রাজধানীতে ৮ জন পরিবহন চাঁদাবাজ ও ১ জন হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার

Post Thumbnail

রাজধানীর শ্যামপুর এলাকা হতে আবারও ০৮ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতারের খবর নিশ্চিত করেছে র‌্যাব-১০ এর মিডিয়া সেল।

গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে র‌্যাব-১০ এর একটি দল রাজধানী ঢাকার শ্যামপুর থানাধীন বালুরমাঠ এলাকায় অভিযান চালিয়ে আন্তঃজেলা ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, লরী ও সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহন হতে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করাকালীন আটজন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের নাম ১। মোঃ রিপন (৪২), পিতা- মৃত আলো, সাং- পাগলা, থানা- পটুয়াখালী সদর, জেলা- পটুয়াখালী ২। মোঃ ছাহিল (১৯), পিতা- হারুনুর রশিদ, সাং- রানিপুর, থানা- দোহার, জেলা- ঢাকা ৩। মোঃ রানা (২৯), পিতা- মোঃ হানিফ, সাং- নরসিংপুর, থানা- মুলাদী, জেলা- বরিশাল ৪। মোঃ রতন (২৮), পিতা- মৃত আশরাফ উদ্দিন, সাং- উল্টর ডামুড্যা, থানা- ডামুড্যা, জেলা- শরিয়তপুর ৫। মোঃ সুজন (২২) , পিতা- মোঃ আকবর, সাং- আলমবাগ, থানা- কদমতলী, ঢাকা। ৬। আরফান ইসলাম (১৯), পিতা- মোক্তার হোসেন মেরুন , সাং- পোস্তোগোলা রাজাবাড়ী, থানা- কদমতলী, ঢাকা ৭। মোঃ সুজন সিকদার (১৯), পিতা- মোঃ হারুন সিকদার , সাং- বালামগঞ্জ রায়পাড়া, থানা- দোহার, জেলা- ঢাকা ৮। মোঃ ইয়ামিন (১৯), পিতা- আঃ আলিম, সাং- পোস্তোগোলা রাজাবাড়ী, থানা- কদমতলী, ঢাকা। এসময় তাদের নিকট থেকে আদায়কৃত চাঁদা নগদ- ১,৬৫০/- (এক হাজার ছয়শত পঞ্চাশ) টাকা এবং তিনটি কাঠের লাঠি উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা বেশ কিছুদিন যাবৎ রাজধানীর শ্যামপুরসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় আন্তঃজেলা ট্রাক, কভার্ড ভ্যান, লরী ও সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহনের ড্রাইভার ও হেলপারদের সাথে অশোভন আচণের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে অবৈধভাবে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করে আসছিল বলে জানা যায়।

গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে।

অপরদিকে র‌্যাব-১০ এর অপর একটি দল একই দিনে বিকাল ৫:৪৫টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানাধীন চুনকুটিয়া এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার মামলা নং-১৭/১০৭১, তারিখঃ ১১/১২/২০২৩-খ্রিঃ, ধারাঃ ৩০২/৩২৩/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০; চাঞ্চল্যকর সাগর হত্যা মামলায় জড়িত তদন্তে প্রাপ্ত পলাতক আসামি মোঃ আরিফ হোসেন (২৪), পিতা-মোঃ মির্জা শাহীন, সাং-ডুলিহাটা, থানা-টঙ্গীবাড়ী, জেলা- মুন্সিগঞ্জ’কে গ্রেফতার করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, গ্রেফতারকৃত আসামি উক্ত হত্যাকাণ্ডের সাথে তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। সে উক্ত হত্যাকাণ্ডের পর নিজেকে আইনের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে ছিল বলে জানা যায়।

গ্রেফতারকৃত আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।