দেশ

দেশ

ডাকাত সর্দার জুয়েল শেখসহ গ্রেফতার ৪

আন্তঃজেলা ডাকাত দলের নেতা কুখ্যাত ডাকাত সর্দার জুয়েল শেখসহ ডাকাত দলের চার সদস্যকে গোপালগঞ্জের সদর থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। সহকারী পুলিশ সুপার ও র‌্যাব-১০ এর উপপরিচালক (মিডিয়া) এম.জে. সোহেল গণমাধ্যমকে দেয়া তথ্যে নিশ্চিত করেছেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামি মোঃ জুয়েল শেখ (২৭), পিতা- আবু শাম ওরফে সাম, সাং- ডাকপাড়া, থানা- মোকসেদপুর, জেলা-গোপালগঞ্জ একজন আন্তঃজেলা ডাকাত দলের দলনেতা এবং কুখ্যাত ডাকাত সর্দার। আসামি মোঃ জুয়েল শেখের অপরাপর সহযোগী ধৃত আসামিঃ মো মান্নান ওরফে মান্দার খাঁ (৪০), মোঃ ওয়াসিম শেখ রাঙ্গু (২৫), মোঃ আরমান শেখ ওরফে আরমান (২৫)সহ প্রত্যেকেই কুখ্যাত ডাকাত এবং ডাকাত সর্দার জুয়েল শেখের অন্যতম প্রধান সহযোগী। গ্রেফতারকৃত আসামিসহ অপরাপর আসামিরা গত ৩১/১২/২০২৩ তারিখ রাত ৩:১০টার সময় ফরিদপুর জেলার সালথা থানাধীন কামাইদিয়া এলাকায় মোঃ বদিয়ার মোল্লার বসতবাড়ির চৌচালা টিনের ঘরের বারান্দার কক্ষে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রবেশ করে দস্যুতা সংঘটন করে পালিয়ে যায়।

উক্ত ঘটনায় ভিকটিম মোঃ বদিয়ার মোল্লা (৩০), পিতা-মৃত মোহাম্মদ মোল্লা, সাং- কামাইদিয়া, থানা-সালথা, জেলা- ফরিদপুর বাদী হয়ে ফরিদপুর জেলার সালথা থানার পেনাল কোড ৩৯৪/৩৯৭ ধারায় একটি দস্যুতার মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-০১, তারিখ- ০১/০১/২০২৪ইং)। মামলার বিষয়টি জানতে পেরে আসামি জুয়েল শেখসহ অন্য আসামিরা আত্মগোপনে চলে যায়। উক্ত ঘটনার বিষয়টি জানতে পেরে র‌্যাব-১০, সিপিসি-৩, ফরিদপুর ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল চাঞ্চল্যকর এই ডাকাতি মামলার ঘটনায় জড়িত আসামিদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি ও ছায়া তদন্ত শুরু করে।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ২ মার্চ রাত ৮:৩০টায় র‌্যাব-১০ এর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এবং র‌্যাব-০৬ এর সহযোগিতায় গোপালগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন কাথি বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে উল্লিখিত মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ১। মোঃ জুয়েল শেখ (২৭), পিতা- আবু শাম ওরফে সাম, সাং- ডাকপাড়া, থানা- মোকসেদপুর, জেলা-গোপালগঞ্জ, ২। মোঃ মান্নান ওরফে মান্দার খা (৪০), পিতা- মৃত হেমায়েত খাঁ ওরফে হেমা খা, সাং-ঝুটিগ্রাম, থানা- মোকসুদপুর, জেলা-গোপালগঞ্জ, ৩। ওয়াসিম শেখ ওরফে রাঙ্গু (২৫), পিতা- আব্বাস আলী শেখ, সাং- গঙ্গারামপুর, থানা-মোকসেদপুর, জেলা- গোপালগঞ্জ, ৪। আমান শেখ ওরফে আরমান (২৫), পিতা- শহীদ শেখ, সাং- প্রভাকরদী, থানা-মোকসেদপুর, জেলা- গোপালগঞ্জ’দেরকে গ্রেফতার করে। উল্লেখ্য, আসামিদের বিরুদ্ধে ডাকাতিসহ ডাকাতির প্রস্তুতি, দস্যূতা, চুরি, মাদক,মারামারিসহ বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা ছিল।

গ্রেফতারকৃতদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

বিষয়:
পরবর্তী খবর

৫০ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার

সীমান্ত সম্ভারে স্বর্ণের দোকানে চাঞ্চল্যকর চুরির রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার ৩

রাজধানীর ধানমণ্ডির বিজিবি সীমান্ত সম্ভার শপিং কমপ্লেক্সের একটি স্বর্ণের দোকানে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. রুবেল (২৮), সফিক ওরফে সোহেল (৩৫) এবং সাদ্দাম হোসেন (৩১)। এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া ৫০ ভরি আট আনা স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা।

ডিবি সূত্রে জানা যায়, ধানমণ্ডি মডেল থানাধীন ‘ক্রাউন ডায়মন্ড এন্ড জুয়েলার্স’ শোরুমে গত ৩ জানুয়ারি বেলা ১টার দিকে চুরির ঘটনা ঘটে। চোরচক্র অভিনব পদ্ধতিতে শো-রুমের তালা ও সাটার কেটে মাত্র আট মিনিটের মধ্যে ১৫৯ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। দোকানের মালিক কাজী আকাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকারের আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়।

মামলার প্রেক্ষিতে ডিবি পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ৯ জানুয়ারি থেকে ডিবি পুলিশ ধারাবাহিক অভিযান চালায়। কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে প্রথমে মো. রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লার দেবীদ্বার থেকে সফিক ওরফে সোহেল এবং মুরাদনগর থেকে সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ২৮ ভরি ১৪ আনা আসল স্বর্ণ এবং ২১ ভরি ১০ আনা গলিত স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। ডিবি সূত্রে আরও জানা যায়, চুরির ঘটনায় জড়িত চক্রের অন্যান্য সদস্যদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেফতার ও অবশিষ্ট স্বর্ণ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ডিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান পিপিএম জানান, এই চক্র অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পরিকল্পনা করে চুরি সংঘটিত করে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে জনগণের আস্থা অক্ষুণ্ণ রাখতে সক্ষম হয়েছে।

বিষয়:
পরবর্তী খবর

পোরশায় ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস, কেনা যাবে ২৫০ গ্রাম

চড়া দামের কারণে নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত অনেক মানুষ পুরো এক কেজি মাংস কিনতে পারছে না। এমন ক্রেতাদের সুবিধার্থে এবার ২৫০ গ্রাম গরুর মাংসও বিক্রি হবে নওগাঁর পোরশায়। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ন্যায্যমূল্যের দোকানে গরুর মাংস বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৩ই ডিসেম্বর) সকাল আটটার দিকে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফ আদনান।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সহযোগিতায় ও জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আউয়ালের নির্দেশে ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস বিক্রির এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এ সময় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।

এ প্রসঙ্গে ইউ এন ও আরিফ আদনান বলেন, জেলা প্রশাসকের দিকনির্দেশনায় ন্যায্য মূল্যের মাংসের দোকান চালু করা হয়েছে । এই দোকানে প্রতি কেজি ৬০০ টাকা দরে ক্রেতাগণ কিনতে পারবেন এবং গরিব জনগণ ২৫০ গ্রাম থেকে গরুর মাংস কিনতে পারবেন বলে জানান ইউ এন ওআরিফ আদনান।

বিষয়:
সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত