র্যাব-১০ এর মিডিয়া সেল থেকে জানানো হয়েছে, গত দুইদিন রাজধানীর মৎস আড়তসহ যাত্রাবাড়ি, চকবাজার ও কামরাঙ্গীর চরে অভিযান চালানো হয়েছে।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী মৎস আড়তে জাটকা ইলিশ সংরক্ষণ ও বিক্রয়ের অপরাধে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতে দুই লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
গত ২৭ জানুয়ারি ভোর ৬:৩০টা থেকে হতে সকাল ১০:৩০টা পর্যন্ত জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিএম মোস্তফা জামালের উপস্থিতিতে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাজহারুল ইসলাম ও র্যাব-১০ এর সমন্বয়ে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী মৎস আড়তে একটি ভ্রাম্যমাণ আদালতে মাছের আড়তে জাটকা ইলিশ সংরক্ষণ ও বিক্রয় করার অপরাধে আয়েশা এন্টারপ্রাইজ নামক একটি মাছ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে নগদ- ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা জরিমানা করা হয়। বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট-এর নির্দেশে প্রায় ২,১৫,০০০/- (দুই লক্ষ পনেরো হাজার) টাকা মূল্যের ৪৩৫ (চারশত পঁয়ত্রিশ) কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করে বিনামূল্যে বিভিন্ন মাদ্রাসা ও এতিম খানায় দান করা হয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, বেশ কিছুদিন যাবৎ এই অসাধু ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানটি জাটকা ইলিশ সংরক্ষণ ও ক্রয়-বিক্রয় করে আসছিল।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় অপর একটি অভিযানে চাঞ্চল্যকর খোকন মীর হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামি রাসেল হানি সিংকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১০।
গত ২৭ জানুয়ারি বিকাল ৪:২০টায় র্যাব-১০ এর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় একটি অভিযানে যাত্রাবাড়ী থানার চাঞ্চল্যকর খোকন মীর হত্যা মামলার (মামলা নং-৬০(০১)২১, ধারা-৩০২/৩৪ দণ্ডবিধি) ওয়ারেন্টভুক্ত দীর্ঘদিন পলাতক অন্যতম প্রধান আসামি মোঃ রাসেল হানি সিং (২০), পিতা-মোখলেছ, সাং-কুতুবখালী বড় মাদ্রাসা সংলগ্ন, থানা-যাত্রাবাড়ী, জেলা-ঢাকাকে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামি উল্লিখিত মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি বলে স্বীকার করেছে। সে মামলা দায়েরের পর থেকে ঢাকার কেরাণীগঞ্জ ও যাত্রাবাড়ীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে ছিল বলে জানা যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে রাজধানীর চকবাজার এলাকা থেকে ২২ বছরের সাজাপ্রাপ্ত দীর্ঘদিন পলাতক আসামি জাফরকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১০ এর অপর একটি দল।
র্যাব-১০ এর উপপরিচালক আমিনুল ইসলাম জানান, গত ২৭ জানুয়ারি রাত ৭:১০ টায় র্যাব-১০ এর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানী ঢাকার চকবাজার এলাকায় একটি অভিযান চালিয়ে ভোলা জেলার সদর থানা স্পেশাল ট্রাই-১৬৬/২০১২, কোতয়ালী থানার মামলা নং-১৬(৭)১২, ধারা : ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯(এ) এবং ১৯ (এফ) ধারা; মামলায় ২২ বছরের সাজাপ্রাপ্ত এবং দীর্ঘদিন যাবৎ পলাতক আসামি মোঃ জাফর (৪০), পিতা-শফিক আহম্মদ প্রঃ শুক্কুর আলী, সাং-ছোট আলগী, থানা-ভোলা সদর, জেলা-ভোলাকে গ্রেফতার করে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, আসামি মোঃ জাফর ভোলার স্থায়ী বাসিন্দা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ডাকাতি ও অস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছিলেন। ২০১২ সালে অস্ত্র ও গুলিসহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার হয়ে জেলে যান। পরে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে আত্মগোপনে গিয়ে নাম ঠিকানা পরিবর্তন করে ডিএমপি ঢাকার চকবাজার থানার শাহী মসজিদ এলাকায় বসবাস করে আসছিলেন। মামলার পরবর্তী কার্যক্রমে তার অনুপস্থিতিতে বিচার শেষে ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯(এ) ও ১৯(এফ) ধারায় ২০১৭ সালে ১৫ বছর ও ৭ বছর করে মোট ২২(বাইশ) বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়।
দণ্ডিত এই দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী দীর্ঘ দিন যাবৎ আত্মগোপনে ছিল।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
গত ২৮ জানুয়ারি দুপুর ১:১০টায় র্যাব-১০ এর একটি দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এবং র্যাব-৮ এর সহযোগিতায় রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থানাধীন খোলামুড়া এলাকায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করে পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া এলাকায় চাঞ্চল্যকর জাহাঙ্গীর পঞ্চায়েত হত্যা মামলার পলাতক অন্যতম প্রধান আসামি সাগরকে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া থানাধীন বাদুরা এলাকায় বসবাসকারী মোঃ জাহাঙ্গীর পঞ্চায়েত-এর সাথে জমি-জমা নিয়ে একই এলাকায় বসবাসকারী সাগরসহ কয়েক জনের সাথে বেশ কিছুদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছিল। উক্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে গত ৩ জানুয়ারি আনুমানিক বিকাল ৪:৩০টায় সাগর ও তার অন্যান্য সহযোগীরা মিলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে জাহাঙ্গীর পঞ্চায়েত-এর উপর অতর্কিত আক্রমণ করে। এসময় সাগর ও তার অন্যান্য সহযোগীরা তাদের কাছে থাকা চাইনিজ কুড়াল, লোহার রড ও লাঠি-সোটা দিয়ে জাহাঙ্গীর পঞ্চায়েতকে এলোপাথাড়িভাবে বেধরক মারধর করতে থাকে। মারধরের একপর্যায় ভিকটিম জাহাঙ্গীরের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলের দিকে এগিয়ে আসলে সাগর ও তার অন্যান্য সহযোগীরা জাহাঙ্গীরকে গুরুতর আহত অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায়। এরপর স্থানীয় লোকজন জাহাঙ্গীরকে গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। জাহাঙ্গীরের অবস্থায় গুরুতর হওয়ায় সেখানকার চিকিৎসক জাহাঙ্গীরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতল বরিশালে রেফার করেন। পরবর্তীতে গত ০৪/০১/২০২৪ তারিখে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাহাঙ্গীর হাসপাতালেই মারা যান।
পরে জাহাঙ্গীরের স্ত্রী বুলু বেগম (৫০) বাদী হয়ে পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া থানায় সাগর হাওলাদার (২০)সহ ৭ জন এবং অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৬/৩০৭/৫০৬ ধারায় একটি হত্যা মামলা (মামলা নং-৬/৬, তারিখ-০৩/০১/২০২৪) দায়ের করলে সাগরসহ অন্যান্য আসামিরা আত্মগোপনে চলে যায়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার আসামি উক্ত হত্যাকাণ্ডে তার সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। গ্রেফতারকৃত আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
রাজধানীর ধানমণ্ডির বিজিবি সীমান্ত সম্ভার শপিং কমপ্লেক্সের একটি স্বর্ণের দোকানে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. রুবেল (২৮), সফিক ওরফে সোহেল (৩৫) এবং সাদ্দাম হোসেন (৩১)। এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া ৫০ ভরি আট আনা স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, ধানমণ্ডি মডেল থানাধীন ‘ক্রাউন ডায়মন্ড এন্ড জুয়েলার্স’ শোরুমে গত ৩ জানুয়ারি বেলা ১টার দিকে চুরির ঘটনা ঘটে। চোরচক্র অভিনব পদ্ধতিতে শো-রুমের তালা ও সাটার কেটে মাত্র আট মিনিটের মধ্যে ১৫৯ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। দোকানের মালিক কাজী আকাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকারের আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়।
মামলার প্রেক্ষিতে ডিবি পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ৯ জানুয়ারি থেকে ডিবি পুলিশ ধারাবাহিক অভিযান চালায়। কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে প্রথমে মো. রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লার দেবীদ্বার থেকে সফিক ওরফে সোহেল এবং মুরাদনগর থেকে সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ২৮ ভরি ১৪ আনা আসল স্বর্ণ এবং ২১ ভরি ১০ আনা গলিত স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। ডিবি সূত্রে আরও জানা যায়, চুরির ঘটনায় জড়িত চক্রের অন্যান্য সদস্যদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেফতার ও অবশিষ্ট স্বর্ণ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ডিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান পিপিএম জানান, এই চক্র অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পরিকল্পনা করে চুরি সংঘটিত করে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে জনগণের আস্থা অক্ষুণ্ণ রাখতে সক্ষম হয়েছে।
চড়া দামের কারণে নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত অনেক মানুষ পুরো এক কেজি মাংস কিনতে পারছে না। এমন ক্রেতাদের সুবিধার্থে এবার ২৫০ গ্রাম গরুর মাংসও বিক্রি হবে নওগাঁর পোরশায়। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ন্যায্যমূল্যের দোকানে গরুর মাংস বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ই ডিসেম্বর) সকাল আটটার দিকে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফ আদনান।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সহযোগিতায় ও জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আউয়ালের নির্দেশে ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস বিক্রির এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ সময় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে ইউ এন ও আরিফ আদনান বলেন, জেলা প্রশাসকের দিকনির্দেশনায় ন্যায্য মূল্যের মাংসের দোকান চালু করা হয়েছে । এই দোকানে প্রতি কেজি ৬০০ টাকা দরে ক্রেতাগণ কিনতে পারবেন এবং গরিব জনগণ ২৫০ গ্রাম থেকে গরুর মাংস কিনতে পারবেন বলে জানান ইউ এন ওআরিফ আদনান।