গত মাসের শেষ সপ্তাহে বাংলাদেশের শেখ মোহাম্মদ শিথিলের নেতৃত্বে ‘বোরড টানেলার্স’ নামের একটি টিম ইলন মাস্কের নট আ বোরিং কম্পিটিশনের ফাইনালে অংশ নিয়ে ফাইনালে সেরা তিনে থাকার পাশাপাশি প্রথম দল হিসেবে সম্মানসূচক ‘রুকি’ পদক জিতেছে । বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশলের ২০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে গড়া হয়েছে ‘বোরড টানেলার্স’। যাঁদের মধ্যে ৭ জন চূড়ান্ত পর্বে অংশ নিতে গিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের বাসট্রপে অবস্থিত ইলন মাস্কের ’দ্য বোরিং কোম্পানির মূল ভেন্যুতে।
’নট আ বোরিং কম্পিটিশন’ নামক এই প্রতিযোগিতার আয়োজক বিখ্যাত ধনকুবের ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান ‘দ্য বোরিং কোম্পানি’। নতুন নতুন চিন্তা ও প্রযুক্তির সমন্বয়ে মাটির নিচ দিয়ে টানেল তৈরির অত্যাধুনিক যন্ত্র নির্মাণের উদ্দেশ্যে প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করে তারা।
২০২১ সাল থেকে ‘নট আ বোরিং কম্পিটিশন’ হয়ে আসছে। দুই ধাপের অনলাইন পর্ব পেরিয়ে ফাইনালে পৌঁছায় সারা বিশ্বের সেরা দশ দল। আট দিনের ফাইনাল পর্বের প্রথম সাত দিন প্রকল্প উপস্থাপনা করতে হয়। সঙ্গে চলে যন্ত্রের নিরাপত্তাসংক্রান্ত পরীক্ষা। অর্থাৎ কাজ করার জন্য যন্ত্রটি প্রস্তুত কি না, তারই যাচাই–বাছাই। শেষ দিনে নিজেদের তৈরি যন্ত্র দিয়ে মাটি খুঁড়ে দেখাতে হয়।
দুই ধাপের অনলাইন পর্ব পেরিয়ে ফাইনালে পৌঁছার পর মূল প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে আমেরিকায় অবস্থিত ইলন মাস্কের ‘দ্য বোরিং কোম্পানি’র ভেন্যুতে যাওয়া নিয়েই দলের সবাই শঙ্কায় ছিল একসময়।
পৃষ্ঠপোষকতা পেতে বোরড টানেলার্সকে কিন্তু বেশ বেগ পেতে হয়েছিল। যন্ত্র নির্মাণে কারিগরি সহায়তা দিয়েছে বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্র (বিটাক)। পরে গিগাবাইট ও সুপার স্টার গ্রুপও পৃষ্ঠপোষক হিসেবে যোগ হয়েছে। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সহ–দলনেতা এম শাহরিয়ার ইকবাল বলেন, ‘শুরুর দিকে আমরা প্রত্যেক সদস্য নিজেদের সাধ্যমতো টাকা দিয়ে যন্ত্রটা দাঁড় করিয়েছি। পর্যাপ্ত টাকার অভাবে কিছু অংশ সম্পূর্ণ করা হয়ে ওঠেনি। যন্ত্রটি যুক্তরাষ্ট্রে নিতেও অনেক ঝক্কি পোহাতে হয়েছে। টাকার অভাবে যন্ত্রাংশগুলো ভাগ করে নিজেদের লাগেজে করে নিতে হয়েছে।’
প্রথমবার অংশ নিয়েই বাজিমাত
বোরড টানেলার্সের দলনেতা শেখ মোহাম্মদ শিথিল মুঠোফোনে জানান, ‘এই ফলাফল নিয়ে আমরা এখনো ঘোরের মধ্যে আছি। সেরা তিনে থাকা আমাদের জন্য অনেক সম্মানের। রুকি পুরস্কার সেই সম্মানকে আরও সমৃদ্ধ করেছে। আমরাই এশিয়ার প্রথম দল, যারা এই প্রতিযোগিতায় এত ভালো অবস্থানে পৌঁছালাম।’
প্রতিযোগিতায় প্রথমবার অংশ নিয়েই নিজেদের প্রতিভা ও দক্ষতার প্রমাণ দেওয়ায় বাংলাদেশ দলটিকে ‘রুকি’ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
এরই মধ্যে বাংলাদেশের আমেরিকান দূতাবাস থেকেও বোরড টানেলার্স’ টিমকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে।
দীর্ঘ ১৮ মাসের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল এই অর্জন
প্রতিযোগিতা মাত্র সাতদিনের হলেও অনলাইনের দু‘টি ধাপ সফলভাবে শেষ করার পরই মূলত শুরু হয়েছিল আসল কাজ। ভার্চুয়াল ডিজাইনের বাস্তবায়নে টিমের সদস্যদের দিনরাত একটানা নিরলস চেষ্টায় ধাপে ধাপে তৈরি হয় বোরিং যন্ত্রের বিভিন্ন অংশ। এতে যুক্ত হয় সর্বাধুনিক প্রযুক্তি। প্রতিটি অংশের জন্যে আলাদা আলাদাভাবে কাজ করেছে ডেডিকেটেড টিম। আর সব টিমের সমন্বয়ক ছিলেন শেখ মোহাম্মদ শিথিল।
দেশের অবকাঠামো নির্মাণে ব্যবহৃত হবে এই যন্ত্র
‘বোরড টানেলার্স’–এর তৈরি খননযন্ত্রটি (টিবিএম) দেশের কাজেও লাগবে বলে বিশ্বাস করেন এর নির্মাতারা। ওয়াসার পানির লাইনের জন্য খনন পরিচালনা করা, নিষ্কাশনব্যবস্থায় কাজ করাসহ নানা খননকাজে ব্যবহৃত হতে পারে এই যন্ত্র। দলের প্রযুক্তি প্রধান ফাহিম উদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশের বেসামরিক অবকাঠামো খাত ব্যাপকভাবে কায়িক শ্রমনির্ভর। অপর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থার কারণে অনেককেই ঝুঁকিতে থাকতে হয়। বোরড টানেলার্সের লক্ষ্য হলো টানেলিং প্রক্রিয়ায় নিরাপত্তা দেওয়া, কাজে গতি বাড়ানো এবং খরচ কমিয়ে আনা।’
এই দলের উপদেষ্টা ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক সালমান প্রমন। শিল্প উপদেষ্টা ছিলেন বিটাকের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুনুর রশীদ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. আশরাফুজ্জামান। এই তিনজনের প্রতিই ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে ‘বোরড টানেলার্স’। অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসহ একটি ডেডিকেটেড ল্যাব প্রদানের জন্য দলটি তাদের উৎপাদন সহযোগী বাংলাদেশ শিল্প প্রযুক্তি সহায়তা কেন্দ্রের (বিটাক) কাছে কৃতজ্ঞ। তারা তাদের প্রযুক্তিগত পৃষ্ঠপোষক GIGABYTE AORUS এবং সিলভার স্পন্সর সুপার স্টার গ্রুপ (SSG)-কে ধন্যবাদ জানায়।
১৯৭১ সালের জুন মাসের শেষ দিক। বাংলাদেশে তখন চলছে পাকিস্তানি কসাই সেনাদের রক্তের হলিখেলা। ২৫শে মার্চের কাল রাত থেকে তারা সারা বাংলাদেশের নিরস্ত্র নিরীহ মানুষের উপর আক্রমণ চালিয়ে নির্বিচারে মানুষ হত্যার পাশাপাশি গ্রামের পর গ্রামে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, নারী ধর্ষণসহ নানা পৈশাচিক কর্মকাণ্ডে মেতে উঠেছে। অন্য দিকে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের সেই ঐতিহাসিক ঘোষণা– ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ দেওয়ার পর থেকেই দেশে শুরু হয়ে গিয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি। ২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই সারা বাংলাদেশে শুরু হয়ে যায় প্রতিরোধ যুদ্ধ। এরই ধারাবাহিকতায় ১৭ই এপ্রিল প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের শপথ গ্রহণ এবং তার অল্প কিছু দিনের মধ্যে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র চালু হয়। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের সাফল্যগাথা শুনে অবরুদ্ধ বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ যেমন উৎফুল্ল হয়ে উঠতো, তেমনি বাঙালি যুবকেরা মুুক্তিযুদ্ধে যোগ দিতে অনুপ্রেরণা খুঁজে পেত। যার ফলে দেশের ভেতর থেকে যুবক ছেলেরা দলে দলে ভারতে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিতে শুরু করে।
দিনে দিনে মুক্তিযোদ্ধাদের শক্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে দেখে পাকি সেনারাও নতুন ফন্দি আঁটে। নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য স্বাধীনতাবিরোধী জামাতে ইসলাম, মুসলিম লীগ, নেজামে ইসলামসহ অন্যান্য স্বাধীনতা বিরোধী দলের সহযোগিতায় তারা রাজাকার, আল বদর, আল শামস বাহিনী গঠন-কাজে হাত দেয়। জুন মাসের প্রথম দিকে তাদের এই বাহিনী গঠন-প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। এই মাসের মাঝের দিকে জামাত নেতা লেবুতলা গ্রামের ইব্রাহিম ডাক্তারের নেতৃত্বে (হাতুরে ডাক্তার) যশোর শহর থেকে ২০ মাইল পূর্বে খাজুরা উচ্চ বিদ্যালয়ে একটা রাজাকার ক্যাম্প স্থাপন করার পর থেকেই তারা গ্রামের সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার, নির্যাতন, বাড়িঘর লুটপাট এবং নারী ধর্ষণের মতো গর্হিত কাজ শুরু করে দেয়। শুধু তাই না মাত্র ১০/১২ দিনের মধ্যেই লেবুতলা গ্রামের নিমাই কাপালি, গৌর মাষ্টারের বাড়িতে লুটপাট ও খাজুরার আলিয়র রহমানের স্ত্রী ও ২ বোনকে ধরে নিয়ে গিয়ে সম্ভ্রমহানী করার পর তারা এলাকায় মূর্তিমান আতঙ্কে পরিণত হয়ে গেছে। এখন গাঁয়ের মানুষদের জলে কুমির আর ডাঙায় বাঘের মতো অবস্থা। প্রতি রাতেই যেমন পাকিস্তানি কসাই সেনারা বিভিন্ন এলাকায় আক্রমণ চালাচ্ছে, তেমনি দিনের বেলায় রাজাকার ও আল বদরেরা গ্রামে গ্রামে হামলা চালিয়ে লুটপাট ও নানা অসামাজিক কাজে মেতে উঠছে। শত্রুদের এই দ্বিমুখী আক্রমণে আজ বাংলাদেশের প্রতিটা এলাকায় নরকের যন্ত্রণা নেমে এসেছে। তাদের জীবন ও জীবিকা এলোমেলো হয়ে গেছে।
খান সেনাদের আক্রমণের আগাম খবর জানার জন্য এখন মানুষ তাদের রাতের ঘুমকে হারাম করে গাঁয়ে গাঁয়ে সারা রাত পাহারা বসিয়েছে। নির্ঘুম রাত কাটানোর পর দিনের বেলায় যে একটু শান্তিতে ঘুমাবে তারও কোন উপায় নেই। কারণ কখন যে রাজাকার আল বদরেরা হামলা করে বাড়ি ঘরে লুটপাট কিংবা যুবতি নারীদের অপহরণ করে নিয়ে যায় সেই চিন্তায় তাদের উৎকন্ঠিত থাকতে হয়। দিনের আলোয় তবুও মনে একটু বল পাওয়া যায়। কিন্তু রাতের আঁধার ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে মানুষের জীবনও যেন ঘোর অন্ধকারে ছেয়ে যায়। তখন তাদের মাথায় একটাই চিন্তা ঘুরপাক খায়– পরিবারের সবার জীবন রক্ষা করতে পারবো তো? বাড়ির যুবতি মা, বোন, কন্যার সম্ভ্রম রক্ষা করা যাবে তো? রাত যত গভীর হতে থাকে মানুষের মনের আতঙ্কও ততো বৃদ্ধি পেতে থাকে। এরই মধ্যে এলাকায় জোর গুজব ছড়িয়ে পড়েছে যে ভারত থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা দেশের ভেতরে প্রবেশ করেছে। কেউ তাদের চোখে দেখেনি। তবুও এই খবর শুনে সাধারণ মানুষ আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছে। এবার নিশ্চয়ই মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে পাকিস্তানি সেনা তথা রাজাকার আলবদর বাহিনী পরাজিত হবে। বাংলাদেশ স্বাধীন হবে। কিন্তু সেই স্বাধীনতার জন্য আর কত দিন আর কত রাত তাদের এমন দুঃসহ যাতনা ভোগ করতে হবে?
আজ ৩০শে জুন। জুন মাসের শেষ দিন। মানুষ জন সারা রাত গাঁ পাহারা দিয়ে ঘরে ফেরা শুরু করেছে। মসজিদে মসজিদে মুয়াজ্জিনের আজানের ধ্বনি ভেসে আসছে। ঠিক এমন সময় খাজুরিয়া রাজাকার ক্যাম্পের উপর যেন গুলির বৃষ্টি বর্ষণ শুরু হয়ে গেছে। এলএমজি, এসএলআর, ৩০৩ রাইফেলের গুলি ও গ্রেনেড বিস্ফোরণের শব্দের পাশাপাশি মুর্হুমুহু ভেসে আসছে জয় বাংলা স্লোগান। তখন এলাকার মানুষের মনের সব সংশয় দূর হয়ে যায়। তারা নিশ্চিত হয়ে যায়, নরাধম রাজাকাদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে মুক্তিযোদ্ধারাই খাজুরা রাজাকার ক্যাম্প আক্রমণ করেছে। সারা ক্যাম্প এলাকায় যেন ভূমিকম্প শুরু হয়েছে। সেই ভূমিকম্প যেন থামতেই চায় না। প্রায় ঘন্টা খানেক প্রবল গুলাগুলি চলার পর আস্তে আস্তে তা স্তিমিত হয়ে আসে। এরই মধ্যে পূর্ব আকাশে নতুন দিনের আশার সূর্য উদিত হতে দেখা যায়। দিনের আলোয় আশে পাশের বাড়িঘরের লোকজন ক্যাম্পের সামনে এসে দেখতে পায় ৫ জন রাজাকার মরে পড়ে আছে। বাকিরা জীবন বাঁচাতে ক্যাম্পের পিছনের ডোবায় আশ্রয় নিয়েছিল। মুক্তিবাহিনী চলে যাওয়ার পর আস্তে আস্তে তারা ক্যাম্পে ফিরে আসছে। নরাধমদের এমন উপযুক্ত শাস্তি হয়েছে দেখে গাঁয়ের লোকজন মনে মনে ভীষণ খুশি হলেও তারা মুখে তা প্রকাশ করতে পারে না। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সেদিনের রাতের খবরে যশোর জেলার খাজুরা রাজাকার ক্যাম্পের উপর মুক্তিযোদ্ধাদের সফল অপারেশন পরিচালনার খবর ফলাও করে প্রচার করার সাথে সাথে তা ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বময়। এই খবর পেয়ে অবরুদ্ধ বাংলাদেশের প্রতিটা মুক্তিপাগল বাঙালির মনে আনন্দের জোয়ার বয়ে যায়। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সেদিনের চরমপত্র অনুষ্ঠানে শোনা গেল– বিচ্ছুদের গাবুড় মাইরের চোটে যশোরের খাজুরায় ৫ জন রাজাকার অক্কা পেয়েছে। বাকিরা জীবন বাঁচাতে ক্যাম্পের পেছনের ডোবার ভেতরে হাবুডুবু খেয়েছে।
এন্টারপ্রাইজ বাংলাদেশের আয়োজনে রাজধানীর টিকাটুলীতে অবস্থিত এফবিসিসিআই ইনোভেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার মিলনায়তনে শুরু হয়েছে দুই দিন ব্যাপী ক্ষুদ্র ও মাঝারী উদ্যোক্তাদের জন্যে দক্ষতা বৃদ্ধি এবং ঋণ প্রস্তুতি সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ।
বুধবার (১২ জুন) সকালে শুরু হওয়া এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে প্রথম ব্যাচে ২৫ জন উদ্যোক্তাকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে। প্রথম দিন উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই ইনোভেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিকর্ণ কুমার ঘোষ।
প্রধান অতিথি তাঁর উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের ঋণ শোধ করতে হলে তাঁদের স্বপ্নটাকে বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে। তাঁদের স্বপ্ন ছিল একটা সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। সেই লক্ষ্যে অসম্ভবকে সম্ভব করার সাহসীকতা নিয়ে কাজ করতে হবে। উদ্যোক্তাদের সেই সাহস আছে। তাদের সাহস, আত্মবিশ্বাস এবং প্রস্তুতি পারে দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে। তিনি বলেন, যারা উদ্যোক্তা তারা ঝুঁকি নিতে জানে। ঝুঁকি নেওয়া ছাড়া বড় পরিবর্তন সম্ভব না। তাই চাকরিজীবীদের দিয়ে যে অগ্রগতি সম্ভব না, উদ্যোক্তাদের দিয়ে তা সম্ভব। বিকর্ণ কুমার ঘোষ উদ্যোক্তাদের যেকোনো প্রয়োজনে পাশে থাকার প্রত্যয় ঘোষণা দেন।
প্রথম দিনের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করেন নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনের মডারেটর ও ঢাকা জেলা এম্বাসাডর হোসাইন আল মামুন এবং টার্টেল ভেঞ্চারের মেহেনাজ জামান।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ক্ষুদ্র ও মাঝারী উদ্যোক্তাদের জন্যে দক্ষতা বৃদ্ধি এবং ঋণ প্রস্তুতি সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ কার্যক্রম তারা নিয়মিত পরিচালনা করবেন। প্রথম ব্যাচে এবার বাছাইকৃত পঁচিশজন উদ্যোক্তাকে সুযোগ দিতে পেরেছেন। ভবিষ্যতে আরও বেশি সংখ্যক উদ্যোক্তাকে এই প্রশিক্ষণের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে। তাদের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, উদ্যোক্তাদের জন্য বিনিয়োগ এবং লোন সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোকে সহজ করতে তারা কাজ করছেন।
এন্টারপ্রাইজ বাংলাদেশের এই আয়োজনে পার্টনার হিসেবে রয়েছে নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন, টার্টেল ভেঞ্চার এবং দ্রুত লোন। আগামীকাল প্রথম ব্যাচের এই প্রশিক্ষণ শেষ হবে।