রংপুর জেলার বদরগঞ্জ এলাকায় সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি এবং একজন এসআইকে বেঁধে পিটানোর ঘটনায় ডাকাত চক্রের অন্যতম মূলহোতা তাহেরকে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১০।
মামলার বিবরণে জানা যায়, রংপুর জেলার বদরগঞ্জ এলাকার মোঃ মিজানুর রহমান একজন ডেকোরেটর ব্যবসায়ী। গত ০১/০২/২৪ তারিখ রাতের বেলায় বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ করে ধোলাইঘাট হতে তার মোটরসাইকেল যোগে তার সঙ্গীও লাইটিং মিস্ত্রি অরূপ রায়সহ নিজ বাড়িতে আসার রাত ১২:৩০টায় বদরগঞ্জ থানাধীন ৯ নং দামোদরপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত উত্তর আমরুল বাড়ির পূর্ব পাড়া গ্রামস্থ জনৈক কমলাকান্ত রায়-এর ভুট্টাক্ষেত সংলগ্ন বদরগঞ্জ হতে লালদীঘি গামী পাকা রাস্তার উপর পৌঁছালে অজ্ঞাত নামা ৭/৮ জন ডাকাত দলের সদস্য রাস্তার পাশে থাকা রাস্তারর গাছ কেটে রাস্তা বন্ধ করে রাখে। রাস্তার দুই পাশ হতে মুখ বাঁধা অবস্থায় ডাকাত দলের ৭/৮ জন সদস্য বাঁশের লাঠি, গাছের ডাল, লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্র দ্বারা ভিকটিমদেরকে আঘাত করলে তারা মোটরসাইকেলসহ রাস্তায় পড়ে যায়। তখন ডাকাত দলের সদস্যরা তাদের হাত পা বেঁধে রাস্তা হতে একটু দূরে নিয়ে গিয়ে মারধর করে এবং তাদের নিকট হতে মোবাইল টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেয়। এর কিছুক্ষণ পর পুলিশ সদস্য এসআই মোহাম্মদ মেহেদী হাসান ও তার সহোযোগী শরিফুল ইসলাম মোটরসাইকেল যোগে যাওয়ার সময় ডাকাত দলের সদস্যরা তাদেরকেও আটক করে এবং মারপিট করে মোবাইলসহ টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেয় এবং সকলকে বেঁধে ফেলে। এইভাবে ডাকাত দলের সদস্যরা তাদেরকে ৩০-৪০ মিনিট হাত পা বাঁধা অবস্থায় মাটিতে ফেলে রাখে। ঐ মুহূর্তে বদরগঞ্জ থানার পুলিশের একটি টহল গাড়ি এগিয়ে আসলে পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে ডাকাত দলে সদস্যরা টাকা ও মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যায়।
উক্ত ঘটনায় ভিকটিম মোঃ মিজানুর রহমান বাদী হয়ে রংপুর জেলার বদরগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং- ০৫, জিআর নং-২১/২৪, তারিখ-০২/০২/২০২৪ খ্রিঃ; ধারা-৩৯৫/৩৯৭ পেনাল কোড-১৮৬০। পরবর্তীতে র্যাব-১০ এর একটি চৌকস গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাতে র্যাব-১০ এর একটি চৌকস দল নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানাধীন উমরতলী স্কুল এর সামনে অভিযান চালিয়ে উপরোক্ত চাঞ্চল্যকর ডাকাতি মামলার প্রধান আসামী, কুখ্যাত ডাকাত সর্দার, মোঃ তাহের মিয়া (৩০), পিতা-মোঃ আব্দুল করিম,সাং-আমরুলবাড়ী, হাটখোলাপাড়, থানা-বদরগঞ্জ, জেলা-রংপুরকে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামি উক্ত ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ততার সত্যতা স্বীকার করে। জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত আসামি একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সর্দার। তার নেতৃত্বে উক্ত সংঘবদ্ধ ডাকাত দল রংপুরসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ডাকাতি করে আসছিল।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
রাজধানীর ধানমণ্ডির বিজিবি সীমান্ত সম্ভার শপিং কমপ্লেক্সের একটি স্বর্ণের দোকানে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. রুবেল (২৮), সফিক ওরফে সোহেল (৩৫) এবং সাদ্দাম হোসেন (৩১)। এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া ৫০ ভরি আট আনা স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, ধানমণ্ডি মডেল থানাধীন ‘ক্রাউন ডায়মন্ড এন্ড জুয়েলার্স’ শোরুমে গত ৩ জানুয়ারি বেলা ১টার দিকে চুরির ঘটনা ঘটে। চোরচক্র অভিনব পদ্ধতিতে শো-রুমের তালা ও সাটার কেটে মাত্র আট মিনিটের মধ্যে ১৫৯ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। দোকানের মালিক কাজী আকাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকারের আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়।
মামলার প্রেক্ষিতে ডিবি পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ৯ জানুয়ারি থেকে ডিবি পুলিশ ধারাবাহিক অভিযান চালায়। কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে প্রথমে মো. রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লার দেবীদ্বার থেকে সফিক ওরফে সোহেল এবং মুরাদনগর থেকে সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ২৮ ভরি ১৪ আনা আসল স্বর্ণ এবং ২১ ভরি ১০ আনা গলিত স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। ডিবি সূত্রে আরও জানা যায়, চুরির ঘটনায় জড়িত চক্রের অন্যান্য সদস্যদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেফতার ও অবশিষ্ট স্বর্ণ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ডিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান পিপিএম জানান, এই চক্র অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পরিকল্পনা করে চুরি সংঘটিত করে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে জনগণের আস্থা অক্ষুণ্ণ রাখতে সক্ষম হয়েছে।
চড়া দামের কারণে নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত অনেক মানুষ পুরো এক কেজি মাংস কিনতে পারছে না। এমন ক্রেতাদের সুবিধার্থে এবার ২৫০ গ্রাম গরুর মাংসও বিক্রি হবে নওগাঁর পোরশায়। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ন্যায্যমূল্যের দোকানে গরুর মাংস বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ই ডিসেম্বর) সকাল আটটার দিকে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফ আদনান।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সহযোগিতায় ও জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আউয়ালের নির্দেশে ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস বিক্রির এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ সময় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে ইউ এন ও আরিফ আদনান বলেন, জেলা প্রশাসকের দিকনির্দেশনায় ন্যায্য মূল্যের মাংসের দোকান চালু করা হয়েছে । এই দোকানে প্রতি কেজি ৬০০ টাকা দরে ক্রেতাগণ কিনতে পারবেন এবং গরিব জনগণ ২৫০ গ্রাম থেকে গরুর মাংস কিনতে পারবেন বলে জানান ইউ এন ওআরিফ আদনান।