বাঘায় টিসিবি'র লাইনে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ৬

Post Thumbnail

রাজশাহীর বাঘায় বাংলাদেশ ট্রেডিং কর্পোরেশন (টিসিবি)-এর পণ্য বিতরণের সময় লাইনে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার বাউসা ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ৬ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

জানা যায়, বুধবার সকালে বাউসা ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে টিসিবি’র পণ্য নিতে বাউসা হেদাপতিপাড়া ও বাউসা ভাড়ালীপাড়া গ্রামের কার্ডধারীরা লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। এ সময় ভাড়ালীপাড়া গ্রামের রাজিব হোসেন নামের একজন কার্ডধারী লাইনের সামনে যেতে চাইলে হেদাতিপাড়া গ্রামের গোলাম রাব্বি কাজল তাকে সামনে যেতে বারণ করেন। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ খবর দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া। এতে দুই গ্রামের ৬ জন আহত হয়। পরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদের নেতৃত্বে দলীয় কার্যালয়ে শালিস করতে গেলে সেখানেও ফের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় বাউসা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের চেয়ার-টেবিল ভাংচুর করা হয়। এ ঘটনায় টিসিবি’র পণ্য বিতরণ বন্ধ থাকে।

খবর পেয়ে বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম পুলিশ প্রশাসন সাথে করে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে ফের টিসিবি পণ্য বিতরণ করেন।

আহতরা হলেন- বাউসা হেদাতিপাড়া গ্রামের নওফেল প্রামানিকের ছেলে গোলাম রাব্বি কাজল (২৫), আবদুল মজিদ প্রামানিকের ছেলে খোরশেদ আলম (৪০) ও সুরাপ আলী প্রামানিকের ছেলে হুমায়ন কবির (৪০)। তাদের উদ্ধার করে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। অপর দিকে বাউসা ভাড়ালিপাড়া গ্রামের সাদু প্রামানিকের ছেলে শারুফ (২৩), ফজলুল হকের ছেলে হৃদয় (২২) ও অন্তরকে (২২) গুরুতর আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়, টিসিবি পণ্য নেওয়ার লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে প্রথমে তর্কবিতর্ক হয়। এ সময় ভাড়ালীপাড়া গ্রামের রাজিব হোসেনের নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের একটি দল এসে হেদাতিপাড়া গ্রামের লোকজনের উপর হামলা করে। অপর দিকে ভাড়ালীপাড়া গ্রামের রাজিব হোসেন দাবি করেন, হেদাতিপাড়া গ্রামের কার্ডধারীরা লাইনের আগে যাওয়াকে কেন্দ্র করে তর্কবির্তকের সূত্রপাত ঘটায়। এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়।

এ বিষয়ে বাঘা উপজেলা নির্বাহী অফিসার তরিকুল ইসলাম জানান, আমি সকাল ১০টার সময় বাউসা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে উপস্থিত থেকে টিসিবি পণ্য বিতরণ কার্যক্রম শুরু করে সেখান থেকে অফিসে চলে আসি। এরপরে সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে ফের ১২টায় সেখানে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে পুণরায় পণ্য বিতরণ শুরু করি।

এ বিষয়ে বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) বলেন, টিসিবি পণ্য নেওয়ার লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ছিলাম। এ বিষয়ে ৪টি মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতার অভিযান অব‍্যাহত রয়েছে।