বিনোদন, রাজনীতি

বিনোদন, রাজনীতি

১৩ অভিনেত্রী হতে চান সংরক্ষিত আসনে আওয়ামী লীগের এমপি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনেছেন বিনোদন অঙ্গনের একঝাঁক তারকা। জানা গেছে, ১৩ জন অভিনেত্রী সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকেই রাজধানীর গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা ফরম জমা দেওয়ার ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। দেখা যায়, তৃতীয় দিনেও অনেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেও জমা দেওয়ার বুথে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের চাপ অনেক বেশি ছিল।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের একটি সূত্র গণমাধ্যমকে জানায়, ১৩ জন তারকা অভিনেত্রী মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। তাঁরা হলেন- অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা, তারিন জাহান, অপু বিশ্বাস, নিপুণ আক্তার, শিমলা, শাহনূর, তানভীন সুইটি, মেহের আফরোজ শাওন, শমী কায়সার, রোকেয়া প্রাচী, সোহানা সাবা, ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর ও শামিমা তুষ্টি। তারকারা ছাড়াও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের কমিটিতে থাকা নেত্রীরাও মনোনয়ন ফরম কিনেছেন।

আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, গত মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া প্রথম দিনে ৮১০টি ফরম বিক্রি করে আওয়ামী লীগ। গতকাল বুধবার দ্বিতীয় দিনে ৫২২টি ফরম বিক্রি হয়। ফরম বিক্রি করে দলটি ৬ কোটি ৬৬ লাখ টাকা আয় করেছে।

শেয়ার
বিষয়:
পরবর্তী খবর

উপদেষ্টা মাহফুজ ও আসিফের নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও পদত্যাগ নিয়ে যত আলোচনা

অন্তর্বর্তী সরকারে শিক্ষার্থী প্রতিনিধি হিসেবে শপথ নেওয়া দুই উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ আসন্ন নির্বাচনে অংশ নেবেন কি না, তা নিয়ে রাজনীতির মাঠে জোর আলোচনা চলছে।

আগেই নির্বাচনে অংশগ্রহণের আগ্রহের কথা জানিয়েছিলেন আসিফ মাহমুদ। তবে কোনো দলের প্রার্থী হবেন না কি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াবেন— সে বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেননি বলে জানিয়েছেন তিনি।

অন্যদিকে মাহফুজ আলম নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন বলে কয়েক দিন আগে এনসিপির এক সভায় বক্তব্য দেন তার ভাই মাহবুব আলম।

সম্প্রতি বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির নেতারা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করে কয়েকজন উপদেষ্টার বিষয়ে তাদের আপত্তি জানান।

এ নিয়ে চলমান আলোচনার মধ্যেই গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়, সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে দুই উপদেষ্টাকে পদত্যাগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।

এ বিষয়ে জানতে দুই উপদেষ্টার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

তবে সূত্র বলছে, নির্বাচন ঘিরে নানা সমীকরণে এখনই পদত্যাগের কথা ভাবছেন না তারা।

জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের শাসনের পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে এই দুজনসহ তিনজন জায়গা পান।

সরকারে যাওয়া তিনজনের মধ্যে নাহিদ ইসলাম পদত্যাগ করে যোগ দেন আন্দোলনের সামনের সারির নেতাদের নিয়ে গঠিত দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-তে।

সরকারের ওপর এনসিপির প্রভাব বিস্তারে পরোক্ষভাবে শিক্ষার্থী উপদেষ্টাদের যে ভূমিকা ছিল, নাহিদ ইসলামের পদত্যাগের পর তার অনেকটাই কমে গেছে।

ফলে বাকি দুজন উপদেষ্টাও যদি পদত্যাগ করেন, তাহলে সরকারের সঙ্গে সম্পর্কে ফাটল ধরার শঙ্কা আছে এনসিপির মধ্যে।

নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারীর পদত্যাগ নিয়ে গুঞ্জন
এনসিপি থেকে দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী পদত্যাগ করছেন— বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) এমন একটি খবর ছড়িয়ে পড়ে।

সূত্রের বরাতে প্রকাশিত খবরগুলোয় বলা হয়, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সরকার থেকে পদত্যাগ করে এনসিপিতে যোগ দেওয়ার কথা ভাবছেন।

সেক্ষেত্রে দলে এসে নির্বাচন ও সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তিনি, যাতে সমর্থন দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

কিন্তু বর্তমানে ওই দায়িত্বে থাকা নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী এ সিদ্ধান্তে মনঃক্ষুণ্ণ হয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন বলে খবর প্রকাশিত হয়।

যদিও ‘পদত্যাগের বিষয়টি কিংবা দল থেকে অব্যাহতি নেওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়’ জানিয়ে রাতেই এক বিজ্ঞপ্তি দেয় এনসিপি।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন সামনে রেখে দলের অভ্যন্তরে শীর্ষ পদগুলোতে কিছু পরিবর্তনের আলোচনা চলছে। সেখান থেকেই এই গুঞ্জনের সূত্রপাত হতে পারে।

এমনকি আসিফ মাহমুদের এনসিপিতে যোগ দেওয়ার গুঞ্জনও সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন একাধিক এনসিপি নেতা।

বরং বিএনপির সঙ্গে ‘নেগোসিয়েশন’ করে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ভাবছেন— এমন গুঞ্জনও শোনা যাচ্ছে।

সেক্ষেত্রে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে বা পরে পদত্যাগ করতে পারেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।

মাহফুজ আলমের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে আলোচনা
গত ১৭ অক্টোবর লক্ষ্মীপুরে এনসিপির এক সভায় উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ভাই মাহবুব আলম বলেন, ‘আগামী সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনে প্রার্থী হতে পারেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।’

গত মাসের শেষের দিকে এক সংলাপে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, ‘গত দুই মাস ধরে আমি অনিশ্চয়তার মধ্যে আছি— আমি কখন নামব, জানি না।’

রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে পদত্যাগ চাওয়ার প্রসঙ্গ টেনে তিনি এ কথা বলেন।

ফলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের চাপ এবং নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া— এই দুই দিক থেকেই মাহফুজ আলমের পদত্যাগের আলোচনা সামনে এসেছে।

কিন্তু নির্বাচনের আগে রাজনীতিতে যে সমীকরণ দেখা যাচ্ছে, তাতে শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের দুজনই যদি পদত্যাগ করেন এবং গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কেউই যদি সরকারে না থাকেন, তবে সার্বিক পরিস্থিতির ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকবে না বলে মনে করছেন গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া নেতারা।

আর তাই আসিফ মাহমুদ নির্বাচনে অংশ নিলেও মাহফুজ আলম নির্বাচন না করে সরকারে থাকার কথাই ভাবছেন বলে তাদের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো জানিয়েছে।

উপদেষ্টাদের পদত্যাগের আলোচনা, কীভাবে দেখছে এনসিপি
নির্বাচনের আগে কেবল শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের মধ্য থেকে হওয়া দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ চাওয়ার বিষয়টিকে সন্দেহের চোখে দেখছেন এনসিপি নেতারা।

রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি এবং সরকার থেকে তাদের পদ ছাড়ার পরামর্শকে তারা পরিকল্পিত বলেই মনে করছেন।

তাদের মতে, নানা পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছিল। গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্বের ধারাবাহিকতায় শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হিসেবেই তারা সরকারে গেছেন।

কিন্তু সরকার গঠনের ছয় মাস পর আত্মপ্রকাশ করা এনসিপির সঙ্গে তাদের মিলিয়ে প্রচারণা চালানো কিংবা পদত্যাগ করতে বলা উদ্দেশ্যমূলক।

‘দুই উপদেষ্টাকে দলীয় হিসেবে দেখানোর প্রবণতা যদি থেকে থাকে, তবে অনেক উপদেষ্টাই আছেন যাদের রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড রয়েছে। তারা সরকারের ভেতরে থেকেই কোনো না কোনো দলকে সমর্থন করে যাচ্ছেন,’ বলেন এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন।

তার দাবি, কেবল পূর্বতন রাজনৈতিক পরিচয় বা সখ্যতার বিষয়কে দলীয় হিসেবে বিবেচনা করা হলে সরকার ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের অনেকেরই বিএনপি ও জামায়াতের সঙ্গে গভীর সখ্যতা রয়েছে।

ফলে তাদের জায়গাটাও পুনর্গঠন করা দরকার বলে মন্তব্য করেন তিনি।

রাজনীতিতে কী প্রভাব পড়বে?
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সময় এতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সেনাবাহিনী ও শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি যুক্ত করা হয়েছিল।

পরবর্তী সময়ে নানা ইস্যুতে আলোচনায় এক ধরনের ভারসাম্যও দেখা গেছে।

কিন্তু দল গঠনের জন্য নাহিদ ইসলামের পদত্যাগের পর সরকারের ওপর শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের নিয়ন্ত্রণ অনেকটাই নড়বড়ে হয়ে পড়েছে।

এরই মধ্যে এগিয়ে আসছে নির্বাচন। এনসিপি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ উঠছে শিক্ষার্থী প্রতিনিধি দুই উপদেষ্টার বিরুদ্ধে।

রাজনীতি পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের আগ্রহ থাকলেও আরও কিছু সময় ক্ষমতা ধরে রাখার উদ্দেশ্যে ওই দুই উপদেষ্টা এখনই পদত্যাগ করছেন না।

‘ক্ষমতার চেয়ারে থাকার লাভ তো অন্যরকম। যতদিন আপনি ক্ষমতার চেয়ারে, ততদিন আপনি প্রভাব-প্রতিপত্তি উপভোগ করতে পারবেন,’ বলেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক সাব্বির আহমেদ।

তবে নির্বাচনের নিরপেক্ষতার স্বার্থে শিক্ষার্থী উপদেষ্টাদের ‘চলে যেতে হবে’ বলেই মত তার।

এমনকি আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলম পদত্যাগ করলেও সরকারের সঙ্গে এনসিপির সম্পর্ক খারাপ হবে না বলে মনে করেন সাব্বির আহমেদ।

তার মতে, এই শিক্ষার্থীরা অধ্যাপক ইউনূসকে ক্ষমতায় বসিয়েছেন। আর এনসিপি গঠনের ক্ষেত্রেও তার নিজস্ব আগ্রহ কাজ করেছে।

ফলে কেবল পদত্যাগ করলেই ‘এনসিপির পেছন থেকে মেন্টর হিসেবে অধ্যাপক ইউনূস চলে যাবেন, সেটা ভাবার এখনই সময় আসেনি,’ মন্তব্য করেন তিনি।

সূত্র : বিবিসি

শেয়ার
পরবর্তী খবর

জয়ার ‘ফেরেশতে’ আসছে ১৯ সেপ্টেম্বর

দীর্ঘ তিন বছরের অপেক্ষার পর অবশেষে মুক্তি পাচ্ছে বাংলাদেশ-ইরান যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র ‘ফেরেশতে’। ইরানি নির্মাতা মুর্তজা অতাশ জমজম পরিচালিত ছবিটি ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে দেশের সব সিনেপ্লেক্সে প্রদর্শিত হবে।

প্রান্তিক মানুষের জীবনের গল্প নিয়ে নির্মিত ছবিতে অভিনয় করেছেন জয়া আহসান। বর্তমানে কলকাতায় অবস্থান করা এই অভিনেত্রী ব্যক্তিগত কাজ শেষে এই সপ্তাহেই ঢাকায় ফিরবেন। এরপর ছবির প্রচারণায় অংশ নেবেন তিনি।

জয়া বলেন, ‘আমাদের দেশের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের ভেতরের সংগ্রামী ও সাহসী চরিত্রের একজনকে ফুটিয়ে তোলা বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল। তবে পুরো টিমের সহযোগিতায় কাজটি ভালোভাবে শেষ করতে পেরেছি।’

‘ফেরেশতে’ ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক পরিসরে প্রশংসিত হয়েছে। ছবিটি ফজর চলচ্চিত্র উৎসবে মানবিক বার্তার জন্য জাতীয় পুরস্কার জিতেছে। এছাড়া ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৪-এর উদ্বোধনী ছবি হিসেবে প্রদর্শিত হয়েছিল এবং গোয়া আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবেও প্রশংসা কুড়িয়েছে।

ছবির প্রধান অভিনেতা ও প্রযোজক সুমন ফারুক বলেন, ‘এই চলচ্চিত্রে সমাজের প্রান্তিক মানুষের গল্প উঠে এসেছে, যা সহজে উচ্চবিত্তরা উপলব্ধি করতে পারে না। আশা করছি, দেশীয় দর্শকও ছবিটিকে আন্তরিকভাবে গ্রহণ করবেন।’

চলচ্চিত্রটিতে জয়া আহসান ও সুমন ফারুক ছাড়াও অভিনয় করেছেন শহীদুজ্জামান সেলিম, শাহেদ আলী, রিকিতা নন্দিনী শিমু, শাহীন মৃধা ও শিশুশিল্পী সাথী। চিত্রনাট্য লিখেছেন মুমিত আল-রশিদ, আর ফারসি ও বাংলা অনুবাদ করেছেন ফয়সাল ইফরান।

No photo description available.

বাংলাদেশি দর্শকদের জন্য এ ছবিটি একদিকে হবে সামাজিক বার্তাবহ, অন্যদিকে আন্তর্জাতিক মানের একটি ভিন্নধর্মী অভিজ্ঞতা।

শেয়ার
সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত