নওগাঁ জেলার পোরশা উপজেলায় বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে একজন নিহত ও একজন আহত হয়েছেন।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে ঘন কুয়াশার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পুলিশ জানিয়েছে, আহত ব্যক্তির অবস্থা আশঙ্কাজনক। দুর্ঘটনাটি ঘটে সকাল ৮টার দিকে শিশা বাজারের ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায়।
স্থানীয়রা জানান, পোরশা উপজেলার নিতপুর থেকে কিছু যাত্রী নিয়ে বাসটি নওগাঁ শহরের দিকে যাচ্ছিল। শিশা বাজারে পৌঁছানোর পর ঘন কুয়াশার কারণে চালক সামনে কিছুই দেখতে না পাওয়ায় বাসটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এতে একজন নিহত হন এবং একজন গুরুতর আহত হন।
নিহত ব্যক্তির নাম মোছাম্মদ রুবিয়া বেগম (৫৫)। তিনি আমদা গ্রামের মোহাম্মদ জিল্লুর রহমানের স্ত্রী।
পোরশা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহিন রেজা গণমাধ্যমকে জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে পোরশা থানা কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ ময়নাতদন্ত না করেই তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
পোরশা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন অফিসার জানান, দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি উদ্ধারের প্রক্রিয়া চলছে, তবে আহত ব্যক্তির নাম পরিচয় জানা যায়নি।
রাজধানীর ধানমণ্ডির বিজিবি সীমান্ত সম্ভার শপিং কমপ্লেক্সের একটি স্বর্ণের দোকানে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. রুবেল (২৮), সফিক ওরফে সোহেল (৩৫) এবং সাদ্দাম হোসেন (৩১)। এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া ৫০ ভরি আট আনা স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, ধানমণ্ডি মডেল থানাধীন ‘ক্রাউন ডায়মন্ড এন্ড জুয়েলার্স’ শোরুমে গত ৩ জানুয়ারি বেলা ১টার দিকে চুরির ঘটনা ঘটে। চোরচক্র অভিনব পদ্ধতিতে শো-রুমের তালা ও সাটার কেটে মাত্র আট মিনিটের মধ্যে ১৫৯ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। দোকানের মালিক কাজী আকাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকারের আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়।
মামলার প্রেক্ষিতে ডিবি পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ৯ জানুয়ারি থেকে ডিবি পুলিশ ধারাবাহিক অভিযান চালায়। কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে প্রথমে মো. রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লার দেবীদ্বার থেকে সফিক ওরফে সোহেল এবং মুরাদনগর থেকে সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ২৮ ভরি ১৪ আনা আসল স্বর্ণ এবং ২১ ভরি ১০ আনা গলিত স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। ডিবি সূত্রে আরও জানা যায়, চুরির ঘটনায় জড়িত চক্রের অন্যান্য সদস্যদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেফতার ও অবশিষ্ট স্বর্ণ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ডিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান পিপিএম জানান, এই চক্র অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পরিকল্পনা করে চুরি সংঘটিত করে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে জনগণের আস্থা অক্ষুণ্ণ রাখতে সক্ষম হয়েছে।
চড়া দামের কারণে নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত অনেক মানুষ পুরো এক কেজি মাংস কিনতে পারছে না। এমন ক্রেতাদের সুবিধার্থে এবার ২৫০ গ্রাম গরুর মাংসও বিক্রি হবে নওগাঁর পোরশায়। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ন্যায্যমূল্যের দোকানে গরুর মাংস বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ই ডিসেম্বর) সকাল আটটার দিকে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফ আদনান।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সহযোগিতায় ও জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আউয়ালের নির্দেশে ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস বিক্রির এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ সময় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে ইউ এন ও আরিফ আদনান বলেন, জেলা প্রশাসকের দিকনির্দেশনায় ন্যায্য মূল্যের মাংসের দোকান চালু করা হয়েছে । এই দোকানে প্রতি কেজি ৬০০ টাকা দরে ক্রেতাগণ কিনতে পারবেন এবং গরিব জনগণ ২৫০ গ্রাম থেকে গরুর মাংস কিনতে পারবেন বলে জানান ইউ এন ওআরিফ আদনান।