ঠাকুরগাঁওয়ে ৫ দিন ব্যাপী কারুশিল্প পণ্যভিত্তিক (মৃৎ-শিল্প) প্রশিক্ষণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে সদর উপজেলার আক্চা ইউপির পালপাড়ায় এ প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জয়িতা ফাউন্ডেশনের আয়োজনে প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জয়িতা ফাউন্ডেশনের সক্ষমতা বিনির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (উপসচিব) শেখ মুহাম্মদ রেফাত আলীর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন প্রধান অতিথি জয়িতা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফরোজা খান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ৫ দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণের প্রধান প্রশিক্ষক জয়িতা ফাউন্ডেশনের কনসালটেন্ট চন্দ্র শেখর সাহা, এসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার সবুজ দাস, ঠাকুরগাঁও কারুপন্য উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক চন্দনা ঘোষ, সহকারী প্রশিক্ষক স্থানীয় মৃৎশিল্পী গগন পাল, চিত্রশিল্পী আশরাফুল শাওন প্রমুখ।
৫ দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণে অত্র এলাকার ২৫ জন নারী অংশ নেন। বক্তব্যে প্রধান অতিথি জয়িতা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফরোজা খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জেন্ডার সমতাভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে নারীকে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করে তাদের উপার্জন বৃদ্ধি, জীবনযাত্রার মনোন্নয়ন ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিতকল্পে ‘জয়িতা’ উদ্বোধন করেন। তিনি জয়িতার কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে জেলা, উপজেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে সম্প্রসারিত করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন।
প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী নারীরা পরবর্তীতে তাদের মৃৎশিল্প দিয়ে তৈরি সকল পণ্য সাভারের জিরানীতে জয়িতা বিজনেস ইনকিউবেশন সেন্টারে বিক্রি করতে পারবেন।
রাজধানীর ধানমণ্ডির বিজিবি সীমান্ত সম্ভার শপিং কমপ্লেক্সের একটি স্বর্ণের দোকানে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. রুবেল (২৮), সফিক ওরফে সোহেল (৩৫) এবং সাদ্দাম হোসেন (৩১)। এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া ৫০ ভরি আট আনা স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, ধানমণ্ডি মডেল থানাধীন ‘ক্রাউন ডায়মন্ড এন্ড জুয়েলার্স’ শোরুমে গত ৩ জানুয়ারি বেলা ১টার দিকে চুরির ঘটনা ঘটে। চোরচক্র অভিনব পদ্ধতিতে শো-রুমের তালা ও সাটার কেটে মাত্র আট মিনিটের মধ্যে ১৫৯ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। দোকানের মালিক কাজী আকাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকারের আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়।
মামলার প্রেক্ষিতে ডিবি পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ৯ জানুয়ারি থেকে ডিবি পুলিশ ধারাবাহিক অভিযান চালায়। কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে প্রথমে মো. রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লার দেবীদ্বার থেকে সফিক ওরফে সোহেল এবং মুরাদনগর থেকে সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ২৮ ভরি ১৪ আনা আসল স্বর্ণ এবং ২১ ভরি ১০ আনা গলিত স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। ডিবি সূত্রে আরও জানা যায়, চুরির ঘটনায় জড়িত চক্রের অন্যান্য সদস্যদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেফতার ও অবশিষ্ট স্বর্ণ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ডিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান পিপিএম জানান, এই চক্র অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পরিকল্পনা করে চুরি সংঘটিত করে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে জনগণের আস্থা অক্ষুণ্ণ রাখতে সক্ষম হয়েছে।
চড়া দামের কারণে নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত অনেক মানুষ পুরো এক কেজি মাংস কিনতে পারছে না। এমন ক্রেতাদের সুবিধার্থে এবার ২৫০ গ্রাম গরুর মাংসও বিক্রি হবে নওগাঁর পোরশায়। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ন্যায্যমূল্যের দোকানে গরুর মাংস বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ই ডিসেম্বর) সকাল আটটার দিকে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফ আদনান।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সহযোগিতায় ও জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আউয়ালের নির্দেশে ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস বিক্রির এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ সময় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে ইউ এন ও আরিফ আদনান বলেন, জেলা প্রশাসকের দিকনির্দেশনায় ন্যায্য মূল্যের মাংসের দোকান চালু করা হয়েছে । এই দোকানে প্রতি কেজি ৬০০ টাকা দরে ক্রেতাগণ কিনতে পারবেন এবং গরিব জনগণ ২৫০ গ্রাম থেকে গরুর মাংস কিনতে পারবেন বলে জানান ইউ এন ওআরিফ আদনান।