দেশ

দেশ

সপ্তাহ জুড়ে র‌্যাবের অভিযানে গ্রেফতার ১৮, আলামত জব্দ

দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে র‌্যাবের অব্যাহত অভিযানে ইজিবাইক চোরচক্রের মূল হোতাসহ ৫ জন, মাদক ব্যবসায়ী, ২ জন, কিশোর গ্যাং ও ছিনতাই চক্রের ৭ জন, মাদক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ১ জন ও ৩ জন চাঁদাবাজ সহ ১৮ জন অপরাধী গ্রেফতার এবং ভেজাল বিরোধী অভিযানে ৩৭ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। সহকারী পুলিশ সুপার ও র‌্যাব-১০ এর গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক এম.জে. সোহেল গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এসব খবর নিশ্চিত করেছেন।

অভিযান-১:
নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার ও বন্দর এলাকা হতে ইজিবাইক চোরচক্রের অন্যতম মূলহোতা মাসুদুর রহমান ওরফে শামীম সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। এ সময় চুরির কাজে ব্যবহৃত ২টি মোটরসাইকেল জব্দ ও চোরাইকৃত ১৪টি ইজিবাইক উদ্ধার করা হয়েছে।

খবরে জানা যায়, মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদীখান থানার আব্দুল্লাহপুর চরেরগাঁও এলাকায় বসবাসকারী শুক্কুর (২৮), পিতা-ইসমাইল নামক একজন ইজিবাইক চালক সে দীর্ঘদিন যাবৎ মুন্সিগঞ্জের সিরাজদীখান ও ঢাকার কেরাণীগঞ্জসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় ইজিবাইক চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল। প্রতিদিনের ন্যায় শুক্কুর তার ইজিবাইক নিয়ে যাত্রী পরিবহনকালে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত ১০:৩০ টায় ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার আব্দুল্লাহপুর এলাকা থেকে অজ্ঞাতনামা দুইজন মোটরসাইকেল আরোহী শুক্কুরকে একই থানার ঝিলমিল প্রকল্পের পার্শ্ববর্তী পাসপোর্ট অফিসের সামনে যাওয়ার কথা বলে শুক্কুরের ইজিবাইকটি ভাড়া করে তাদের সাথে থাকা অপর একজন সহযোগীকে ইজিবাইকে উঠিয়ে দিয়ে তারা মোটরসাইকেল নিয়ে সেখান থেকে চলে যায়। শুক্কুর ইজিবাইক নিয়ে ঝিলমিল প্রকল্পের পার্শ্ববর্তী পাসপোর্ট অফিসের সামনে পৌঁছালে সেখানে থাকা উক্ত দুইজন মোটরসাইকেল আরোহীকে দেখতে পায়। তারা তিনজন একত্রিত হয়ে ইজিবাইক চালক শুক্কুরকে চাকু ঠেকিয়ে প্রাণনাশের হুমকিসহ বিভিন্ন প্রকার ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে তার ইজিবাইকটি ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়।

