দেশ

দেশ

দেশের জলাভূমি সুরক্ষায় সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান

জলাভূমি মানব সভ্যতা বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মানুষ, পাণিকূল, মাছ, উদ্ভিদ ও প্রকৃতির সুরক্ষায় জলাভূমির ভূমিকা অপরিসীম।‌ মানুষের খাদ্য শৃঙ্খল সুরক্ষায় জলাভূমির যে ভূমিকা রাখে তা কল্পনা করা অসম্ভব। পরিবেশ দূষণ রোধে জলাভূমি রক্ষা করতে হবে মানুষের প্রয়োজনে।

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সাতক্ষীরা শহরের ম্যানগোভ সভাঘরে বিশ্ব জলাভূমি দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে স্বদেশ ও এএলআরডি’র যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত নাগরিক সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

জলাভূমি এবং জনমানুষের কল্যাণ- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিশ্ব জলাভূমি দিবস উপলক্ষ্যে নাগরিক সভায় বক্তারা আরও বলেন, সাতক্ষীরার প্রাণসায়র খাল, মরিচ্চাপ নদী, বেতনা নদী খনন ও পৌরসভার পুকুরগুলো, জেলার সরকারি বড় বড় পুকুর সংরক্ষণ করার জোর দাবি জানান।

নাগরিক সভায় বক্তারা আরও বলেন, জলাভূমি মানবজীবনের জন্য অত্যাবশ্যক, জলাভূমি প্রাকৃতিক পানির আধার, জলাভূমি বনের চেয়ে বেশি কার্বন সঞ্চয় করে, জলাভূমি জীবিকা ও খাদের উৎস, জলাভূমি বন্যা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। সাতক্ষীরা জেলায় লোনা পানির চিংড়ি চাষ জলাভূমি ধ্বংস করছে। দখল ও দূষণে দেশের বিভিন্ন স্থানে জলাভূমি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এসব কারণে জলাভূমি সুরক্ষায় সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।

নাগরিক সভায় শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক এ্যাড. আজাদ হোসেন বেলাল, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার শেখ শহিদুর রহমান, বন বিভাগের কর্মকর্তা আওছাফুর রহমান।

সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সাংবাদিক ও উন্নয়নকর্মী ফারুক রহমান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নাগরিক অধিকারকর্মী সাকিবুর রহমান বাবলা।

মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বাসদ নেতা নিত্যানন্দ সরকার, পরিবেশ অধিকারকর্মী মফিজুর রহমান, নারী অধিকারকর্মী জ্যোস্না দত্ত, সাবেক কাউন্সিলর ফরিদা আক্তার বিউটি, উন্নয়নকর্মী আবু জাফর সিদ্দিকী, শ্যামল কুমার বিশ্বাস, উদীচীর জেলা কমিটির সভাপতি শেখ সিদ্দিকুর রহমান, ভূমিহীন নেতা আব্দুস সামাদ প্রমুখ।

সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটি, সিডো, অর্জন ফাউন্ডেশন, হেড, সামস, সুন্দরবন ফাউন্ডেশন সম্মিলিতভাবে বিশ্ব জলাভূমি দিবসটির আয়োজন করে।

 

বিষয়:
পরবর্তী খবর

৫০ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার

সীমান্ত সম্ভারে স্বর্ণের দোকানে চাঞ্চল্যকর চুরির রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার ৩

রাজধানীর ধানমণ্ডির বিজিবি সীমান্ত সম্ভার শপিং কমপ্লেক্সের একটি স্বর্ণের দোকানে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. রুবেল (২৮), সফিক ওরফে সোহেল (৩৫) এবং সাদ্দাম হোসেন (৩১)। এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া ৫০ ভরি আট আনা স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা।

ডিবি সূত্রে জানা যায়, ধানমণ্ডি মডেল থানাধীন ‘ক্রাউন ডায়মন্ড এন্ড জুয়েলার্স’ শোরুমে গত ৩ জানুয়ারি বেলা ১টার দিকে চুরির ঘটনা ঘটে। চোরচক্র অভিনব পদ্ধতিতে শো-রুমের তালা ও সাটার কেটে মাত্র আট মিনিটের মধ্যে ১৫৯ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। দোকানের মালিক কাজী আকাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকারের আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়।

মামলার প্রেক্ষিতে ডিবি পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ৯ জানুয়ারি থেকে ডিবি পুলিশ ধারাবাহিক অভিযান চালায়। কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে প্রথমে মো. রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লার দেবীদ্বার থেকে সফিক ওরফে সোহেল এবং মুরাদনগর থেকে সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ২৮ ভরি ১৪ আনা আসল স্বর্ণ এবং ২১ ভরি ১০ আনা গলিত স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। ডিবি সূত্রে আরও জানা যায়, চুরির ঘটনায় জড়িত চক্রের অন্যান্য সদস্যদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেফতার ও অবশিষ্ট স্বর্ণ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ডিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান পিপিএম জানান, এই চক্র অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পরিকল্পনা করে চুরি সংঘটিত করে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে জনগণের আস্থা অক্ষুণ্ণ রাখতে সক্ষম হয়েছে।

বিষয়:
পরবর্তী খবর

পোরশায় ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস, কেনা যাবে ২৫০ গ্রাম

চড়া দামের কারণে নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত অনেক মানুষ পুরো এক কেজি মাংস কিনতে পারছে না। এমন ক্রেতাদের সুবিধার্থে এবার ২৫০ গ্রাম গরুর মাংসও বিক্রি হবে নওগাঁর পোরশায়। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ন্যায্যমূল্যের দোকানে গরুর মাংস বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৩ই ডিসেম্বর) সকাল আটটার দিকে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফ আদনান।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সহযোগিতায় ও জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আউয়ালের নির্দেশে ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস বিক্রির এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এ সময় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।

এ প্রসঙ্গে ইউ এন ও আরিফ আদনান বলেন, জেলা প্রশাসকের দিকনির্দেশনায় ন্যায্য মূল্যের মাংসের দোকান চালু করা হয়েছে । এই দোকানে প্রতি কেজি ৬০০ টাকা দরে ক্রেতাগণ কিনতে পারবেন এবং গরিব জনগণ ২৫০ গ্রাম থেকে গরুর মাংস কিনতে পারবেন বলে জানান ইউ এন ওআরিফ আদনান।

বিষয়:
সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত