ঠাকুরগাঁওয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকছে জেলা। এতে জেকে বসেছে শীত। তীব্রতাও অনেক বেশি। শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় কুয়াশার কারণে গত ৫/৭ দিন থেকে ঠিকমতো সূর্যের দেখা মিলছে না। দুপুরের পর কোন কোন দিন সূর্য উঠলেও বেশি তীব্রতা থাকছে না। এতে করে বিভিন্ন বয়সী মানুষজন সমস্যায় পড়েছেন। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন। প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া ঘর থেকে তেমন বের হচ্ছেনা সাধারণ মানুষ। এ অবস্থায় গরম কাপড়ের দোকানগুলিতে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। তবে সুযোগ বুঝে বিক্রেতারা কাপড়ের দামও হাঁকাচ্ছেন বেশি বলে ক্রেতারা জানিয়েছেন।
প্রায় প্রত্যেকদিন সকাল থেকে দেখা যায়, মহাসড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাফেরা করছে। এ কয়েকদিনের প্রচণ্ড শীতে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। এর মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধ রোগীর সংখ্যা বেশি। প্রতিদিন রাত ৮টার মধ্যেই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে গ্রাম-গঞ্জ ও শহরের হাট বাজারগুলো। শীত নিবারণের জন্য গরম কাপড় কিনতে পুরোনো কাপড়ের দোকানগুলোতে ভিড় করছেন অনেকেই।
এর মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার পৌর শহরের রোড যুব সংসদ মাঠে গিয়ে দেখা যায়, নারী-পুরুষ, শিশুরা ভিড় জমিয়েছেন। তারা প্রয়োজনীয় শীতের কাপড় কিনছেন সেখানে। ১০ টাকা থেকে শুরু করে ৫ হাজার এমনকি ১০ হাজার টাকা দামির কাপড় বিক্রি হচ্ছে সেখানে।
শহরের সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে শীতের শুরুর দিকে হর্কাস মার্কেট বসলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সেটি আর বসছে না। ফলে ঠাকুরগাঁও রোড যুব সংসদ মাঠে পুরাতন গরম কাপড়ের দোকানে ভিড় হচ্ছে বেশি।
রোড যুব সংসদ মাঠে কাপড় কিনতে আসা রুহিয়া এলাকার বাসিন্দা মো. এরশাদ আলী জানান, এখানে নিজের জন্য এবং পরিবারের মানুষজনের জন্য প্রয়োজনীয় শীতের কাপড় কিনতে এসেছেন তিনি। শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে ভেবে তিনি এখানে কাপড় কিনছেন। ভালো মানের কাপড় এখানে পাওয়া যায় বলে জানান তিনি।
গরম কাপড় ব্যবসায়ী মো. সাগর জানান, এ বছর নিত্য নতুন, ভালোমানের শীতের গরম কাপড়ের দোকান বসেছে। ক্রেতারা উন্নত মানের যাবতীয় কাপড় সংগ্রহ করতে পারবেন এবং এখনকার মতো শীত থাকলে বেচাকেনা আরও বাড়বে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি।
শীতে কাজ করতে অসুবিধা হওয়ায় অনেকটা বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। এ অবস্থায় কাজে যোগদান করতে না পেরে অসহায় হয়ে পড়েছেন তারা। সেই সাথে শীতে জড়ো-সড়ো হয়ে গেছে গবাদি পশুও। কেউ কেউ আবার খড়-কুটোতে আগুন জ্বালিয়ে করছেন শীত নিবারণের চেষ্টা। ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জেলায় সর্বোচ্চ ২৪ ডিগ্রি ও সর্বনিম্ন ৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
জেলা প্রশাসন ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে কিছু কিছু স্থানে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে। তবে শীত যত বাড়বে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তর ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন এ অঞ্চলের নিম্ন আয়ের মানুষজন।
রাজধানীর ধানমণ্ডির বিজিবি সীমান্ত সম্ভার শপিং কমপ্লেক্সের একটি স্বর্ণের দোকানে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. রুবেল (২৮), সফিক ওরফে সোহেল (৩৫) এবং সাদ্দাম হোসেন (৩১)। এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া ৫০ ভরি আট আনা স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, ধানমণ্ডি মডেল থানাধীন ‘ক্রাউন ডায়মন্ড এন্ড জুয়েলার্স’ শোরুমে গত ৩ জানুয়ারি বেলা ১টার দিকে চুরির ঘটনা ঘটে। চোরচক্র অভিনব পদ্ধতিতে শো-রুমের তালা ও সাটার কেটে মাত্র আট মিনিটের মধ্যে ১৫৯ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। দোকানের মালিক কাজী আকাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকারের আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়।
মামলার প্রেক্ষিতে ডিবি পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ৯ জানুয়ারি থেকে ডিবি পুলিশ ধারাবাহিক অভিযান চালায়। কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে প্রথমে মো. রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লার দেবীদ্বার থেকে সফিক ওরফে সোহেল এবং মুরাদনগর থেকে সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ২৮ ভরি ১৪ আনা আসল স্বর্ণ এবং ২১ ভরি ১০ আনা গলিত স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। ডিবি সূত্রে আরও জানা যায়, চুরির ঘটনায় জড়িত চক্রের অন্যান্য সদস্যদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেফতার ও অবশিষ্ট স্বর্ণ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ডিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান পিপিএম জানান, এই চক্র অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পরিকল্পনা করে চুরি সংঘটিত করে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে জনগণের আস্থা অক্ষুণ্ণ রাখতে সক্ষম হয়েছে।
চড়া দামের কারণে নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত অনেক মানুষ পুরো এক কেজি মাংস কিনতে পারছে না। এমন ক্রেতাদের সুবিধার্থে এবার ২৫০ গ্রাম গরুর মাংসও বিক্রি হবে নওগাঁর পোরশায়। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ন্যায্যমূল্যের দোকানে গরুর মাংস বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ই ডিসেম্বর) সকাল আটটার দিকে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফ আদনান।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সহযোগিতায় ও জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আউয়ালের নির্দেশে ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস বিক্রির এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ সময় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে ইউ এন ও আরিফ আদনান বলেন, জেলা প্রশাসকের দিকনির্দেশনায় ন্যায্য মূল্যের মাংসের দোকান চালু করা হয়েছে । এই দোকানে প্রতি কেজি ৬০০ টাকা দরে ক্রেতাগণ কিনতে পারবেন এবং গরিব জনগণ ২৫০ গ্রাম থেকে গরুর মাংস কিনতে পারবেন বলে জানান ইউ এন ওআরিফ আদনান।