দেশ

দেশ

বাঘা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন : প্রচারে সম্ভাব্য প্রার্থীরা

তফসীল ঘোষণা হওয়ার আগেই নির্বাচনী প্রচারে নেমে পড়েছেন রাজশাহীর বাঘা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। আগামী ২৫ মে অনুষ্ঠিত নির্বাচন উপলক্ষে এ উপজেলায় এখন পর্যন্ত জামাত-বিএনপির কেউ প্রচারে না নামলেও আওয়ামী লীগের সাতজন চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দিয়েছেন। এদের মধ্যে নতুন প্রার্থী হিসেবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন বাঘা উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক ও বাঘা পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র শাহিনুর রহমান পিন্টু। ভোটার ও প্রার্থীদের মাঝে তার নামটা জোরেশোরে আলোচনায় উঠে আসছে।

এ উপজেলায় আসন্ন নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতার জন্য বর্তমান চেয়ারম্যান ও রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সম্পাদক অ্যাডভোকেট লায়েব উদ্দিন লাভলু ছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে আছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ সম্পাদক (সাবেক) সুজিত কুমার পান্ডে বাকু, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) ফাতেমা খাতুন লতা।

এছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থিতার নাম আসছে বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি ও চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আজিজুল আযম, বাঘা উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান, জাতীয় সমাজ তান্ত্রিক দল (জাসদ ইনু)’র জেলা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমিটির সাবেক কমান্ডার, বাজুবাঘা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এবং জাতীয় সমাজ তান্ত্রিক দল জাসদ কেন্দ্রীয় কার্যকরি কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিউর রহমান শফি। তবে এদের কেউ এখনও প্রচারে নেই।

এদিকে আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থিতা নিয়ে এ জনপদের রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতামত, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবার তাদের দলীয় প্রার্থী না দেওয়ায় প্রার্থীদের নিজস্ব জনপ্রিয়তায় নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে হবে। সেই দৃষ্টিকোণে সব থেকে এগিয়ে রয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান লায়েব উদ্দিন লাভলু ও উদীয়মান তরুণ নেতা শাহিনুর রহমান পিন্টু।

সরেজমিন ঘুরে ভোটারদের সাথে আলাপকালে জানা যায়, এই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে মূল আলোচনায় রয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সম্পাদক অ্যাডভোকেট লায়েব উদ্দিন লাভলু এবং শাহিনুর রহমান পিন্টু। দুজনের অনুসারীরা নিজ নিজ প্রার্থীর পক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

একাধিক ভোটারদের অভিমত, জনপ্রিয়তার দিক থেকে এবার ব্যাপকভাবে আলোচিত নাম শাহিনুর রহমান পিন্টু। তার জনপ্রিয়তা আ’লীগের বড় অংশসহ সকল পর্যায়ের মানুষের মাঝে আছে। পিন্টু ২০১৭ সালের বাঘা পৌরসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে প্যানেল মেয়রের দায়িত্ব পেয়ে শুধু পৌর এলাকা নয়, পুরো উপজেলার জনগণের সুখে-দুঃখে পাশে ছিলেন। সেই সুবাদে তিনি ২০১৮ সাল থেকে এলাকায় জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। তার রয়েছে পারিবারিক ও গোষ্ঠীগত আলাদা ভোট ব্যাংক। উপজেলার বিভিন্ন ধর্মীয়, সামাজিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ পারিবারিকভাবে রয়েছে তার ব্যাপক অনুদান। তাই তার অনুসারীদের প্রত্যাশা, আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে, শাহিনুর রহমান পিন্টু বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন।

অপরদিকে বর্তমান চেয়ারম্যান লায়েব উদ্দিন লাভলুর অনুসারীদের ভাবনা, চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে লায়েব উদ্দিন লাভলু সবার সেরা। জনগণ যদি যোগ্যতা দেখে ভোট দেয় তাহলে লায়েব উদ্দিন লাভলু বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে আবার উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন।

সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, প্রার্থীরা একেকদিন একেক এলাকায় উঠান বৈঠক করে প্রার্থীতার জানান দিচ্ছেন। দিচ্ছেন নানান প্রতিশ্রুতি। নির্বাচনের ক্ষণ এগিয়ে আসার সাথে সাথে সরগরম হয়ে উঠছে প্রচারণার মাঠ। চায়ের দোকান, রেস্টুরেন্টসহ সর্বত্রই চলছে প্রধান দুই হেভিওয়েট চেয়ারম্যান প্রার্থী নিয়ে আলোচনা।

ইসি অফিস সূত্রে জানা যায়, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৪ ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন অফিস সূত্রে পাওয়া সম্ভাব্য তারিখ হলো, প্রথম ধাপের ভোট হবে ৪ মে, দ্বিতীয় ধাপের ভোট হবে ১১ মে, তৃতীয় ধাপের ভোট হবে ১৮ মে এবং চতুর্থ ধাপের ভোট হবে ২৫ মে। এ উপজেলার ভোট গ্রহণ হবে ২৫ মে চতুর্থ ধাপে। ৭টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত বাঘা উপজেলা পরিষদ।

বিষয়:
পরবর্তী খবর

৫০ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার

সীমান্ত সম্ভারে স্বর্ণের দোকানে চাঞ্চল্যকর চুরির রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার ৩

রাজধানীর ধানমণ্ডির বিজিবি সীমান্ত সম্ভার শপিং কমপ্লেক্সের একটি স্বর্ণের দোকানে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. রুবেল (২৮), সফিক ওরফে সোহেল (৩৫) এবং সাদ্দাম হোসেন (৩১)। এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া ৫০ ভরি আট আনা স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা।

ডিবি সূত্রে জানা যায়, ধানমণ্ডি মডেল থানাধীন ‘ক্রাউন ডায়মন্ড এন্ড জুয়েলার্স’ শোরুমে গত ৩ জানুয়ারি বেলা ১টার দিকে চুরির ঘটনা ঘটে। চোরচক্র অভিনব পদ্ধতিতে শো-রুমের তালা ও সাটার কেটে মাত্র আট মিনিটের মধ্যে ১৫৯ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। দোকানের মালিক কাজী আকাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকারের আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়।

মামলার প্রেক্ষিতে ডিবি পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ৯ জানুয়ারি থেকে ডিবি পুলিশ ধারাবাহিক অভিযান চালায়। কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে প্রথমে মো. রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লার দেবীদ্বার থেকে সফিক ওরফে সোহেল এবং মুরাদনগর থেকে সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ২৮ ভরি ১৪ আনা আসল স্বর্ণ এবং ২১ ভরি ১০ আনা গলিত স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। ডিবি সূত্রে আরও জানা যায়, চুরির ঘটনায় জড়িত চক্রের অন্যান্য সদস্যদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেফতার ও অবশিষ্ট স্বর্ণ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ডিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান পিপিএম জানান, এই চক্র অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পরিকল্পনা করে চুরি সংঘটিত করে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে জনগণের আস্থা অক্ষুণ্ণ রাখতে সক্ষম হয়েছে।

বিষয়:
পরবর্তী খবর

পোরশায় ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস, কেনা যাবে ২৫০ গ্রাম

চড়া দামের কারণে নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত অনেক মানুষ পুরো এক কেজি মাংস কিনতে পারছে না। এমন ক্রেতাদের সুবিধার্থে এবার ২৫০ গ্রাম গরুর মাংসও বিক্রি হবে নওগাঁর পোরশায়। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ন্যায্যমূল্যের দোকানে গরুর মাংস বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৩ই ডিসেম্বর) সকাল আটটার দিকে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফ আদনান।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সহযোগিতায় ও জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আউয়ালের নির্দেশে ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস বিক্রির এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এ সময় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।

এ প্রসঙ্গে ইউ এন ও আরিফ আদনান বলেন, জেলা প্রশাসকের দিকনির্দেশনায় ন্যায্য মূল্যের মাংসের দোকান চালু করা হয়েছে । এই দোকানে প্রতি কেজি ৬০০ টাকা দরে ক্রেতাগণ কিনতে পারবেন এবং গরিব জনগণ ২৫০ গ্রাম থেকে গরুর মাংস কিনতে পারবেন বলে জানান ইউ এন ওআরিফ আদনান।

বিষয়:
সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত