আইন শৃংখলা রক্ষায় অপরাধীদের গ্রেফতারে সারাদেশে র্যাবের অভিযান জোরদার করা হয়েছে। এর ফলে পৃথক অভিযানে ৮ জন ডাকাত এবং ৪ জন ছিনতাইকারী গ্রেফতার করা হয়েছে বলে র্যাব-১০ এর মিডিয়া সেল থেকে জানানো হয়েছে।
অভিযান-১:
ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ এলাকা হতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্রসহ আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের মূলহোতাসহ ডাকাত দলের সাত জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১০ ।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে র্যাব-১০ এর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানাধীন আব্দুল্লাহ্পুর এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্রসহ ডাকাত দলের সাত সদস্যকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের নাম ১। মোঃ আনোয়ার হোসেন (৪৫), পিতা-মোঃ লালচাঁন মিয়া, সাং-পুরাতন সোনাকান্দা (পশ্চিমহাটি), থানা-কেরাণীগঞ্জ মডেল, জেলা-ঢাকা, ২। মোঃ মাহমুদুল হাসান (৩১), পিতা-মোঃ হানিফ হাওলাদার, সাং- শাহজাদপুর, থানা-ভাটারা, ঢাকা, ৩। মোঃ হিরা রহমান বিজয় (২০), পিতা-মোঃ রহিম উদ্দিন, সাং-রংমেহার, পশ্চিমপাড়া, থানা-টঙ্গীবাড়ী, জেলা-মুন্সিগঞ্জ, ৪। মোঃ খোকন মাল (৩৩) পিতা-মোঃ শুক্কুর মাল, সাং-মুন্সিগ্রাম, থানা-সদরপুর, জেলা-ফরিদপুর, ৫। মোঃ জুয়েল (২৭), পিতা-মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, সাং-আমখোলা, থানা-গলাচিপা, জেলা-পটুয়াখালী, ৬। মোঃ সাগর (২৬), পিতা-মোঃ চাঁন মিয়া, সাং-পাথরঘাটা থানা-সিরাজদীখান, জেলা-মুন্সিগঞ্জ ও ৭। মোঃ ফয়সাল আহম্মেদ রাসেল (২৫), পিতা-মৃত সোলায়মান আহথানা-ভাটারা, ঢাকা বলে জানা যায়। এ সময় তাদের নিকট থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ০১টি প্রাইভেটকার, ০১টি পিকআপ, ০৩টি ছোড়া, ০১টি ডেগার, ০১টি লোহার রড, ০১টি প্লাস্টিকের পাইপ, ০১টি কাঠের লাঠি, ০২টি রশি ও ০২টি গামছা জব্দ করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। তারা বেশ কিছুদিন যাবৎ ঢাকার কেরাণীগঞ্জসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ডাকাতি ও মাদক ব্যবসা করে আসছিল। এছাড়া তারা ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন সময়ে যানবাহন থামিয়ে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ডাকাতি করে সেখান থেকে দ্রুত পালিয়ে যেত বলে জানা যায়।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি ডাকাতি প্রস্তুতির মামলা দায়ের করে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
অভিযান-২:
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ পলাতক আসামী নুর ইসলাম বাবু’কে যশোর জেলার কোতোয়ালী এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র্যাব ।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২:০০টায় র্যাব-১০ এর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যশোর জেলার কোতোয়ালী থানাধীন বেজপাড়া এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে জিআর সাজা-২৯৬/১৪, ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানার মামলা নং-২৫(০৯)১৪, ধারা-১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের ১৯(১) টেবিলের ৩(খ); মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত সাজা ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী নুর ইসলাম বাবু (৫৬) পিতা-মোঃ মুনসুর আলি শেখ, সাং-কাউরিয়া রেইলগেট ঋষিপাড়া, থানা-ঝিকরগাছা, জেলা-যশোর’কে গ্রেফতার করে।
আসামি একজন আন্তঃজেলা মাদক কারবারি। সে দেশের সীমান্তবর্তী জেলা যশোর এর বিভিন্ন বর্ডার এলাকা থেকে চোরাই পথে মাদকদ্রব্য এনে যশোর, ফরিদপুর সহ আশপাশের বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় বিক্রয় করত। তার নামে যশোর ও ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা বিদ্যমান আছে। সে বিভিন্ন সময় ছদ্মনাম ব্যবহার করলেও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে মাদকসহ হাতেনাতে ধরা পড়ে।
আসামি এর আগে ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানার মামলা নং-২৫, তারিখ-১৯/০৯/২০১৪ইং, ধারা- ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন এর ১৯(১) টেবিল ৩(খ), মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি উক্ত মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি বলে স্বীকার করেছে। সে জামিনে মুক্ত হয়ে দীর্ঘ ১০ (দশ) বছর ধরে বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে ছিল।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
অভিযান-৩:
দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি কুখ্যাত ডাকাত মোঃ রুবেল ওরফে রুস্তম’কে রাজধানীর কদমতলী এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭:৪৫টায় র্যাব-১০ এর একটি চৌকস দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানী ঢাকার কদমতলী এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে আসামী কুখ্যাত ডাকাত মোঃ রুবেল ওরফে রুস্তম’ (৩৮) পিতা-আশরাফ আলী শিকদার, সাং-রঘুনাথপুর, থানা-বাকেরগঞ্জ, জেলা-বরিশাল’কে গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে গুলাশান থানার মামলা নং-৪৩(১১)১৩ জিআর ৪০৯/১৩, ধারা-দ্রুত বিচার আইন ৪, ২। খিলগাঁও থানার মামলা নং-১৯(১২)১৫, দায়রা মামলা নং-১৮২৮৪/২০১৭, ৩। শাহবাগ থানার মামলা নং-৪(৯)২২ জিআর ৩৮০/২২, ধারা-৩৯৫/৩৯৭/৪১২ পেনাল কোড, ৪। খিলগাঁও থানার মামলা নং-৩৩(১২)১৫, ধারা-১৭০ দঃবিঃ, ৫। মোহাম্মদপুর থানার মামলা নং -৭২(৭)২১, বিআর ৯৩৫/২১, ধারা-১৭০/১৭১/৩৯৯/৪০২ দঃবিঃ; সহ কয়েকটি মামলা চলমান। সে উল্লেখিত ১ নং মামলায় ০২ বছরের সাজাপ্রাপ্ত সাজা ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, সে উল্লেখিত মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি বলে স্বীকার করেছে। সে মামলার পর বিভিন্ন সময় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেও পরবর্তীতে আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে ছিল। তার বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
অভিযান-৪:
র্যাব এর পৃথক অভিযানে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও কদমতলী এলাকা হতে ০৩ জন ছিনতাইকারী গ্রেফতার।
গত ০৩ ফেব্রুয়ারি র্যাব -১০ এর একটি চৌকস দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী ও কদমতলী এলাকায় দুইটি পৃথক অভিযান চালিয়ে ০৩ জন ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের নাম ১। মোঃ অপু (১৯), পিতা-মোঃ সবুজ মিয়া, সাং-আগরপুর, থানা-কুলিয়ারচর, জেলা-কিশোরগঞ্জ, ২। মোঃ দানেশ (২৮), পিতা-ইউনুস, সাং-চিকনদি, থানা-পালং, জেলা-শরিয়তপুর ও ৩। রিয়াজ (৩৩), পিতা-মৃত হোসেন ব্যাপারী, সাং-রহমানের হাট, থানা-মেহেন্দীগঞ্জ, জেলা-বরিশাল বলে জানা যায়। এ সময় তাদের নিকট থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত ০৩টি চাকু উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা বেশ কিছুদিন যাবৎ যাত্রাবাড়ী ও কদমতলীসহ রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় পথচারীদের ধারালো চাকুর ভয় দেখিয়ে টাকা-পয়সা ও মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন মূল্যবান সম্পদ ছিনতাই করে আসছিল।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পৃথক ছিনতাই মামলা দায়ের করে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
রাজধানীর ধানমণ্ডির বিজিবি সীমান্ত সম্ভার শপিং কমপ্লেক্সের একটি স্বর্ণের দোকানে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. রুবেল (২৮), সফিক ওরফে সোহেল (৩৫) এবং সাদ্দাম হোসেন (৩১)। এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া ৫০ ভরি আট আনা স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, ধানমণ্ডি মডেল থানাধীন ‘ক্রাউন ডায়মন্ড এন্ড জুয়েলার্স’ শোরুমে গত ৩ জানুয়ারি বেলা ১টার দিকে চুরির ঘটনা ঘটে। চোরচক্র অভিনব পদ্ধতিতে শো-রুমের তালা ও সাটার কেটে মাত্র আট মিনিটের মধ্যে ১৫৯ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। দোকানের মালিক কাজী আকাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকারের আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়।
মামলার প্রেক্ষিতে ডিবি পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ৯ জানুয়ারি থেকে ডিবি পুলিশ ধারাবাহিক অভিযান চালায়। কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে প্রথমে মো. রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লার দেবীদ্বার থেকে সফিক ওরফে সোহেল এবং মুরাদনগর থেকে সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ২৮ ভরি ১৪ আনা আসল স্বর্ণ এবং ২১ ভরি ১০ আনা গলিত স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। ডিবি সূত্রে আরও জানা যায়, চুরির ঘটনায় জড়িত চক্রের অন্যান্য সদস্যদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেফতার ও অবশিষ্ট স্বর্ণ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ডিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান পিপিএম জানান, এই চক্র অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পরিকল্পনা করে চুরি সংঘটিত করে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে জনগণের আস্থা অক্ষুণ্ণ রাখতে সক্ষম হয়েছে।
চড়া দামের কারণে নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত অনেক মানুষ পুরো এক কেজি মাংস কিনতে পারছে না। এমন ক্রেতাদের সুবিধার্থে এবার ২৫০ গ্রাম গরুর মাংসও বিক্রি হবে নওগাঁর পোরশায়। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ন্যায্যমূল্যের দোকানে গরুর মাংস বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ই ডিসেম্বর) সকাল আটটার দিকে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফ আদনান।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সহযোগিতায় ও জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আউয়ালের নির্দেশে ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস বিক্রির এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ সময় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে ইউ এন ও আরিফ আদনান বলেন, জেলা প্রশাসকের দিকনির্দেশনায় ন্যায্য মূল্যের মাংসের দোকান চালু করা হয়েছে । এই দোকানে প্রতি কেজি ৬০০ টাকা দরে ক্রেতাগণ কিনতে পারবেন এবং গরিব জনগণ ২৫০ গ্রাম থেকে গরুর মাংস কিনতে পারবেন বলে জানান ইউ এন ওআরিফ আদনান।