আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচন যাতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, তার জন্য নির্বাচন উন্মুক্ত করে দিয়েছিলাম। এই নির্বাচনকে কেউ প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারেনি। যারা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, তাদের কাছে প্রশ্ন, কী কী কারণে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি সেটা বলতে হবে।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে গণভবনে আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দেশি-বিদেশি একটি পক্ষ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকে চেয়েছে, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু না হোক, তাতে প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে এবং স্যাংশনস দেওয়া যাবে। স্যাংশনস নিয়ে আমি বলেছিলাম, আমরাও স্যাংশনস দিতে পারি। না জেনে বলি নাই। আমি স্যাংশনসের সব জানি বলেই বলেছি।
বিএনপির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারে যাতে না আসতে পারে, বারবার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। জনগণ আমাদের শক্তি, তারা চেয়েছে বলেই এসেছি। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ আমাদের শক্তি। এই দলটির নেতাকর্মীদের ত্যাগের বিনিময়ে নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আজ আমরা এখানে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর বহু বড়, উন্নত দেশেও নির্বাচন হয়েছে সে নির্বাচনও এখন দেখা যাচ্ছে, বিরোধীদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। এমনকি নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় এমন অবস্থা যে, অনেক জায়গায় খুনোখুনি হয়ে গেছে। বাংলাদেশে অন্তত এটুকু বলতে পারি, আমাদের জনপ্রশাসন, সশস্ত্র বাহিনী, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থেকে শুরু করে নির্বাচনের সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রত্যেকে অত্যন্ত নিরপেক্ষভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করেছে। যার জন্য আমরা নির্বাচনটা অবাধ-সুষ্ঠুভাবে করতে পেরেছি।
আওয়ামী লীগকে অনেক ঘাত-প্রতিঘাত পার করতে হয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, তারপরও সফলভাবে গত ৭ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুধু এই নির্বাচন না, ২০১৪ এর নির্বাচন, ১৮ এর নির্বাচন—প্রত্যেকটা নির্বাচনেই, নির্বাচনটা যাতে না হয় তার জন্য চক্রান্ত করা হয়েছে। কিন্তু বারবার আমরা সেটা মোকাবিলা করেই জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকারে এসেছি।
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলকে শনিবার (২ নভেম্বর) সংবর্ধনা দেবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সকাল ১১টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
নেপালে সাফ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৪ জিতে বৃহস্পতিবার দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল।
শনিবার (২ নভেম্বর) দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় কাকরাইল চত্বরে ঘোষিত সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে জাতীয় পার্টি।
শুক্রবার রাতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়। এতে বলা হয়, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স ২৯ ধারার ক্ষমতা বলে (সভাস্থল) পাইওনিয়ার রোডস্থ ৬৬ নং ভবন, কাকরাইলসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় যে কোন প্রকার সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ প্রদর্শন ইত্যাদি নিষিদ্ধ করায় জাতীয় পার্টি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার এই সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছিল দলটি।
পরবর্তী কর্মসূচি দলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।