শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ঠাকুরগাঁওয়ে জেলা জজশিপ ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসি আদালতের প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার শহরের শহীদ মোহাম্মদ আলী স্টেডিয়ামে এ ব্যতিক্রমধর্মী ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়।
ঠাকুরগাঁও জজশিপ ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসি আদালতের যৌথ আয়োজনে প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচের শুরুতেই বক্তব্য দেন ঠাকুরগাঁও বিজ্ঞ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিত্যানন্দ সরকার, জেলা ও দায়রা জজ (ভারপ্রাপ্ত) গাজী দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
প্রীতি ম্যাচে জেলা জজশিপ টিম বিজয়ী হয়। বিজয়ী টিমকে ট্রফি তুলে দেন বিজ্ঞ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিত্যানন্দ সরকার ও তার মমতাময়ী মা লক্ষ্মী রানী সরকার। বিচার বিভাগের ব্যতিক্রমী এ ম্যাচটি উপভোগ করে কয়েকশ মানুষ ও উভয় টিমের খেলোয়াড়, বিজ্ঞ বিচারক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ। ধারা বর্ণনা করেন স্বনামধন্য ধারাভাষ্যকার সুজন খান।
জেলা জজশিপ টিমে খেলোয়ার হিসেবে অংশগ্রহণ করেন এবং অধিনায়ক হিসেবে নেতৃত্ব দেন জেলা ও দায়রা জজ (ভারপ্রাপ্ত) গাজী দেলোয়ার হোসেন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসি টিমে খেলোয়াড় হিসেবে অংশগ্রহণ করেন এবং অধিনায়ক হিসেবে নেতৃত্ব দেন বিজ্ঞ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিত্যানন্দ সরকার।
এছাড়াও খেলোয়াড় হিসেবে অংশগ্রহণ করেন ঠাকুরগাঁও বিজ্ঞ অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস. রমেশ কুমার ডাগা, বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাহাবুবুর রহমান, বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আলাউদ্দীন, বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আরিফুর রহমান, বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রহিমা খাতুন, বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব কুমার রায়সহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। অন্যদিকে জজশিপ টিমে অন্যান্যের মধ্যে খেলেন বিজ্ঞ যুগ্ম ও জেলা জজ (২য় আদালত) মোঃ শহিদুল ইসলাম, বিজ্ঞ সহকারী জজ পরিমল চন্দ্র রায়, বিজ্ঞ সহকারী জজ মোঃ ফয়সাল আহামেদসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ।
১৬ ওভারের খেলার শুরুতেই টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় জজশিপ টিম। প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে ১৬ ওভার খেলে ৯ ওইকেটে মোট ৭৮ রান সংগ্রহ করে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসি টিম। ৭৯ রানের টার্গেটের জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসে ১২ ওভার খেলেই একটি মাত্র ইউকেটের বিনিময়ে ৭৯ রান করে জয়লাভ করে জজশিপ টিম। পরে জজশিপ টিমের খেলোয়াড়বৃন্দ আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠেন।
এদিন জজশিপ ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারকগণ, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে ক্রিকেট খেলছেন। বিষয়টি দেখে অনেকেই সেখানে দাঁড়িয়ে খেলা উপভোগ করেন। ক্রিকেট ও ঠাকুরগাঁও আদালত সংশ্লিষ্ট ইতিহাসে বিরল এ ঘটনার সাক্ষী হয় তারা।
ক্রীড়া জগতে এ ম্যাচটি অনবদ্য ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকবে বলে ধারণা ঠাকুরগাঁওবাসীর।
যাত্রী চাপ সামলাতে রোববার (১৯ অক্টোবর) থেকে বাড়ানো হয়েছে রাজধানীর মেট্রোরেল চলাচলের সময়সূচি। প্রতিদিন সকালে চালু এবং রাতে বন্ধের সময় আধা ঘণ্টা করে বাড়ানো হয়েছে।
নতুন সূচি অনুযায়ী, এখন থেকে সকাল সাড়ে ৬টায় উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে ট্রেন ছাড়ছে, যা আগে ছাড়ত সকাল ৭টায়। অপরদিকে মতিঝিল থেকে শেষ ট্রেন ছাড়বে রাত ১০টা ১০ মিনিটে। শুক্রবারের ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আনা হয়েছে— আগে বিকেল ৩টায় ট্রেন চলাচল শুরু হলেও এখন থেকে আড়াইটায় চালু হবে মেট্রোরেল।
রোববার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল সাড়ে ৬টায় উত্তরা উত্তর মেট্রো স্টেশন থেকে মতিঝিলের উদ্দেশে ট্রেন ছেড়ে যায়। বর্ধিত সময়ে চলাচল করায় খুশি যাত্রীরা। অনেকে জানিয়েছেন, সকালে যাত্রী তুলনামূলক কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বেড়ে যায়। নতুন সূচি কার্যকর হওয়ায় যাত্রীসেবার মান আরও উন্নত হবে বলে আশা করছেন তারা।
বর্তমানে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত প্রতিদিন চার লাখের বেশি যাত্রী মেট্রোরেলে চলাচল করেন। যাত্রীরা সময় বৃদ্ধির পাশাপাশি ট্রিপ সংখ্যা বাড়ানোরও দাবি জানিয়েছেন। তাদের মতে, ট্রেন চলাচলের সময় বাড়ায় দৈনন্দিন যাতায়াত আরও সহজ হয়ে উঠবে।
এদিকে, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) জানিয়েছে, ট্রিপ সংখ্যা বাড়ানোর জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যেই ট্রিপ বাড়ানো সম্ভব হবে বলে আশা করছে সংস্থাটি।
নওগাঁর পোরশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়োজনে “টাইফয়েড (টিসিভি) টিকাদান ক্যাম্পেইন–২০২৫” এর উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (১২ অক্টোবর) সকালে উপজেলার নিতপুর কুসুমকলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাকিবুল ইসলাম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউএনও বলেন, “টাইফয়েড প্রতিরোধে এই টিকা শিশুদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশে প্রতিবছর টাইফয়েডে বহু শিশুর মৃত্যু ঘটে। এই টিকার বাজারমূল্য তুলনামূলকভাবে বেশি হওয়ায় নিম্নআয়ের পরিবারের পক্ষে তা কেনা কঠিন। তাই সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দেশের সকল শিশুকে বিনামূল্যে এই টিকা প্রদান করছে।” তিনি সকল অভিভাবকের প্রতি আহ্বান জানান, “আপনারা যেন সন্তানদের এই টিকা দিতে ভুল না করেন এবং অন্যদেরও এ বিষয়ে সচেতন করেন।”
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. নাজির আহটা্মইদ ও মেডিকেল অফিসারসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা। এছাড়া বিভিন্ন পেশার মানুষ, স্থানীয় সাংবাদিক, বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ অনেকে অংশ নেন।
আলোচনা পর্ব শেষে ইউএনও উপস্থিত সবাইকে ভুল ধারণা ও গুজব থেকে বিরত থেকে টিকাদানে উৎসাহিত করার আহ্বান জানান। পরে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে টাইফয়েড প্রতিরোধী টিকা প্রদান কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক সূচনা করা হয়।