দেশ

দেশ

ঠাকুরগাঁওয়ে ভুট্টার বাম্পার ফলনেও দুশ্চিন্তায় কৃষক

ঠাকুরগাঁওয়ে চলতি বছর ভুট্টার বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে বাজারে মিলছে না দাম। অথচ ভুট্টা দিয়ে তৈরি নানাবিধ খাদ্যদ্রব্য বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। আর এ সুযোগে ভুট্টা মজুত করে ব্যবসায়ীরা লাভবান হচ্ছেন বলে অভিযোগ কৃষকদের।

ঠাকুরগাঁও জেলার নারগুন, জগন্নাথপুর, সালন্দর ইউনিয়ন। এসব ইউনিয়নসহ জেলার আশপাশের ইউনিয়নগুলোতে চলছে ক্ষেত থেকে ভুট্টা সংগ্রহের কাজ। উৎপাদন খরচ তোলার পাশাপাশি কাঙ্ক্ষিত লাভের আশায় মাঠে শ্রমিকদের সঙ্গে ভুট্টা সংগ্রহের কাজ করছেন অনেক কৃষক। নিজের শ্রমে জমি থেকে ভুট্টা সংগ্রহের পর চাতালে শুকিয়ে বস্তাবন্দি করে বিক্রি করছেন।

তবে গত বছরের তুলনায় বাজারে এবার ভুট্টার দাম ভালো না পাওয়ায় দুশ্চিন্তায় কৃষকরা। তারা বলেন, এক বিঘা জমিতে ভুট্টা উৎপাদনে খরচ হয়েছে ২২ থেকে ২৫ হাজার টাকা। পাশাপাশি বরগা চাষিদের ক্ষেত্রে খরচ হয়েছে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। এর বিপরীতে বিঘা প্রতি ফলন হয়েছে ৬৫ থেকে ৭০ মণ ভুট্টা।

সরজমিনে বাজার ঘুরে দেখা যায়, বর্তমান বাজারে প্রতি মণ ভুট্টা বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৬৫০ টাকায়। স্থানীয় কৃষকের অভিযোগ, ভুট্টা দিয়ে মুরগি ও পশুর খাদ্যসহ নানাবিধ খাদ্য তৈরির পর চড়া দামে বিক্রি হলেও কাঙ্ক্ষিত দাম না মিলছে না ভুট্টার। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ব্যবসায়ীরা লাভবান হচ্ছেন। তাই সরকারিভাবে ভুট্টার দাম নির্ধারণের দাবি তাদের।

চাষিরা আরও জানান, গত বছর প্রতি বস্তা অর্থাৎ দুইমণ ভুট্টা বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকায়। আর বর্তমানে সেই ভুট্টা বিক্রি করতে হচ্ছে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায়।

এদিকে বাজারে ভুট্টার কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ার কথা স্বীকার করেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, বাজারে ভুট্টার দাম পাওয়া যাচ্ছে না। এতে ভুট্টা সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

আর জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য বলছে, চলতি বছর ৩৬ হাজার ৭৭৩ (চলমান) হেক্টর জমিতে ভুট্টা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু আবাদ হয়েছে ৩৮ হাজারেরও বেশি জমিতে। এ থেকে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ মেট্রিক টন ভুট্টা উৎপাদন হয়েছে।

বিষয়:
পরবর্তী খবর

৫০ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার

সীমান্ত সম্ভারে স্বর্ণের দোকানে চাঞ্চল্যকর চুরির রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার ৩

রাজধানীর ধানমণ্ডির বিজিবি সীমান্ত সম্ভার শপিং কমপ্লেক্সের একটি স্বর্ণের দোকানে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. রুবেল (২৮), সফিক ওরফে সোহেল (৩৫) এবং সাদ্দাম হোসেন (৩১)। এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া ৫০ ভরি আট আনা স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা।

ডিবি সূত্রে জানা যায়, ধানমণ্ডি মডেল থানাধীন ‘ক্রাউন ডায়মন্ড এন্ড জুয়েলার্স’ শোরুমে গত ৩ জানুয়ারি বেলা ১টার দিকে চুরির ঘটনা ঘটে। চোরচক্র অভিনব পদ্ধতিতে শো-রুমের তালা ও সাটার কেটে মাত্র আট মিনিটের মধ্যে ১৫৯ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। দোকানের মালিক কাজী আকাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকারের আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়।

মামলার প্রেক্ষিতে ডিবি পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ৯ জানুয়ারি থেকে ডিবি পুলিশ ধারাবাহিক অভিযান চালায়। কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে প্রথমে মো. রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লার দেবীদ্বার থেকে সফিক ওরফে সোহেল এবং মুরাদনগর থেকে সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ২৮ ভরি ১৪ আনা আসল স্বর্ণ এবং ২১ ভরি ১০ আনা গলিত স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। ডিবি সূত্রে আরও জানা যায়, চুরির ঘটনায় জড়িত চক্রের অন্যান্য সদস্যদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেফতার ও অবশিষ্ট স্বর্ণ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ডিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান পিপিএম জানান, এই চক্র অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পরিকল্পনা করে চুরি সংঘটিত করে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে জনগণের আস্থা অক্ষুণ্ণ রাখতে সক্ষম হয়েছে।

বিষয়:
পরবর্তী খবর

পোরশায় ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস, কেনা যাবে ২৫০ গ্রাম

চড়া দামের কারণে নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত অনেক মানুষ পুরো এক কেজি মাংস কিনতে পারছে না। এমন ক্রেতাদের সুবিধার্থে এবার ২৫০ গ্রাম গরুর মাংসও বিক্রি হবে নওগাঁর পোরশায়। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ন্যায্যমূল্যের দোকানে গরুর মাংস বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৩ই ডিসেম্বর) সকাল আটটার দিকে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফ আদনান।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সহযোগিতায় ও জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আউয়ালের নির্দেশে ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস বিক্রির এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এ সময় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।

এ প্রসঙ্গে ইউ এন ও আরিফ আদনান বলেন, জেলা প্রশাসকের দিকনির্দেশনায় ন্যায্য মূল্যের মাংসের দোকান চালু করা হয়েছে । এই দোকানে প্রতি কেজি ৬০০ টাকা দরে ক্রেতাগণ কিনতে পারবেন এবং গরিব জনগণ ২৫০ গ্রাম থেকে গরুর মাংস কিনতে পারবেন বলে জানান ইউ এন ওআরিফ আদনান।

বিষয়:
সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত