কালিগঞ্জে অবৈধভাবে মৎস্যঘের দখলে রাখার চেষ্টা শ্বশুর-জামাইয়ের

Post Thumbnail

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে অবৈধভাবে মৎস্যঘের দখলে রাখার চেষ্টা করছেন শ্বশুর-জামাই বাচ্চু সরদার ও বকুল। লিখিত কোনো ইজারাপত্র না থাকলেও জোরপূর্বক মৎস্যঘেরটি নিজের দখলে রাখছে বলে জানান জমির মালিকপক্ষ।

স্থানীয়ভাবে জানা যায়, সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার বুরেয়া মৌজার অর্ন্তগত ধলমারীতে ৫৫ দাগে ৪৩ বিঘা জমি জোর করে দখলে রেখে বাচ্চু সরদারও বকুল মৎস্যঘের করছেন। উপজেলার বরেয়া গ্রামের জাকির সরদার, তপু সরদার, বাপ্পী সরদার দিপু সরদাব, রওফুন ও লৎফুন নেছার উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া এই ৪৩ বিঘা জমি। ২০১৭ সাল থেকে বাচ্চু সরদারের অনেক অনুরোধে মৌখিকভাবে তাদের ইজারা দেওয়া হয়। কিন্তু ইজারা নেওয়ার ২/৩ বছর পর থেকে সে ঠিক মতো ইজারার টাকা পরিশোধ করেন না। ফলে জমির মালিকপক্ষ তাকে ঘের ইজারা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। অপরদিকে বাচ্চু সরদার ঘেরটি নিজে না করে তার জামাই বকুলের সহযোগিতায় দখলে রাখেন। মৎস্যঘের ছাড়তে বারবার ছাড়ার কথা বললে বিভিন্ন তাল বাহানা করেন। জমির মালিকপক্ষের দাবি বকুলকে তারা কখনো মৌখিক বা লিখিতভাবে ইজারা দেন নাই। বকুলের বৈধ কোনো কাগজপত্র না থাকলেও সে মিথ্যা-বানোয়াট ও বিভ্রান্তকর তথ্য সাংবাদিকদের দিয়ে খবর পত্রিকায় প্রকাশ করে। এরই মধ্যে মৎস্যঘেরের জমির মালিকপক্ষ ২০২০ সালে ২০২৪ সাল হতে তারালীর মিলনকে ইজারা দিয়েছে। কিন্তু তারা অবৈধভাবে জোর করে দখলে রাখায় ইজারাদারের কাছে হস্তান্তর করতে পারছে না।

মৎস্যঘেরের জমির মালিকপক্ষ তপু সরদার বলেন, চলতি সনেই বাচ্চু সরদারের সাথে তাদের মৌখিকভাবে দেওয়া মৎস্যঘেরের ইজারার মেয়াদ শেষ হয়। আমি বা আমারা জমির প্রকৃত মালিকগণ আর তার কাছে ঘের ইজারা দেব না। বারবার তাগাদা দেওয়া স্বত্বেও কোন কথা কর্ণপাত না করে উল্টো একপ্রকার গায়ের জোরে, অবৈধভাবে মৎস্য ঘেরটি নিজের আয়ত্ত্বে রাখার চেষ্টা করছে শ্বশুর-জামাই বাচ্চু সরদার ও বকুল। তারা অবৈধভাবে জোর করে দখলে রাখায় বর্তমানে ইজারাদারের কাছে হস্তান্তর করতে পারছি না। জমির মালিকগণ তাদের জমি সুষ্ঠুভাবে উদ্ধার পাওয়ার জন্য প্রসাসনের কাছে হস্তক্ষেপ কামনা করছে।

অবৈধভাবে মৎস্যঘেরটি নিজের দখলে রাখা বাচ্চু সরদার চলতি সনের কোন হারির টাকা পরিশোধ করা হয় নি স্বীকার করে বলেন, জমির মালিকপক্ষের সাথে মৌখিকভাবে ইজারা নেওয়া হয় কোন কাগজপত্র ছাড়া। তাদেরকে প্রতিবছরই জমির হারির টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। এবছর তাদের সাথে একটু বনিবনা হচ্ছে না কোন কারণে। তবে দু-একদিনের মধ্যে মিটমাট হয়ে যাবে বলে জানান বাচ্চু সরদার।

অবৈধভাবে দখলে রাখা মৎস্যঘেরের জমির মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে থানায় কেন অভিযোগ করা হল বললে বাচ্চু সরদার জানান এটা আমার জানা নাই। অভিযোগটি আমার জামাই বকুল করেছে।