বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫ অডিট আপত্তি, ৩ কোটি টাকার অনিয়ম

Post Thumbnail

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) বিরুদ্ধে মোট ১৫ অডিট আপত্তি দিয়েছে শিক্ষা অডিট অধিদপ্তর। এর মধ্যে সাধারণ আপত্তি ৮টি, আর অগ্রিম আপত্তি ৭টি। অগ্রিম আপত্তির ৭টিতে ২ কোটি ২৮ লাখ ৯৬ হাজার টাকা এবং সাধারণ আপত্তির ৮টিতে পরিমাণ ১ কোটি ১৩ লাখ ৩ হাজার টাকা। মোট ১৫টি আপত্তির বিপরীতে ৩ কোটি ৪১ লাখ ৯৯ হাজার টাকার অনিয়ম দেখানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন-২০২২ থেকে এই তথ্য পাওয়া যায়।

শিক্ষা অডিট অধিদপ্তরের সূত্র জানায়, বিভিন্ন সময়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে যে অডিট আপত্তিগুলো দেওয়া হয়েছে, তার অধিকাংশই গুরুতর আর্থিক অনিয়ম, যা ধরণ হিসেবে অগ্রিম উল্লেখ করা হয়েছে। এ আপত্তিগুলোর ক্ষেত্রে সাধারণত সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার সুপারিশ করা হয়। এ ক্ষেত্রেও একই ধরনের সুপারিশ করেছে শিক্ষা অডিট অধিদপ্তর।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব বিভাগের উপ-পরিচালক সুব্রত কুমার বাহাদুর জানান, ‘এগুলো একেবারে ফরমাল অডিট। অনেক বিষয় আছে যেগুলো আসলে ফরমালিটিজের জন্য দেয়া। এগুলো তেমন কোনো ইস্যু না। এ ধরণের প্রতিবেদন অনেক আগে থেকেই শিক্ষা অধিদপ্তর দিয়ে আসছে।’

উল্লেখ্য, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের যে অডিট আপত্তি দেখানো হয়েছে সেটি ২০২০-২০২১ সালের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। তৎকালীন সময়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্বে ছিলেন অধ্যাপক ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন।