বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করা হয়।