সিরাজদিখানে নয়ন হত্যা চেষ্টা মামলার আসামি নুর আলম গ্রেফতার

Post Thumbnail

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান এলাকায় নৃশংসভাবে কুপিয়ে হাত বিচ্ছিন্ন করে হত্যা চেষ্টার চাঞ্চল্যকর মামলার অন্যতম প্রধান আসামি জয়নালের পর আরেক পলাতক অন্যতম প্রধান আসামি নুর আলমকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

র‌্যাব-১০ এর উপপরিচালক আমিনুল ইসলাম গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান এলাকার চিত্রকোট ইউনিয়নে বসবাসকারী নয়ন (২৩) চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন রাত ৮:১৫টায় তার স্ত্রীর জন্য ঔষধ নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে চিত্রকোট এলাকার একটি পাকা রাস্তার উপর পৌঁছানো মাত্র আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা মোঃ নুর আলম তার অন্যান্য সহযোগীদের নিয়ে পূর্বপরিকল্পিতভাবে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে নয়নকে রাম দা দিয়ে এলোপাথারিভাবে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে এবং বাম হাতের কব্জির নিচে আঘাত করে হাত বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। আক্রান্ত নয়নের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা ভিকটিম নয়নকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বিচ্ছিন্ন হাতের কাটা অংশ নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় নয়নের মা পারভীন আক্তার বাদী হয়ে মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান থানায় মোঃ নুর আলমসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৪/৩২৬/৩০৭/ ৫০৬/১১৪/৩৪ ধারায় একটি হত্যা চেষ্টার মামলা দায়ের করেন (মামলা নং- ০২/২)। ইতোমধ্যে ঘটনাটি বিভিন্ন সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম এবং বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রকাশিত হলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। এই নৃশংস ঘটনার প্রেক্ষিতে গত ১৬ জানুয়ারি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া থানাধীর গেমাডাঙ্গা এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে এই হত্যা চেষ্টার ঘটনায় সরাসরি জড়িত আরেক পলাতক আসামি মোঃ জয়নাল (৩৫), পিতা-মৃত আব্দুল হাদী, সাং-খালপাড়, থানা-সিরাজদিখান, জেলা-মুন্সিগঞ্জকে গ্রেফতার করে।

পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামি জয়নালের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় র‌্যাব-১০ এর উক্ত আভিযানিক দল মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) আনুমানিক বিকেল ৪:১০টায় মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানার গাদিঘাট এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে মামলার প্রধান আসামি পলাতক মোঃ নুর আলম (৩৫), পিতা-মৃত হারুন, সাং-খালপাড়, থানা-সিরাজদিখান, জেলা-মুন্সিগঞ্জকে গ্রেফতার করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামি উক্ত ঘটনায় তার সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। মামলার পর থেকে রাজধানীর ঢাকা ও মুন্সিগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে ছিল বলে জানায়।

গ্রেফতারকৃত আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।