বিনোদন

বিনোদন

নামাজ পড়, আল্লাহর কাছে শান্তি চাও : রিপাকে বর্ষার পরামর্শ

শোবিজ ইন্ডাস্ট্রি ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন চিত্রনায়িকা রাজ রিপা। শুধু চলচ্চিত্র নয়, ইট-কাঠের শহর ছেড়ে যাওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি। নির্মাতা ইফতেখার চৌধুরীর সঙ্গে নানা কারণে বিরোধের প্রেক্ষাপটে এই ক্ষোভের কথা ফেসবুকে প্রকাশিত হয়েছে বহুবার এবং তৈরি করেছে বিতর্কও।

রাজ রিপার এই অভিমানের বিষয়টি এবার সামনে এনেছেন সহকর্মী চিত্রনায়িকা আফিয়া নুসরাত বর্ষা। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) নিজের ফেসবুক পোস্টে বর্ষা লিখেছেন, ‘স্বপ্ন মাটি চাপা দিবা দাও, কিন্তু এমন স্বপ্ন মাটি চাপা দিও না— যে স্বপ্ন জেগে আছে, কিন্তু ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। তোমার জীবনের সিদ্ধান্ত তোমাকেই নিতে হবে। যার কেউ নেই, তার জন্য আল্লাহ আছেন। তোমার মতো কেউ কেউ এমন কঠিন জীবন যাপন করছে এই মিডিয়ায় তা তুমি-আমি ভালো করে জানি।’

বর্ষা আরও যোগ করেন, ‘ভালো মন, নরম মনের মেয়েদের জন্য এই রঙিন জীবন নয়, রিপা! চামড়া শক্ত, শতশত নেতিবাচক মন্তব্যকে পাত্তা দেয় না— তারাই এই দুনিয়ায় টিকে থাকে। নামাজ পড়, আল্লাহর কাছে শান্তি চাও।’

রিপার চলমান ‘মুক্তি’ সিনেমার প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন বর্ষা। তিনি বলেন, ‘আমি নিজেও গিয়েছিলাম ‘মুক্তি’ সিনেমার মহরতে। অবাক হই—এখনও কেন শুটিং শেষ হয়নি? মনে আছে, ২০২০ সালের শেষের দিকে মহরত হয়েছিল। নতুন শুরু করো, নতুন স্বপ্ন দেখো। হেরে যাওয়া কোনো সমাধান নয়।’

রাজ রিপার উদ্দেশে বর্ষা আরও পরামর্শ দেন, ‘বয়স তো এখনও কম, সামনে অনেক সময় রয়েছে। নিজেকে নতুন করে সাজাও। তুমি ব্যর্থ নও, ব্যর্থ সেই যে তাঁর ওয়াদা রাখতে পারেনি।’

 

শেয়ার
পরবর্তী খবর

জয়ার ‘ফেরেশতে’ আসছে ১৯ সেপ্টেম্বর

দীর্ঘ তিন বছরের অপেক্ষার পর অবশেষে মুক্তি পাচ্ছে বাংলাদেশ-ইরান যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র ‘ফেরেশতে’। ইরানি নির্মাতা মুর্তজা অতাশ জমজম পরিচালিত ছবিটি ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে দেশের সব সিনেপ্লেক্সে প্রদর্শিত হবে।

প্রান্তিক মানুষের জীবনের গল্প নিয়ে নির্মিত ছবিতে অভিনয় করেছেন জয়া আহসান। বর্তমানে কলকাতায় অবস্থান করা এই অভিনেত্রী ব্যক্তিগত কাজ শেষে এই সপ্তাহেই ঢাকায় ফিরবেন। এরপর ছবির প্রচারণায় অংশ নেবেন তিনি।

জয়া বলেন, ‘আমাদের দেশের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের ভেতরের সংগ্রামী ও সাহসী চরিত্রের একজনকে ফুটিয়ে তোলা বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল। তবে পুরো টিমের সহযোগিতায় কাজটি ভালোভাবে শেষ করতে পেরেছি।’

‘ফেরেশতে’ ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক পরিসরে প্রশংসিত হয়েছে। ছবিটি ফজর চলচ্চিত্র উৎসবে মানবিক বার্তার জন্য জাতীয় পুরস্কার জিতেছে। এছাড়া ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৪-এর উদ্বোধনী ছবি হিসেবে প্রদর্শিত হয়েছিল এবং গোয়া আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবেও প্রশংসা কুড়িয়েছে।

ছবির প্রধান অভিনেতা ও প্রযোজক সুমন ফারুক বলেন, ‘এই চলচ্চিত্রে সমাজের প্রান্তিক মানুষের গল্প উঠে এসেছে, যা সহজে উচ্চবিত্তরা উপলব্ধি করতে পারে না। আশা করছি, দেশীয় দর্শকও ছবিটিকে আন্তরিকভাবে গ্রহণ করবেন।’

চলচ্চিত্রটিতে জয়া আহসান ও সুমন ফারুক ছাড়াও অভিনয় করেছেন শহীদুজ্জামান সেলিম, শাহেদ আলী, রিকিতা নন্দিনী শিমু, শাহীন মৃধা ও শিশুশিল্পী সাথী। চিত্রনাট্য লিখেছেন মুমিত আল-রশিদ, আর ফারসি ও বাংলা অনুবাদ করেছেন ফয়সাল ইফরান।

No photo description available.

বাংলাদেশি দর্শকদের জন্য এ ছবিটি একদিকে হবে সামাজিক বার্তাবহ, অন্যদিকে আন্তর্জাতিক মানের একটি ভিন্নধর্মী অভিজ্ঞতা।

শেয়ার
পরবর্তী খবর

সোশ্যাল অ্যাকটিভিস্ট হতে চান শবনম ফারিয়া

অভিনয়ে নিয়মিত না হলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব উপস্থিতি বজায় রেখেছেন লাক্সকন্যা শবনম ফারিয়া। শুধু শোবিজ ইস্যুই নয়, সামাজিক, রাজনৈতিক ও সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়েও খোলামেলা মতামত দিয়ে আসছেন এই অভিনেত্রী। নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে জানিয়ে তিনি বললেন, রাজনীতি নয়, বরং সোশ্যাল অ্যাকটিভিজমকেই ভবিষ্যতে বেছে নিতে চান তিনি।

শবনম ফারিয়ার ভাষায়, ‘ভবিষ্যতে নিজেকে একজন সোশ্যাল অ্যাকটিভিস্ট হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আমি একজন শিল্পী, সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনের অংশ হতে চাই। রাজনীতি আমার মঞ্চ নয়। ভালোকে ভালো, খারাপকে খারাপ, চোরকে চোর আর চাঁদাবাজকে চাঁদাবাজ বলাই আমার নীতি।’

ব্যক্তিগত জীবনে কঠিন সময় পার করা প্রসঙ্গেও খোলামেলা ছিলেন তিনি। বললেন, ‘অপ্রয়োজনীয় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসার ইচ্ছে আমার কখনোই ছিল না। তা না হলে অভিনয়ের পাশাপাশি চাকরি না করে টিকটকে নাচতাম, জিম করতাম, কিংবা মিরর সেলফি দিতাম। এই দেশে অ্যাটেনশনের জন্য খুব বেশি কষ্ট করতে হয় না, আমিও জানি, আপনারাও জানেন।’

রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি দূর করতেও দৃঢ় ভাষায় বক্তব্য রাখেন ফারিয়া। তার স্পষ্ট ঘোষণা— ‘বর্তমানে বাংলাদেশে যেসব রাজনৈতিক দল আছে বা সম্প্রতি নিষিদ্ধ হয়েছে, তাদের কারোর সঙ্গেই আমার কোনো সমর্থন নেই। আমার ফেসবুক পেজ পাবলিক। সেখানে যেমন কালা মাগুর কমেন্ট করতে পারে, তেমনি নীল তিমি, কাউয়া কিংবা টিয়াও পারে। এতে আমার রাজনৈতিক আদর্শ প্রতিফলিত হয় না। আমি কোনো রাজনৈতিক চরিত্র নই।’

অভিনয়ে অনিয়মিত হলেও নিজের অবস্থান, চিন্তাভাবনা আর খোলামেলা বক্তব্যের জন্যই শবনম ফারিয়া আলোচনায় থাকেন প্রায়ই। রাজনীতির বাইরে থেকেও তিনি বিশ্বাস করেন, সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব। আর সেই পরিবর্তনের লড়াইয়েই সক্রিয় থাকতে চান তিনি।

শেয়ার
সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত