মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান হেনার সহর্ধমিণী ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের মা জাহানারা জামানের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাজশাহীর বাঘায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বাদ জোহর বাঘা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট লায়েব উদ্দিন লাভলুর উদ্দোগে উপজেলা জামে মসজিদে এবং বাদ আসর বাঘা পৌরসভার মেয়র আক্কাস আলীর উদ্দোগে পৌর জামে মসজিদে এ মিলাদ মাহফিল ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। মিলাদ ও দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন স্ব- স্ব মসজিদের ইমাম যথাক্রমে সুলতান আলী ও মিনার হোসেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাঘা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. লায়েব উদ্দিন লাভলু, বাঘা পৌর মেয়র জেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম সদস্য আক্কাস আলী, সাবেক ছাত্রনেতা সেলিম রেজা, সানোয়ার সুরুজ, জাতীয় পার্টির নেতা মৎস্য শিকারি দুলাল হোসেন, পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, পৌরসভায় কর্মরত সচিব, প্রকৌশলী, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, মসজিদের মুসল্লি ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
দোয়া ও আলোচনা সভায় বক্তারা স্মৃতিচারণ বক্তব্যে বলেন, ১৯৭৫ সালের ৩রা নভেম্বরের পরবর্তী সময়ে জাতীয় নেতা শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের সুযোগ্য সহধর্মিণী জাহানারা জামান অত্যন্ত বলিষ্ঠভাবে অসহায় অবস্থায় দুই ছেলে ও চার মেয়েকে শিক্ষা, দীক্ষায়, জ্ঞানে ও গরিমায় যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলে প্রতিষ্ঠিত করতে কঠোর বাস্তবতার মুখোমুখি হয়েছেন। তবুও তিনি বিচলিত হননি। তারই ফলশ্রুতিতে আজ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জননেতা এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন এবং অন্যান্য সন্তান-সন্তুতিদের যোগ্য আসনে অধিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন। আমরা মরহুমার বিধেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।
বক্তারা আরও বলেন, শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের মৃত্যুর পর জাহানারা জামান সকল বিপত্তিকে মোকাবিলা করে তাঁর ছেলেমেয়েকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন। তিনি কখনও তাঁর ছেলে-মেয়েকে বাবার অনুপস্থিতি অনুভব করতে দেননি। তাঁর সন্তানদের প্রতিষ্ঠিত করতে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করে গেছেন। আমরা মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের সুস্থতা ও সফলতা কামনা করি।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি (রোববার) রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকার গুলশানের বাসায় জাহানারা জামান মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।
রাজধানীর ধানমণ্ডির বিজিবি সীমান্ত সম্ভার শপিং কমপ্লেক্সের একটি স্বর্ণের দোকানে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. রুবেল (২৮), সফিক ওরফে সোহেল (৩৫) এবং সাদ্দাম হোসেন (৩১)। এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া ৫০ ভরি আট আনা স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, ধানমণ্ডি মডেল থানাধীন ‘ক্রাউন ডায়মন্ড এন্ড জুয়েলার্স’ শোরুমে গত ৩ জানুয়ারি বেলা ১টার দিকে চুরির ঘটনা ঘটে। চোরচক্র অভিনব পদ্ধতিতে শো-রুমের তালা ও সাটার কেটে মাত্র আট মিনিটের মধ্যে ১৫৯ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। দোকানের মালিক কাজী আকাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকারের আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়।
মামলার প্রেক্ষিতে ডিবি পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ৯ জানুয়ারি থেকে ডিবি পুলিশ ধারাবাহিক অভিযান চালায়। কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে প্রথমে মো. রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লার দেবীদ্বার থেকে সফিক ওরফে সোহেল এবং মুরাদনগর থেকে সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ২৮ ভরি ১৪ আনা আসল স্বর্ণ এবং ২১ ভরি ১০ আনা গলিত স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। ডিবি সূত্রে আরও জানা যায়, চুরির ঘটনায় জড়িত চক্রের অন্যান্য সদস্যদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেফতার ও অবশিষ্ট স্বর্ণ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ডিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান পিপিএম জানান, এই চক্র অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পরিকল্পনা করে চুরি সংঘটিত করে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে জনগণের আস্থা অক্ষুণ্ণ রাখতে সক্ষম হয়েছে।
চড়া দামের কারণে নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত অনেক মানুষ পুরো এক কেজি মাংস কিনতে পারছে না। এমন ক্রেতাদের সুবিধার্থে এবার ২৫০ গ্রাম গরুর মাংসও বিক্রি হবে নওগাঁর পোরশায়। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ন্যায্যমূল্যের দোকানে গরুর মাংস বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ই ডিসেম্বর) সকাল আটটার দিকে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফ আদনান।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সহযোগিতায় ও জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আউয়ালের নির্দেশে ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস বিক্রির এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ সময় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে ইউ এন ও আরিফ আদনান বলেন, জেলা প্রশাসকের দিকনির্দেশনায় ন্যায্য মূল্যের মাংসের দোকান চালু করা হয়েছে । এই দোকানে প্রতি কেজি ৬০০ টাকা দরে ক্রেতাগণ কিনতে পারবেন এবং গরিব জনগণ ২৫০ গ্রাম থেকে গরুর মাংস কিনতে পারবেন বলে জানান ইউ এন ওআরিফ আদনান।