দেশ

দেশ

ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশের সংবাদ সম্মেলন

ঠাকুরগাঁওয়ে ফেসবুক প্রতারক চক্রের এক সদস্য ও মটরসাইকেল চোর চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেফতার বিষয়ে জেলা পুলিশের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশের আয়োজনে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মিথুন সরকার, বালিয়াডাঙ্গী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফিরোজ কবির, ডিবি’র অফিসার ইনচার্জ মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, ঠাকুরগাঁও প্রেসকাবের সভাপতি মনসুর আলীসহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ।

পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক জানান, মোবাইলের মাধ্যমে ফেসবুকে আইডি খুলে অজ্ঞাত ভারতীয় নারীর পরিচয় ধারণ করে বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মোঃ আজিম খান ওরফে বিদ্যুৎকে (৩৭) গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। সে পৌর শহরের নিশ্চিন্তপুর এলাকার মোঃ আব্বাস আলীর ছেলে। আজিম দীর্ঘদিন ধরে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ফেসবুকে ভুয়া আইডি খুলে নিজেক অজ্ঞাত ভারতীয় নারীর পরিচয় প্রদান করে আসছিলেন। বিভিন্ন ব্যক্তিকে সে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠিয়ে পরে মেসেঞ্জারে নগ্ন ছবি ও ভিডিও কলের মাধ্যমে কথা বলে তা সংরক্ষণ করে ওই ব্যক্তিদের ওই নগ্ন ছবি ও ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থ দাবি করে প্রতারণা করে আসছিলেন। তার বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা দয়ের করা হয়েছে।

   

 

 

 

 

 

এছাড়াও বালিয়াডাঙ্গী থানা পুলিশের অভিযানে চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধারসহ চোর চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার মোড়লহাট বোবড়া গ্রামের মোঃ মোজাম্মেল হকের ছেলে মোঃ সাইফুল ইসলাম (২২) ও একই উপজেলার রায়মহল নেন্দপাড়া গ্রামের মোঃ কিসমত আলীর ছেলে মোঃ সোহেল রানা (২৪) এবং পাশ্ববর্তী পঞ্চগড় জেলার ভাওলাহাট (তেতুলিয়া) গ্রামের মোঃ খোরশেদ আলমের ছেলে মোঃ আব্দুর রহিম (৩২)। চোর চক্রের সদস্যরা গত ৯ ফেব্রুয়ারি বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার মধ্য বোবড়া ঈদগা এলাকায় মোঃ জসীম উদ্দিন নামে এক ব্যবসায়িকে আটকিয়ে নগদ টাকা ও একটি মোটরসাইকেল ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই ব্যক্তি মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশের অভিযানে পীরগঞ্জ উপজেলার ভোমরাদহ গাজিপাড়া জনৈক মোঃ আমির হোসেন ওরফে ভুট্টুর বাড়ি হতে চোরাই মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয় বলে জানান পুলিশ সুপার।

বিষয়:
পরবর্তী খবর

৫০ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার

সীমান্ত সম্ভারে স্বর্ণের দোকানে চাঞ্চল্যকর চুরির রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার ৩

রাজধানীর ধানমণ্ডির বিজিবি সীমান্ত সম্ভার শপিং কমপ্লেক্সের একটি স্বর্ণের দোকানে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. রুবেল (২৮), সফিক ওরফে সোহেল (৩৫) এবং সাদ্দাম হোসেন (৩১)। এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া ৫০ ভরি আট আনা স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা।

ডিবি সূত্রে জানা যায়, ধানমণ্ডি মডেল থানাধীন ‘ক্রাউন ডায়মন্ড এন্ড জুয়েলার্স’ শোরুমে গত ৩ জানুয়ারি বেলা ১টার দিকে চুরির ঘটনা ঘটে। চোরচক্র অভিনব পদ্ধতিতে শো-রুমের তালা ও সাটার কেটে মাত্র আট মিনিটের মধ্যে ১৫৯ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। দোকানের মালিক কাজী আকাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকারের আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়।

মামলার প্রেক্ষিতে ডিবি পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ৯ জানুয়ারি থেকে ডিবি পুলিশ ধারাবাহিক অভিযান চালায়। কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে প্রথমে মো. রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লার দেবীদ্বার থেকে সফিক ওরফে সোহেল এবং মুরাদনগর থেকে সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ২৮ ভরি ১৪ আনা আসল স্বর্ণ এবং ২১ ভরি ১০ আনা গলিত স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। ডিবি সূত্রে আরও জানা যায়, চুরির ঘটনায় জড়িত চক্রের অন্যান্য সদস্যদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেফতার ও অবশিষ্ট স্বর্ণ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ডিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান পিপিএম জানান, এই চক্র অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পরিকল্পনা করে চুরি সংঘটিত করে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে জনগণের আস্থা অক্ষুণ্ণ রাখতে সক্ষম হয়েছে।

বিষয়:
পরবর্তী খবর

পোরশায় ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস, কেনা যাবে ২৫০ গ্রাম

চড়া দামের কারণে নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত অনেক মানুষ পুরো এক কেজি মাংস কিনতে পারছে না। এমন ক্রেতাদের সুবিধার্থে এবার ২৫০ গ্রাম গরুর মাংসও বিক্রি হবে নওগাঁর পোরশায়। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ন্যায্যমূল্যের দোকানে গরুর মাংস বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৩ই ডিসেম্বর) সকাল আটটার দিকে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফ আদনান।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সহযোগিতায় ও জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আউয়ালের নির্দেশে ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস বিক্রির এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এ সময় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।

এ প্রসঙ্গে ইউ এন ও আরিফ আদনান বলেন, জেলা প্রশাসকের দিকনির্দেশনায় ন্যায্য মূল্যের মাংসের দোকান চালু করা হয়েছে । এই দোকানে প্রতি কেজি ৬০০ টাকা দরে ক্রেতাগণ কিনতে পারবেন এবং গরিব জনগণ ২৫০ গ্রাম থেকে গরুর মাংস কিনতে পারবেন বলে জানান ইউ এন ওআরিফ আদনান।

বিষয়:
সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত