সদরঘাটে লঞ্চের রশি ছিঁড়ে পাঁচজনের মৃত্যু

Post Thumbnail

সদরঘাটে লঞ্চে উঠতে গিয়ে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালো পাঁচজন যাত্রীর। এ ঘটনায় আরো কয়েকজন আহত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মর্গের সামনে মৃত ব্যক্তিদের আত্মীয়-স্বজনরা আহাজারি করে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকার সদরঘাটে বাঁধা একটি লঞ্চের রশি ছিঁড়ে পাঁচজন যাত্রী নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে একটি শিশু ও এক নারী রয়েছেন। রাজধানীর সদরঘাটে লঞ্চ দুর্ঘটনায় নিহত পাঁচজনের মধ্যে একই পরিবারের তিনজন রয়েছেন। ঈদের দিনে লঞ্চে করে বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে সদরঘাটে এসেছিলেন তারা। তবে বাড়ি ফেরার আগেই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান।

নৌ পুলিশের পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) আশিক সাঈদ পাঁচজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে দুর্ঘটনা সম্পর্কে ফায়ার সার্ভিস জানায়, সদরঘাটের ১১ নম্বর পল্টুনে এমভি তাশরিফ-৪ ও এমভি পূবালী-১ নামের দুটি লঞ্চ রশি দিয়ে বাঁধা ছিল। বেলা তিনটার কিছুক্ষণ আগে এ দুটি লঞ্চের মাঝখান দিয়ে ফারহান নামের আরেকটি লঞ্চ পন্টুনে ঢোকার সময় এমভি তাশরিফ-৪ লঞ্চের রশি ছিঁড়ে গেলে লঞ্চে ওঠার সময় পাঁচজন যাত্রী গুরুতর আহত হন।

গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তাদের স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন বলে পুলিশ সুপার আশিক সাঈদ জানিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে তিনজন পুরুষ, একজন নারী ও একজন শিশু রয়েছে।

নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের তিনজন হলেন- পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার মো. বেলাল (৩০), তার স্ত্রী মুক্তা (২৪) এবং তাদের চার বছর বয়সী মেয়ে মাইশা। নিহত অন্যরা হলেন- ঠাকুরগাঁওয়ের রবিউল (১৯) ও পটুয়াখালীর রিপন হাওলাদার (৩৮)।

ঢাকা নদী বন্দর সদরঘাটের ট্রাফিকের যুগ্ম-কমিশনার জয়নাল আবেদীন জানান, দুর্ঘটনায় আহত বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করে রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেছেন, ঘটনাটি তদন্ত করে এই মৃত্যুর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা হবে।

নৌপুলিশের সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, ঢাকা থেকে ভোলাগামী তাশরিফ-৪ লঞ্চের ধাক্কায় ৫ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। লঞ্চটি ঘাটে বেঁধে রাখা ছিল। হঠাৎ পাশের লঞ্চের ধাক্কা লাগলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।