দেশ

দেশ

বালিয়াডাঙ্গীতে শত্রুতা করে ১৩৬টি আমগাছ কাটার অভিযোগে আটক ১

ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের ডাঙ্গীপাড়া গ্রামের ইলিত চন্দ্র অরফে রাতিয়ার আম বাগানের ১৩৬টি গাছ কাটার অভিযোগে শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি)  কাজী রমজান নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের ডাঙ্গীপাড়ার গ্রামের মৃত কালারাম চন্দ্র-এর ছেলে ইলিত চন্দ্র অরফে রাতিয়া (৫২) ২০১৩ সালে ভোগদখলীয় জমিতে একটি আমবাগান লাগায়। উক্ত জমিতে ১৩৬টি আমগাছ ১০ বছর ধরে ফলন দিচ্ছিল। উক্ত জমি জবর-দখল করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে ইলিত চন্দ্রের পরিবারকে বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করে পার্শ্ববর্তী রাণীশংকৈল উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের নুনতোর গ্রামের মোঃ আবুল কালামের ছেলে কাজী রমজান আলী (৫৫)। গত বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে যে কোন সময় ইলিত চন্দ্রের আম বাগানের ১৩৬টি গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ করেছেন বাগানের মালিক।

ইলিত চন্দ্র অরফে রাতিয়া জানান, আমাকে দীর্ঘদিন ধরে হুমকি দিচ্ছে এবং আমার ৬১ শতাংশ জমির আম বাগানের ১৩৬টি গাছ কেটে ফেলেছে কাজী রমজান। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১৫ লক্ষ টাকা। আমি তার বিচার চাই। আমি এখন নিঃস্ব।

বালিয়াডাঙ্গী পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিদ্যানাথ বর্মন জানান, ফোনের মারফত জানতে পারলাম ১৩৬টি আমগাছ রাতের আঁধারে কে বা কাহারা কেটে ফেলেছে। তিনি প্রশাসনের নিকট গাছ কাটার শাস্তির দাবি জানান।

একই গ্রামের বিদেশ্বর রায় জানান, দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে রমজান কাজীর সাথে বিরোধ চলছে। আবার সেই জমি নিয়ে বৈঠক ও হয়। বৈঠকের পর জমি ইলিত চন্দ্র পায়। তিনি প্রশাসনের নিকট গাছ কাটার শাস্তির দাবি জানান।

প্রিয়নাথ সিংহ জানান, গাছ কাটার বিষয়ে সু-বিচার চেয়েছেন। এ বিষয়ে ইলিত চন্দ্র বাদী হয়ে বালিয়াডাঙ্গী থানায় কাজী রমজানকে প্রধান আসামি করে মোট ৬ জনের নামে অভিযোগ দিয়েছেন।

বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি তদন্ত আব্দুল আল মামুন শাহ জানান, গাছ কাটার বিষয়ে অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে ১ নং আসামি কাজী রমজানকে আটক করেছে পুলিশ। ৩ ফেব্রুয়ারি শনিবার দুপুরে বালিয়াডাঙ্গী থানা থেকে আসামি কাজী রমজানকে ঠাকুরগাঁও কারাগারে পাঠানো হয়।

শেয়ার
বিষয়:
পরবর্তী খবর

মেট্রোরেলের সময়সূচি বাড়ল

যাত্রী চাপ সামলাতে রোববার (১৯ অক্টোবর) থেকে বাড়ানো হয়েছে রাজধানীর মেট্রোরেল চলাচলের সময়সূচি। প্রতিদিন সকালে চালু এবং রাতে বন্ধের সময় আধা ঘণ্টা করে বাড়ানো হয়েছে।

নতুন সূচি অনুযায়ী, এখন থেকে সকাল সাড়ে ৬টায় উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে ট্রেন ছাড়ছে, যা আগে ছাড়ত সকাল ৭টায়। অপরদিকে মতিঝিল থেকে শেষ ট্রেন ছাড়বে রাত ১০টা ১০ মিনিটে। শুক্রবারের ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আনা হয়েছে— আগে বিকেল ৩টায় ট্রেন চলাচল শুরু হলেও এখন থেকে আড়াইটায় চালু হবে মেট্রোরেল।

রোববার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল সাড়ে ৬টায় উত্তরা উত্তর মেট্রো স্টেশন থেকে মতিঝিলের উদ্দেশে ট্রেন ছেড়ে যায়। বর্ধিত সময়ে চলাচল করায় খুশি যাত্রীরা। অনেকে জানিয়েছেন, সকালে যাত্রী তুলনামূলক কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বেড়ে যায়। নতুন সূচি কার্যকর হওয়ায় যাত্রীসেবার মান আরও উন্নত হবে বলে আশা করছেন তারা।

বর্তমানে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত প্রতিদিন চার লাখের বেশি যাত্রী মেট্রোরেলে চলাচল করেন। যাত্রীরা সময় বৃদ্ধির পাশাপাশি ট্রিপ সংখ্যা বাড়ানোরও দাবি জানিয়েছেন। তাদের মতে, ট্রেন চলাচলের সময় বাড়ায় দৈনন্দিন যাতায়াত আরও সহজ হয়ে উঠবে।

এদিকে, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) জানিয়েছে, ট্রিপ সংখ্যা বাড়ানোর জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যেই ট্রিপ বাড়ানো সম্ভব হবে বলে আশা করছে সংস্থাটি।

শেয়ার
পরবর্তী খবর

পোরশায় টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু

নওগাঁর পোরশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়োজনে “টাইফয়েড (টিসিভি) টিকাদান ক্যাম্পেইন–২০২৫” এর উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (১২ অক্টোবর) সকালে উপজেলার নিতপুর কুসুমকলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাকিবুল ইসলাম।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউএনও বলেন, “টাইফয়েড প্রতিরোধে এই টিকা শিশুদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশে প্রতিবছর টাইফয়েডে বহু শিশুর মৃত্যু ঘটে। এই টিকার বাজারমূল্য তুলনামূলকভাবে বেশি হওয়ায় নিম্নআয়ের পরিবারের পক্ষে তা কেনা কঠিন। তাই সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দেশের সকল শিশুকে বিনামূল্যে এই টিকা প্রদান করছে।” তিনি সকল অভিভাবকের প্রতি আহ্বান জানান, “আপনারা যেন সন্তানদের এই টিকা দিতে ভুল না করেন এবং অন্যদেরও এ বিষয়ে সচেতন করেন।”

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. নাজির আহটা্মইদ ও মেডিকেল অফিসারসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা। এছাড়া বিভিন্ন পেশার মানুষ, স্থানীয় সাংবাদিক, বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ অনেকে অংশ নেন।

আলোচনা পর্ব শেষে ইউএনও উপস্থিত সবাইকে ভুল ধারণা ও গুজব থেকে বিরত থেকে টিকাদানে উৎসাহিত করার আহ্বান জানান। পরে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে টাইফয়েড প্রতিরোধী টিকা প্রদান কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক সূচনা করা হয়।

 

শেয়ার
সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত