দেশ

দেশ

সাতক্ষীরায় আসক’র শিশু সুরক্ষা কমিটির গঠন

শিশুরাই জাতির ভবিষ্যৎ।পরিবার এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের সকল পর্যায়ে শিশুর অধিকার ও মর্যাদা রক্ষা করা আবশ্যক। শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সুরক্ষার জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সংবিধানে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিতে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষাসহ মৌলিক প্রয়োজন মেটানোর ব্যবস্থা, সমতাভিত্তিক সুযোগ প্রদানের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছে। সংবিধানের তৃতীয় ভাগে শিশুসহ নাগরিকের মৌলিক মানবাধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান করা এবং সংবিধানের ২৮(৪) অনুচ্ছেদে শিশুদের জন্য বিশেষ বিধান প্রণয়নের ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেছে সরকার।

আইন ও সালিশ কেন্দ্র সাতক্ষীরায় টেরে ডেস হোমস, নেদারল্যান্ডস এর অর্থায়নে বাস্তবায়িত ‘স্টেপ অফ দি ফাইট এগেনস্ট সেক্সুয়াল এক্সপ্লয়টেশন অফ চিলড্রেন : এম্পাওয়ারিং চিল্ড্রেন এন্ড কমিউনিটিস্’ প্রকল্পের আওতায় শিশু সুরক্ষা কমিটির গঠন অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথাসহ শিশু শোষণ ও শিশু যৌন নির্যাতন প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকালে সাতক্ষীরা শহরের ম্যানগ্রোভ সভাঘরে শিশু সুরক্ষা কমিটি গঠন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাবেক অধ্যক্ষ শিক্ষাবিদ মো. আব্দুল হামিদ।

আইন ও সালিশ কেন্দ্র’র প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. রোকনুজ্জামানের সঞ্চালনায় সভায় মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সাবেক অধ্যক্ষ ড. দিলেরা বেগম, সিনিয়র সিটিজেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. সুশান্ত কুমার ঘোষ, সিনিয়র সাংবাদিক কল্যাণ ব্যানার্জি, এম কামরুজ্জামান, এ্যাড. মোস্তফা আসাদুজ্জামান দিলু, পৌর কাউন্সিলর মো. কায়ছারুজ্জামান হিমেল, এ্যাড. নাজমুন নাহার ঝুমুর, পলাশপোল আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোমিনুল ইসলাম, কাজী সমিতির সভাপতি শেখ মাহাবুবুর রহমান, জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম অফিসার মো. আব্দুল হাই সিদ্দিক, মানবাধিকার কর্মী মাদব চন্দ্র দত্তা, এনজিও কর্মী শ্যামন বিশ্বাস, জেলা সুজনের সভাপতি হেনরী সরদার, এ্যাড. শাহনাজ পারভীন মিলি, প্রবিত্র মোহন দাশ, ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স’র অফিস ইনচার্জ মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্য রক্ষা টিমের সভাপতি এস এম হাবিবুল হাসান প্রমুখ।

সভায় বক্তারা শিশু যৌন নির্যাতন প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। স্থানীয় বিভিন্ন শিশু নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরেন এবং এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সরকারি, বেসরকারিসহ বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানকে ঐক্যবদ্ধভাবে শিশু নির্যানত প্রতিরোধে কাজ করার আহ্বান জানান।

সভার শেষে সাবেক অধ্যক্ষ শিক্ষাবিদ মো. আব্দুল হামিদকে আহ্বায়ক করে এবং সাবেক অধ্যক্ষ ড. দিলেরা বেগম ও পবিত্র মোহন দাশকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।

বিষয়:
পরবর্তী খবর

৫০ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার

সীমান্ত সম্ভারে স্বর্ণের দোকানে চাঞ্চল্যকর চুরির রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার ৩

রাজধানীর ধানমণ্ডির বিজিবি সীমান্ত সম্ভার শপিং কমপ্লেক্সের একটি স্বর্ণের দোকানে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. রুবেল (২৮), সফিক ওরফে সোহেল (৩৫) এবং সাদ্দাম হোসেন (৩১)। এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া ৫০ ভরি আট আনা স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা।

ডিবি সূত্রে জানা যায়, ধানমণ্ডি মডেল থানাধীন ‘ক্রাউন ডায়মন্ড এন্ড জুয়েলার্স’ শোরুমে গত ৩ জানুয়ারি বেলা ১টার দিকে চুরির ঘটনা ঘটে। চোরচক্র অভিনব পদ্ধতিতে শো-রুমের তালা ও সাটার কেটে মাত্র আট মিনিটের মধ্যে ১৫৯ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। দোকানের মালিক কাজী আকাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকারের আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়।

মামলার প্রেক্ষিতে ডিবি পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ৯ জানুয়ারি থেকে ডিবি পুলিশ ধারাবাহিক অভিযান চালায়। কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে প্রথমে মো. রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লার দেবীদ্বার থেকে সফিক ওরফে সোহেল এবং মুরাদনগর থেকে সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ২৮ ভরি ১৪ আনা আসল স্বর্ণ এবং ২১ ভরি ১০ আনা গলিত স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। ডিবি সূত্রে আরও জানা যায়, চুরির ঘটনায় জড়িত চক্রের অন্যান্য সদস্যদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেফতার ও অবশিষ্ট স্বর্ণ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ডিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান পিপিএম জানান, এই চক্র অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পরিকল্পনা করে চুরি সংঘটিত করে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে জনগণের আস্থা অক্ষুণ্ণ রাখতে সক্ষম হয়েছে।

বিষয়:
পরবর্তী খবর

পোরশায় ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস, কেনা যাবে ২৫০ গ্রাম

চড়া দামের কারণে নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত অনেক মানুষ পুরো এক কেজি মাংস কিনতে পারছে না। এমন ক্রেতাদের সুবিধার্থে এবার ২৫০ গ্রাম গরুর মাংসও বিক্রি হবে নওগাঁর পোরশায়। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ন্যায্যমূল্যের দোকানে গরুর মাংস বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৩ই ডিসেম্বর) সকাল আটটার দিকে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফ আদনান।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সহযোগিতায় ও জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আউয়ালের নির্দেশে ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস বিক্রির এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এ সময় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।

এ প্রসঙ্গে ইউ এন ও আরিফ আদনান বলেন, জেলা প্রশাসকের দিকনির্দেশনায় ন্যায্য মূল্যের মাংসের দোকান চালু করা হয়েছে । এই দোকানে প্রতি কেজি ৬০০ টাকা দরে ক্রেতাগণ কিনতে পারবেন এবং গরিব জনগণ ২৫০ গ্রাম থেকে গরুর মাংস কিনতে পারবেন বলে জানান ইউ এন ওআরিফ আদনান।

বিষয়:
সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত