রাজীবপুরে হাটের টোল আদায়ে বাধা

Post Thumbnail

রুহুল সরকার, রাজীবপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : রাজীবপুর উপজেলার নয়াচর হাটবাজারের খাজনা (টোল) আদায়ে বাধা দেওয়ায় অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও রাজীবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে হাটের ইজারাদার রফিকুল ইসলাম।

লিখিত অভিযোগ ও রফিকুলের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের জন্য ১১ লাখ টাকায় মোহনগঞ্জ ইউনিয়নের নয়াচর হাটের ইজারার দায়িত্ব পান রফিকুল। সরকার নির্ধারিত হারেই তিনি খাজনা (টোল) আদায়ে করছিলেন। সপ্তাহে দুই দিন শনিবার ও মঙ্গলবার হাট বসে বাজারটিতে।

গত কয়েক মাস থেকে তাকে খাজনা তুলতে বাধা এবং ভয়ভীতি দেখাতে থাকেন স্থানীয় গোলাম হোসেন, আলামিন, আলম হোসেন, জিয়াউর রহমান, দুলাল হোসেন ও মোসলিম উদ্দিম।

গত ৯ জানুয়ারি মঙ্গলবার হাটে খাজনা তোলার দায়িত্বে থাকা ইসমাইল হোসেন, ফিরোজ মিয়া ও রাসেল মিয়াকে বাধা দেয়া হয় এবং কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাদের তিনজনকে কিল-ঘুষি ও মারপিট শুরু করে গোলাম হোসেনের অনুসারীরা।

পরে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তাদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয় এবং বিষয়টি মিমাংসা করার উদ্যোগ নেয় ওই বাজার পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ।

গত তিন দিনেও বাজার পরিচালনা কমিটি বিষয়টির কোন সমাধান করতে পারেনি।

মারপিটের শিকার ইসমাইল হোসেন বলেন,মঙ্গলবার হাটে খাজনা তুলছিলাম আলামিন, আলম হোসেন, জিয়াউর, দুলাল, মোসলিম আইসা খাজনা তোলা বন্ধ কইরা দিলো। আমরা নিষেধ করলেও আমাগো কিল-ঘুষি ও মারপিট শুরু করে। পরে বাজারের মানুষ আমাগোরে বাঁচায়।

ইজারাদার রফিকুল ইসলাম বলেন টাকা দিয়ে হাট নিলাম, গত ২ মাস থেকে আমার লোকদের খাজনা তুলতে দেয় না। প্রতি হাটে আমার কয়েক হাজার টাকা লোকসান হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকতে আমার ইজারার টাকাই উঠবে না কয়েক লাখ টাকা লোকসান হবে।

নয়াচর হাটের ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সিরাজুল মুন্সি বলেন, গত হাটে খাজনা তোলা নিয়ে বিরোধ হয়েছে। বিষয়টি আমরা মিমাংসার জন্য দুই পক্ষকে নিয়ে বসতে চেয়েছিলাম। গোলাম হোসেনদের ডাকলে তারা আসেনি।

বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত গোলাম হোসেনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে রাজীবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ঢুষমারী থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন সরেজমিন তদন্ত করে এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।