আবাসন ও জুয়েলারি শিল্পে অসামান্য অবদান রাখায় গ্লোবাল ব্র্যান্ডস ‘ট্রাব স্মার্ট পারফরম্যান্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৪’ পেলেন বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীর। গত বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে টেলিভিশন রিপোর্টার্স ইউনিটি অব বাংলাদেশ (ট্রাব) ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এই পুরস্কার দেয়। অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা গ্রুপের এমডির পক্ষ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের পরিচালক ও কালের কণ্ঠ’র প্রধান সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন। প্রধান অতিথি ছিলেন ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ।
অনুষ্ঠানে সংগীতে অবদান রাখায় বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, সংস্কৃতিতে অবদান রাখায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আহসান উল্লাহ মনি, মানব কল্যাণে পিরোজপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মহিউদ্দীন মহারাজ, রম্য রচনায় আবু হেনা মোরশেদ জামান, সফল উদ্যোক্তায় পান-সুপারির স্বত্বাধিকারী কণা রেজাসহ বিভিন্ন খাতে অবদান রাখায় গুণীজনদের সম্মাননা দেওয়া হয়।
ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, ‘মাতৃভাষার লড়াই মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে জড়িত। মাতৃভাষার জন্য আন্দোলন শুরু করেছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মাতৃভাষা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যাওয়ার কারণ হচ্ছে, এটি মানুষের মৌলিক অধিকার। জাতির পিতা সংবিধানেও সেটি উল্লেখ করেন। সেই ভাষা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সব ভাষা এবং সংস্কৃতির সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক থাকবে। তবে নিজের ভাষা-সংস্কৃতি ভোলা যাবে না।‘
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ট্রাবের ইন্ডিয়া বাংলাদেশ গ্লোবাল ফ্রেন্ডশিপ ফোরামের সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টা রেদুয়ান খন্দকার। উদ্বোধন করেন সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সংসদ সদস্য মহিউদ্দীন মহারাজ (পিরোজপুর-২), বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য দেন টেলিভিশন রিপোর্টার্স ইউনিটি অব বাংলাদেশের সভাপতি সালাম মাহবুদ।
রাজধানীর ধানমণ্ডির বিজিবি সীমান্ত সম্ভার শপিং কমপ্লেক্সের একটি স্বর্ণের দোকানে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. রুবেল (২৮), সফিক ওরফে সোহেল (৩৫) এবং সাদ্দাম হোসেন (৩১)। এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া ৫০ ভরি আট আনা স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, ধানমণ্ডি মডেল থানাধীন ‘ক্রাউন ডায়মন্ড এন্ড জুয়েলার্স’ শোরুমে গত ৩ জানুয়ারি বেলা ১টার দিকে চুরির ঘটনা ঘটে। চোরচক্র অভিনব পদ্ধতিতে শো-রুমের তালা ও সাটার কেটে মাত্র আট মিনিটের মধ্যে ১৫৯ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। দোকানের মালিক কাজী আকাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকারের আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়।
মামলার প্রেক্ষিতে ডিবি পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ৯ জানুয়ারি থেকে ডিবি পুলিশ ধারাবাহিক অভিযান চালায়। কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে প্রথমে মো. রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লার দেবীদ্বার থেকে সফিক ওরফে সোহেল এবং মুরাদনগর থেকে সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ২৮ ভরি ১৪ আনা আসল স্বর্ণ এবং ২১ ভরি ১০ আনা গলিত স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। ডিবি সূত্রে আরও জানা যায়, চুরির ঘটনায় জড়িত চক্রের অন্যান্য সদস্যদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেফতার ও অবশিষ্ট স্বর্ণ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ডিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান পিপিএম জানান, এই চক্র অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পরিকল্পনা করে চুরি সংঘটিত করে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে জনগণের আস্থা অক্ষুণ্ণ রাখতে সক্ষম হয়েছে।
চড়া দামের কারণে নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত অনেক মানুষ পুরো এক কেজি মাংস কিনতে পারছে না। এমন ক্রেতাদের সুবিধার্থে এবার ২৫০ গ্রাম গরুর মাংসও বিক্রি হবে নওগাঁর পোরশায়। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ন্যায্যমূল্যের দোকানে গরুর মাংস বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ই ডিসেম্বর) সকাল আটটার দিকে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফ আদনান।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সহযোগিতায় ও জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আউয়ালের নির্দেশে ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস বিক্রির এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ সময় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে ইউ এন ও আরিফ আদনান বলেন, জেলা প্রশাসকের দিকনির্দেশনায় ন্যায্য মূল্যের মাংসের দোকান চালু করা হয়েছে । এই দোকানে প্রতি কেজি ৬০০ টাকা দরে ক্রেতাগণ কিনতে পারবেন এবং গরিব জনগণ ২৫০ গ্রাম থেকে গরুর মাংস কিনতে পারবেন বলে জানান ইউ এন ওআরিফ আদনান।