বড় কোন সহিংসতা ছাড়াই ভোট গ্রহণ সম্পন্ন, চলছে গণনা

Post Thumbnail

শামীম-উল-আলম : দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে চট্টগাম ও মুন্সিগঞ্জ জেলার একটি করে আসনে সহিংসতার ঘটনা ছাড়া সারাদেশে মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবেই ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে টানা ভোট গ্রহণ।নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, সারাদেশে গড়ে ৪০ শতাংশ ভোটার তাদের নিজ পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে সাথে নিয়ে সকাল ৮টা ১০ মিনিটে ধানমন্ডির ঢাকা সিটি কলেজ কেন্দ্রে ভোট দেন। এরপর সাংবাদিকদের দেয়া ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, বিএনপি হচ্ছে সন্ত্রাসী দল। তাদের ভোট বর্জনের আহ্বান মানুষ প্রত্যাখান করেছে। তিনি আবারও সরকার গঠনের বাপারে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা গুলশান মডেল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে ভোট দিতে আসেন।

এদিকে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে চট্টগ্রাম-১৬ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমানের প্রার্থীতা বতিল করা হয়।

সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকেই তীব্র শীত উপেক্ষা করে ভোটাররা নিজ নিজ সিরিয়াল নাম্বার সংগ্রহ করে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে ভোট দিচ্ছেন। গ্রামের ভোটকেন্দ্রগুলোতে নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য। তবে, গ্রামের তুলনায় শহরে ভোটারের উপস্থিতি তুলনামূলক কম ছিল।

এ পর্যন্ত সারাদেশে মোট ৩৭টি স্থানে গোলযোগের খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের মিরকাদিম এলাকায় প্রতিপক্ষের হামলায় নৌকা মার্কার এক কর্মী নিহত হযেছেন।

সারাদেশে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ৮টি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে এবং ২৭ জন প্রার্থী ভোট বর্জন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।

জালভোট, ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদান এবং অর্থ লেনদেনের অভিযোগে প্রিজাইডিং অফিসারসহ ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে ২ জনকে ২ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অপর একজনকে ছয় মাসের সাজা প্রদান করা হয়।