এই ঘটনার পর শুক্কুর তার উপার্জনের একমাত্র সম্বল ইজিবাইকটি হারিয়ে নিরুপায় হয়ে র‌্যাবের দ্বারস্থ হয়। শুক্কুর র‌্যাব-১০ এর অধিনায়ক মহোদয় বরারব তার ইজিবাইক চুরির ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগপত্র দায়ের করে এবং তার একমাত্র আয়ের উৎস চুরিকৃত ইজিবাইকটি দ্রুত উদ্ধারের জন্য আবেদন জানায়। উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে র‌্যাব-১০ এর একটি দল ভিকটিম শুক্কুরের ইজিবাইকটি উদ্ধার ও ইজিবাইক চোর চক্রটিকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আশপাশের বিভিন্ন সিসি টিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে যাচাই-বাছাই করে ছায়া তদন্ত শুরু ও গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৬ মার্চ রাত ৭:০০ ঘটিকায় র‌্যাব-১০ এর উক্ত দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার মারুয়াদী চৌরাস্তা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কুখ্যাত ইজিবাইক চোর চক্রের অন্যতম মূলহোতা ১। মোঃ মাসুদুর রহমান ওরফে শামীম (৩৫), পিতা-মোঃ কবির হোসেন, সাং-কালিকাপুর, থানা-বেগমগঞ্জ, জেলা-নোয়াখালী ও তার প্রধান সহযোগী ২। মোঃ রাজিব হোসেন (৩৪), পিতা-মোঃ ফোরকান চৌকিদার, সাং-লামনা, থানা-গলাচিপা, জেলা-পটুয়াখালী’কে গ্রেফতার করে। এ সময় তাদের নিকট থেকে চুরির কাজে ব্যবহৃত ২টি মোটরসাইকেল জব্দ ও চোরাইকৃত ২টি ইজিবাইক, ২টি স্পেয়ার চাকা ও ২টি সাংবাদিকের ভূয়া আইডি কার্ড উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত শামীম ও রাজিবের স্বীকারোক্তি ও তাদের দেওয়া তথ্যমতে র‌্যাব-১০ এর উক্ত দল একই তারিখ রাত ১১:১০ টায় নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার পিচকামতাল মধ্যপাড়া এলাকায় অপর একটি অভিযান চালিয়ে ইজিবাইক চোর চক্রটির অপর ৩ জন সদস্য যথাক্রমে ১। মোঃ আব্দুল মান্নান (৪০), পিতা-মোঃ আব্দুল জব্বার, সাং-চকবড়াইগাছী, থানা-নকলা, জেলা-শেরপুর, ২। মোঃ ইকবাল হোসেন (৪০), পিতা-মোঃ গিয়াস উদ্দিন ও ৩। মোঃ আব্দুল হান্নান (৪৫), পিতা-মোঃ আব্দুর, উভয় সাং-আনন্দনগর, থানা-বন্দর, জেলা-নারায়ণগঞ্জদের গ্রেফতার করে। এ সময় তাদের নিকট থেকে চোরাইকৃত ৩টি ইজিবাইক ও ২টি স্পেয়ার চাকা উদ্ধার করা হয়।

পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত হান্নান, ইকবাল ও মান্নানের দেওয়া তথ্যমতে র‌্যাব-১০ এর উক্ত দল গত ২৭ মার্চ মাঝরাত ১২:৩০ ও ১:৪৫ টায় নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানাধীন কুড়িপাড়া ও পিচকামতাল এলাকায় আরো দুইটি অভিযান জালিয়ে চোরাইকৃত আরো ৯টি ইজিবাইক ও ৫টি স্পেয়ার চাকা উদ্ধার করে। এ সময় ইজিবাইক চোর চক্রটির অন্যান্য আসামিরা র‌্যাবের অভিযানের সংবাদ পেয়ে কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। উক্ত চক্রটির সাথে জড়িত পলাতক অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র‌্যাবের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত মাসুদুর রহমান ওরফে শামীম ইজিবাইক চোর চক্রটির মূলহোতা। সে গ্রেফতারকৃত রাজিব, হান্নান, ইকবাল, মান্নান ও পলাতক অন্যান্য আসামিদের নিয়ে একটি ইজিবাইক চোরচক্র গড়ে তোলে। তাদের মধ্যে রাজিব উক্ত চোর চক্রের অন্যতম মূল হোতা মাসুদুর রহমান ওরফে শামীমের প্রধান সহযোগী হিসেবে কাজ করত। রাজিব কখনও নিজেকে বিভিন্ন টিভি ও পত্রিকার সাংবাদিক আবার কখনও নিজেকে পুলিশের কর্মকর্তা পরিচয় দিত। শামীম ও রাজিব দুইজন মিলে মোটরসাইকেল সহযোগে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে তাদের টার্গেট ও স্থান নির্ধারণ করত। পরবর্তীতে তাদের নির্ধারিত টার্গেট (বিভিন্ন ইজিবাইক) ভাড়া করে তাদের পরিকল্পিত ও সুবিধাজনক স্থানে নিয়ে গিয়ে বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রের মাধ্যমে প্রাণনাশের হুমকিসহ বিভিন্ন ভয়-ভীতি প্রদর্শন, কখনও চেতনানাশক ঔষধ ব্যবহার করে ভিকটিমদের অচেতন করে আবার কখনও সাংবাদিক ও পুলিশের পরিচয় দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে ভিকটিমদের ইজিবাইক ছিনতাই/চুরি করে নিয়ে পালিয়ে যেত।

পরবর্তীতে শামীম ও রাজিব ছিনতাই/চুরিকৃত বিভিন্ন ইজিবাইক হান্নানের কাছে ২০,০০০-৩০,০০০ টাকার বিনিময়ে বিক্রি করত। হান্নান উক্ত ক্রয়কৃত ইজিবাইকগুলোর রং ও কাঠামো পরিবর্তন করে সেগুলো অন্যত্র ৪০,০০০-৫০,০০০ টাকার বিনিময়ে বিক্রি করত। হান্নান মূলত ইকবালের মাধ্যমে উক্ত ইজিবাইকগুলো বিক্রয় করত। ইকবাল বিভিন্ন এলাকা হতে চুরিকৃত ইজিবাইক বিক্রয়ের সোর্স হিসেবে কাজ করত। মান্নান উক্ত ছিনতাই/চুরিকৃত ইজিবাইকের ক্রেতা। সে উক্ত ইজিবাইক ক্রয় করে অধিক মূলে আবার অন্যত্র বিক্রি করত বলে জানা যায়।

জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়, তারা মাসুদুর রহমান ওরফে শামীমের নেতৃত্বে প্রায় ২ বছর যাবৎ নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকার বিভিন্ন এলাকা হতে ইজিবাইক চুরি করে আসছিল। তারা প্রতি মাসে বিভিন্ন এলাকা হতে ১০-১৫টি ইজিবাইক চুরি করত বলে জানায়। এক্ষেত্রে তারা তাদের নির্ধারিত টার্গেটকে ফাঁদে ফেলার জন্য নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অধিক ভাড়া দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে রাজি করতো। পরবর্তীতে তাদের পরিকল্পিত স্থানে পৌঁছামাত্র বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রের মাধ্যমে প্রাণনাশের হুমকিসহ বিভিন্ন প্রকার ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে ভিকটিমদের ইজিবাইক ছিনিয়ে নিতো বলে জানা যায়। গ্রেফতারকৃত মোঃ রাজিব হোসেনের বিরুদ্ধে ১টি ডাকাতি প্রস্তুতির মামলা রয়েছে বলে সে জানায়।

গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

অভিযান-২:
মুন্সিগঞ্জ জেলার বৈখর এলাকা হতে ৩টি দেশীয় অস্ত্র (পাইপগান) ও ফেনসিডিলসহ ২ জন অবৈধ অস্ত্রধারী মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

গত ২৮ মার্চ মাঝরাত আনুমানিক ১২:৪৫ টায় র‌্যাব-১০ এর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মুন্সিগঞ্জ জেলার সদর থানার বৈখর এলাকায় একটি অভিযান চালিয়ে ৩৬ (ছত্রিশ) বোতল ফেনসিডিলসহ ২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীদের নাম ১। মোঃ আব্দুল জব্বার ওরফে বাবু (২৫), পিতা-মৃত অফিজ উদ্দিন সরকার, সাং-বৈখর পশ্চিম পাড়া, থানা ও জেলা-মুন্সিগঞ্জ ও ২। মোঃ রাসেল শিকদার (৩৪), পিতা-আমির আলী শিকদার, সাং-পশ্চিম শিয়ালদি, থানা-সিরাজদিখান, জেলা-মুন্সিগঞ্জ বলে জানা যায়। এ সময় তাদের নিকট থেকে ৩টি দেশীয় অস্ত্র (পাইপগান) ও ২০টি রাবার কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। তারা বেশ কিছুদিন যাবৎ দেশের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা হতে ফেনসিডিলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে মুন্সিগঞ্জ ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করে আসছিল।

গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা দায়ের করে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

অভিযান-৩:
ঢাকার কেরাণীগঞ্জ, শ্যামপুর ও সূত্রাপুর এলাকায় ভেজাল শিশু খাদ্য এবং অনুমোদনহীন নকল বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি উৎপাদন, মজুদ ও বিক্রি এবং অবৈধভাবে চাল মজুদ করায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৩৭ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

গত ২৮/০৩/২০২৪ তারিখ সকাল ৯:০০ টা থেকে ২৯/০৩/২০২৪ তারিখ ভোর ৫:০০টা পর্যন্ত র‌্যাবের এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ মাজহারুল ইসলাম ও র‌্যাব-১০ এর সমন্বয়ে একটি দল ঢাকার কেরাণীগঞ্জ, শ্যামপুর ও সূত্রাপুর এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। এ সময় বিএসটিআই এর প্রতিনিধির উপস্থিতিতে উক্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত উল্লেখিত এলাকায় ভেজাল শিশু খাদ্য অনুমোদনহীন নকল বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি উৎপাদন, মজুদ ও বিক্রি এবং অবৈধভাবে চাল মজুদ করার অপরাধে ৯টি প্রতিষ্ঠানকে সর্বমোট ৩৭,০০,০০০/- (সাঁয়ত্রিশ লক্ষ) টাকা জরিমানা প্রদান করেন। যার মধ্যে ১। এক্সপোলিংক রিসোর্সেস লিমিটেড’কে নগদ-৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা, ২। তানিয়া ক্যাবলস্’কে নগদ-৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা, ৩। সুপার সাইন ইন্ড্রাস্ট্রিজ (ইলেট্রিক্যাল)’কে নগদ-১০,০০,০০০/- (দশ লক্ষ) টাকা, ৪। বাঁধন ইলেক্ট্রনিক্স লিমিটেড’কে নগদ-৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা, ৫। বাবু স্টোর’কে নগদ- ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা, ৬। ইআরবি ক্যাবলস্’কে নগদ-২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা, ৭। এ আর কনজিউমার লিমিটেড’কে নগদ-২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা, ৮। বি.কে.কে পলিমার এন্ড মেটাল’কে নগদ-৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা ও ৯। তাহসিন মার্কেটিং’কে নগদ-১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা করে জরিমানা প্রদান করেন। এছাড়া বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর নির্দেশে উক্ত মোবাইল কোট আনুমানিক ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা মূল্যের নকল বৈদ্যুতিক তার জব্দ করে।

প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, বেশ কিছুদিন যাবৎ এই অসাধু ব্যবসায়ীরা ভেজাল শিশু খাদ্য অনুমোদনহীন নকল বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি উৎপাদন, মজুদ ও বাজারজাত এবং অবৈধভাবে চাল মজুদ করে আসছিল।

অভিযান-৪:
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর এলাকা হতে কিশোর গ্যাং লিডার হাসিবুলসহ বাহিনীর ৭ সদস্যকে ছিনতাইকালীন অবস্থায় গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

গত ২৯ মার্চ তারিখ রাত ১০.৩০ টা থেকে ১১.৫০ টায় র‌্যাব-১০ এর একটি দল গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থানার মাদবর বাজারঘাটের বেড়ীবাঁধ এলাকায় একাধিক অভিযান চালিয়ে কিশোর গ্যা এর ৭ সদস্যকে ছিনতাইকালীন অবস্থায় গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের নাম ১। মোঃ হাসিবুল হোসেন, পিতা-ইদ্রিস হোসেন, সাং- নুরবাগ, ২। মোঃ রকি, পিতা- মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন,সাং- পাকা পোল দশআনি পাড়া গলি, ৩। মোঃ ইমন, পিতা- মৃত সিরাজুল ইসলাম,সাং- মাদবর বাজার, ৪। মোঃ জুয়েল, পিতা- মৃত ইসমাইল,সাং- খোলামোড়া ৫। মোঃ তানভির, পিতা- মোঃ তাহের আলী, সাং- মাদবর বাজার, ৬। মোঃ হৃদয়, পিতা- মৃত- মোঃ নাজির, সাং- বড়গ্রাম ৭। মোঃ নাঈম, পিতা- মোঃ মাসুম, সাং- নুরবাগ দাদন মাদবর গলি, সর্ব থানা- কামরাঙ্গীরচর, ডিএমপি, ঢাকা, (ভাসমান) বলে জানা যায়। এসময় তাদের নিকট হতে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে ব্যবহৃত ৪টি চাকু উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, পাড়া মহল্লায় আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন প্রকার অপরাধমূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছিল।

গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

অভিযান-৫:
মাদক মামলায় ৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত দীর্ঘদিন পলাতক আসামি হারু জোয়ার্দার’কে রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

গত ৩০ মার্চ ২০২৪ তারিখ সন্ধ্যা ৭.৪০ টায় র‌্যাব-১০ এর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এবং র‌্যাব-১ এর সহযোগিতায় রাজধানী ঢাকার দক্ষিণখান থানাধীন কাওলার পয়সার বাজার এলাকায় একটি অভিযান চালিয়ে কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর থানার মামলা নং-১৩০/১৬, সেশন নং-৩৯৮/২০১৭, ধারা-১৯ (১) টেবিল ৩(ক), মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৯০; মামলায় ০৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত সাজা ওয়ারেন্টভুক্ত দীর্ঘদিন পলাতক আসামী মোঃ হারুন অর রশিদ ওরফে হারু জোয়ার্দার (৩৮), পিতা-মৃত আজিজুল হক জোয়ার্দার, সাং-মিরপুর তালতলা, থানা-মিরপুর,জেলা- কুষ্টিয়া’কে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, গ্রেফতারকৃত আসামী উল্লেখিত মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি বলে স্বীকার করেছে।

গ্রেফতারকৃত আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

অভিযান-৬:
অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন কালে রাজধানীর কদমতলী এলাকা হতে ৩ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

গত ৩০ মার্চ ২০২৪ তারিখ দুপুর ২:৩০ টায় র‌্যাব-১০ এর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানী ঢাকার কদমতলী এলাকায় একটি অভিযান চালিয়ে আন্তঃজেলা ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, লরী ও সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহন হতে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করাকালীন চাঁদা উত্তোনকারী চক্রের অন্যতম মূলহোতা ১। মোঃ সুজন (২৪), পিতা-মকবুল আহম্মেদ, সাং-চরমানিকা, থানা-চর ফ্যাশন, জেলা-ভোলাসহ ০৩ জন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত অপর আসামিদের নাম ২। মোঃ জানে আলম (৩৮), পিতা-মৃত শামসুল হক, সাং-আলমবাগ, থানা-কদমতলী, ঢাকা ও ৩। মোঃ ফেরদৌস (২০), পিতা-মোঃ দেলোয়ার আকন, সাং-দক্ষিণ ফুলতলা, থানা-বেতাগী, জেলা-বরগুনা বলে জানা যায়। এসময় তাদের নিকট থেকে আদায়কৃত চাঁদা নগদ- ১,১০০/- (এক হাজার একশত) টাকা ও ৩টি কাঠের লাঠি উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা বেশ কিছুদিন যাবৎ রাজধানীর কদমতলীসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় আন্তঃজেলা ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, লরী ও সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহনের ড্রাইভার ও হেলপারদের সাথে অশোভন আচনের মাধ্যমে ভয়ভীতি দেখিয়ে অবৈধভাবে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করে আসছিল। এছাড়াও গ্রেফতারকৃত সুজনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় চাঁদাবাজিসহ দুইটি মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।

গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

বিষয়:
পরবর্তী খবর

বসুন্ধরা পারলে কেন সিটি করপোরেশন পারবে না

ভোররাত থেকে বৃষ্টি হচ্ছিল। সারা রাত আকাশে মেঘ ছিল। আষাঢ় শেষ হয়ে আসছে। বর্ষাকাল। এখন এরকমই হওয়ার কথা। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হবে হঠাৎ করেই। ঝুপ ঝুপ করে নামবে বৃষ্টি। কখনও থেকে থেকে, কখনও অবিরাম। এ বছরের বর্ষায় প্রবল বৃষ্টি হতে পারে, আবহাওয়াবিদরা পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। জলবায়ু পরিবর্তন এখন পৃথিবীর সবচাইতে বড় সমস্যা। যেদিন আমরা পিছনে ফেলে এসেছি, যে আবহাওয়ায় বড় হয়েছি, সেই আবহাওয়া এখন আর নেই। শীতের দেশগুলোতে তীব্র গরম পড়ছে। শীতকালে শীত পড়ছে আগের তুলনায় বেশি। বরফের পাহাড় গলে যাচ্ছে আন্টার্টিকায়। দাবানলে পুড়ছে আমেরিকার বনভূমি। প্রকৃতি উল্টো-পাল্টা হয়ে গেছে। বদলে গেছে বহু কিছু।

এ বছরের গ্রীষ্মে প্রচণ্ড গরম পড়েছিল। মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা। জীবজগৎ বিপর্যস্ত। আবহাওয়াবিদরা বলেছিলেন, বর্ষায় প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। ক’দিন আগে তাই হলো। ভোররাত থেকে বৃষ্টি। সকাল দশটা এগারোটা পর্যস্ত থামার নাম নেই। আকাশ অন্ধকার হয়ে আছে। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ছায়াময় পরিবেশ। আমি একটু বেলা করে উঠেছি। মধ্যমাত্রার বৃষ্টি তখনও ঝরছে। দুপুর নাগাদ টেলিভিশন আর অনলাইনগুলো দেখে হতভম্ব হয়ে গেলাম। ঢাকা শহরের বহু এলাকা বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে। রিকশার পাদানিতে উঠে গেছে পানি। বাসের চাকা ডুবে গেছে। প্রাইভেটকার ডুবে গেছে, জেগে আছে শুধু গাড়ির ছাদটুকু। নিউমার্কেট আর কাঁটাবন এলাকার দোকানপাটের ভিতর কোমর পানি। ছোট আর মাঝারি ব্যবসায়ীরা পড়ে গেছেন ব্যাপক সংকটে। দোকানের মালামাল রক্ষা করতে পারেননি। সব ভেসে গেছে বৃষ্টিতে। শত কোটি টাকার ক্ষতি হয়ে গেছে।

অন্যদিকে মানুষের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ। কর্মস্থলে যাওয়া মানুষ, বাড়ি ফেরার মানুষ, ছাত্র-ছাত্রী প্রত্যেকেই পড়েছে চরম দুর্ভোগে। গাড়ি চলছে না। হেঁটে বাড়ি ফিরছে মানুষ। তাদের কোমরের ওপর পর্যন্ত পানি। পুরান ঢাকার অলিগলি রাজপথ ডুবে গেছে। ঘরে ঢুকে গেছে পানি। মানুষ দিশেহারা। এ অবস্থা কেমন করে সামাল দেবে? এক বেলার বৃষ্টিতে জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত। অথচ কোটি কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে ঢাকা শহরের পানি নিষ্কাশনের জন্য। কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। বৃষ্টি হলেই ডুবছে রাস্তাঘাট। বিপাকে পড়ছে মানুষ। আবহাওয়াবিদদের সাবধানতা বা ভবিষ্যদ্বাণী সিটি করপোরেশন দুটো সেভাবে মনে রাখেনি। মনে রেখে আগাম ব্যবস্থা নিলে শহরবাসী এরকম বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ত না। এই বিষয়ে দুই মেয়রের তীক্ষ্ণ নজর থাকা জরুরি ছিল। ঢাকার খালগুলো প্রায় সবই বুজে গেছে। দখল হয়ে গেছে। সবই আছে খালগুলোতে, শুধু পানিটাই নেই। পানির প্রবাহ বলতে কিছু নেই। ময়লা আবর্জনার ভাগাড় হয়ে গেছে একেকটা খাল। মেয়র মহোদয়দের দেখি, প্রায়ই খাল উদ্ধারের অভিযান করছেন। দু-একটা খাল দখল মুক্তও করছেন। তারপর আর খবর নেই। আগের মতো দখল হয়ে যাচ্ছে। আরেক মহাশত্রু হয়েছে পলিথিন। এই জিনিসের কোনও বিনাশ নেই। শুধুমাত্র পলিথিনই ডুবিয়ে দিচ্ছে অনেক অর্জন। এই বিষয়টি নিয়ে সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের সচেতন হওয়া জরুরি। পলিথিনের হাত থেকে বাঁচাতে হবে দেশ। পলিথিনের বিকল্প ব্যবস্থা কাজে লাগাতে হবে। এক্ষেত্রে সরকার ও মিডিয়া মিলে জনসচেতনা গড়ে তোলা জরুরি। মানুষ সচেতন হলে সমাজ পরিশিলিত হয়। গত তিরিশ পঁয়ত্রিশ বছর ধরে ধীরে ধীরে গড়ে উঠছিল বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা। এখন বসুন্ধরা ঢাকার সবচাইতে অভিজাত এলাকা। সবচাইতে আকর্ষণীয় এলাকা। বসুন্ধরায় কারও একটি ফ্ল্যাট বা কারও এক টুকরো জমি থাকলে তিনি খুব গৌরববোধ করেন। বসুন্ধরার মতো সুবিন্যস্ত আবাসিক এলাকা ঢাকায় আর নেই। এলাকাটির পরিকল্পনা করা হয়েছে সম্পূর্ণতই ইউরোপ-আমেরিকার ঘনবসতিপূর্ণ শহরগুলোর লাগোয়া অতি আধুনিক আবাসিক শহরগুলোর মতো করে। সুপরিকল্পিত ও সুব্যবস্থাপূর্ণ। বড় বড় রাস্তা। রাস্তার ধার আর আইল্যান্ডগুলো সবুজ গাছপালায় ভর্তি। রাজউকের বিল্ডিংকোড মেনে নির্মিত প্রতিটি বাড়ি। সঙ্গে আছে বসুন্ধরার নিজস্ব কঠোর তদারকি। নিয়মের বাইরে একটি ইটও বসানো যাবে না। একটি গাছের পাতাও ছেঁড়া যাবে না। অন্যদিকে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুরুষমানুষরা তো বটেই, নারী ও শিশুরা চাইলেও রাত দুপুরে বাড়ির বাইরে বেড়াতে বেরোতে পারে। ডিস্টার্ব করা তো দূরের কথা, চোখ তুলেও তাকাবার সাহস পাবে না কেউ। নিরাপত্তায় নিয়োজিত গাড়িভর্তি কর্মী চব্বিশঘণ্টা টহল দিচ্ছে। ঢাকার ভিতরেই বসুন্ধরা সম্পূর্ণ এক আলাদা জগৎ। স্বপ্নের বাসভূমি। এটা সম্ভব হয়েছে সুপরিকল্পনা ও তা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন আর প্রয়োগের ফলে। গত কয়েক বছর আগে বর্ষার বৃষ্টিতে বসুন্ধরার কোথাও কোথাও পানি জমে যেত। এই নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন কর্তৃপক্ষ। সুদূর প্রসারী আধুনিক পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে রাতারাতি সামাল দিলেন সেই সমস্যা। গড়ে তুললেন অত্যাধুনিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা। যত বৃষ্টিই হোক, বসুন্ধরায় এখন আর পানি জমে না। জোরালো ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে বৃষ্টির পানি এক মিনিটও দাঁড়াতে পারে না। সঙ্গে আছে এলাকার ড্রেনগুলোর সঠিক তদারকি। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বহুকর্মী নিয়োজিত এই কাজে। কী নেই বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায়? হাসপাতাল, বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল, খেলার মাঠ, শপিং মল, সুন্দর সুন্দর মসজিদ, গোরস্থান, অতি আধুনিক সব রেস্টুরেন্ট। এক কথায় সব মিলিয়ে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা বর্তমান বিশ্বের অতি আধুনিক এক মনোরম শহর। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা নিয়ে কথাগুলো বলার কারণ, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র মহোদয়দের দৃষ্টি আকর্ষণ করা। বসুন্ধরায় ড্রেনেজ ব্যবস্থার অনুকরণ করে তাঁরা খুব সহজেই হঠাৎ বৃষ্টিতে জলাবদ্ধ হয়ে যাওয়া ঢাকা শহরকে অনেকখানি মুক্তি দিতে পারেন। মানুষকে দুর্ভোগ মুক্ত করতে পারেন, ব্যবসায়ীদের বাঁচাতে পারেন ক্ষতির হাত থেকে। ছাত্র-ছাত্রী আর পথচলা মানুষদের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে পারেন। বৃষ্টির তোড়ে হঠাৎ অসহায় হয়ে পড়া গৃহবাসীদের সুরক্ষা দিতে পারেন। এই শহরের মানুষকে স্বস্তিতে বসবাস করার সুযোগ করে দিতে পারেন। এসব তাঁদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে নিশ্চয় তাঁরা ভাববেন। তাঁদের চোখের সামনেই তো উদাহরণ হিসেবে আছে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা।

পরবর্তী খবর

নওগাঁর ধামইরহাটে পানিতে ডুবে দুই ভাইয়ের মৃত্যু

নওগাঁর ধামইরহাটে পুকুরের পানিতে ডুবে যমজ দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৭ জুলাই) দুপুর ১২টায় উপজেলার খেলনা ইউনিয়নের পশ্চিম চকভবানী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু সালাম।

নিতহ দুই শিশু– লক্ষণ (৩) ও রাম (৩)। তারা উভয়ে একই গ্রামের সুজিত ওরাওঁ-এর যমজ সন্তান।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু সালাম বলেন, সকালের খাবার খেয়ে ওই দুই ভাই বাড়ির পাশে খেলতে থাকে। খেলার একপর্যায়ে সবার অগোচরে দুই ভাই বাড়ির সামনে পুকুরে ডুবে যায়। পরে তাদের খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে দুজনের লাশ পুকুরে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয়রা।

যমজ দুই ভাইয়ের মর্মান্তিক মৃত্যুতে পরিবারের সদস্য এবং প্রতিবেশীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

ধামইরহাট থানায় অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. বাহাউদ্দিন ফারুকী বলেন, দুই শিশু পানিতে ডুবে মারা যাওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, খেলতে গিয়েই তারা পানিতে ডুবে মারা গেছে। এ বিষয়ে থানায় কোন অভিযোগ করা হয়নি।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত