যথাযথ ভাব-গাম্ভির্য্যের মধ্য দিয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পালিত হয়েছে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৪।
দিবসটি উপলক্ষে সকাল ৯:০০টায় জাতির সূর্যসন্তান ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের উদ্দেশ্যে মাননীয় উপাচার্য (রু.দা.) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়ার নেতৃত্বে প্রভাত ফেরি সহকারে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে সমবেত হন। এসময় পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপাচার্য মহোদয়।
এরপর একে একে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, অফিসার্স এসোসিয়েশন, গ্রেড ১১-১৬ ও গ্রেড ১৭-২০ কল্যান পরিষদ, বঙ্গবন্ধু হল, শেরে বাংলা হল, শেখ হাসিনা হল, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল, ২৫টি বিভাগ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
এদিকে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি এক আলোচনা সভার আয়োজন করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কীর্তনখোলা অডিটোরিয়ামে সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (রু.দা.) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য মহোদয় বলেন, ভাষা আন্দোলন বাঙালির রক্তের সাথে একাকার হয়ে আমাদের বারবার জানান দিয়ে যায় বাঙালির একটা নিজস্বতা ও মৌলিকত্ব রয়েছে। বাঙালির যে দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের ইতিহাস রয়েছে তার সবকিছুর মূলমন্ত্র হচ্ছে ভাষা আন্দোলন। ভাষা আন্দোলন আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে শেখায়। দেশের প্রতি, জাতির প্রতি, মাটির প্রতি বাঙালির যে অকৃত্রিম ভালোবাসা সেটি আরো বেশি করে জানান দিয়ে যায়। ভাষা আন্দোলনের এ চেতনাকে আমাদের নিজেদের ভিতরে লালন করতে হবে এবং মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষায় যার যার অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মোহাম্মদ আবদুল বাতেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন, ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান তানভীর কায়ছার, প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) ড. আব্দুল কাইউম, বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট আরিফ হোসেন, ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবু জাফর মিয়া, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. রহিমা নাসরিন এবং অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি বাহাউদ্দিন গোলাপ। শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. তারেক মাহমুদ আবীরের সঞ্চালনায় সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার, প্রভোস্ট, প্রক্টর, বিভাগীয় প্রধান, পরিচালকবৃন্দ, শিক্ষকমন্ডলী, শিক্ষার্থীসহ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
রাজধানীর ধানমণ্ডির বিজিবি সীমান্ত সম্ভার শপিং কমপ্লেক্সের একটি স্বর্ণের দোকানে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. রুবেল (২৮), সফিক ওরফে সোহেল (৩৫) এবং সাদ্দাম হোসেন (৩১)। এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া ৫০ ভরি আট আনা স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, ধানমণ্ডি মডেল থানাধীন ‘ক্রাউন ডায়মন্ড এন্ড জুয়েলার্স’ শোরুমে গত ৩ জানুয়ারি বেলা ১টার দিকে চুরির ঘটনা ঘটে। চোরচক্র অভিনব পদ্ধতিতে শো-রুমের তালা ও সাটার কেটে মাত্র আট মিনিটের মধ্যে ১৫৯ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। দোকানের মালিক কাজী আকাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকারের আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়।
মামলার প্রেক্ষিতে ডিবি পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ৯ জানুয়ারি থেকে ডিবি পুলিশ ধারাবাহিক অভিযান চালায়। কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে প্রথমে মো. রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লার দেবীদ্বার থেকে সফিক ওরফে সোহেল এবং মুরাদনগর থেকে সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ২৮ ভরি ১৪ আনা আসল স্বর্ণ এবং ২১ ভরি ১০ আনা গলিত স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। ডিবি সূত্রে আরও জানা যায়, চুরির ঘটনায় জড়িত চক্রের অন্যান্য সদস্যদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেফতার ও অবশিষ্ট স্বর্ণ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ডিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান পিপিএম জানান, এই চক্র অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পরিকল্পনা করে চুরি সংঘটিত করে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে জনগণের আস্থা অক্ষুণ্ণ রাখতে সক্ষম হয়েছে।
চড়া দামের কারণে নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত অনেক মানুষ পুরো এক কেজি মাংস কিনতে পারছে না। এমন ক্রেতাদের সুবিধার্থে এবার ২৫০ গ্রাম গরুর মাংসও বিক্রি হবে নওগাঁর পোরশায়। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ন্যায্যমূল্যের দোকানে গরুর মাংস বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ই ডিসেম্বর) সকাল আটটার দিকে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফ আদনান।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সহযোগিতায় ও জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আউয়ালের নির্দেশে ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস বিক্রির এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ সময় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে ইউ এন ও আরিফ আদনান বলেন, জেলা প্রশাসকের দিকনির্দেশনায় ন্যায্য মূল্যের মাংসের দোকান চালু করা হয়েছে । এই দোকানে প্রতি কেজি ৬০০ টাকা দরে ক্রেতাগণ কিনতে পারবেন এবং গরিব জনগণ ২৫০ গ্রাম থেকে গরুর মাংস কিনতে পারবেন বলে জানান ইউ এন ওআরিফ আদনান।