খেলা, দেশ

খেলা, দেশ

সাতক্ষীরা খেলাধুলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জনপদ

সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষা, সংস্কৃতি ও খেলাধুলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি জনপদ। এ জেলায় জন্ম হয়েছে বহু জ্ঞানী-গুণী ও মনিষীর। তৎকালীন উপমহাদেশের রাজধানী কোলকাতার নিকটতম জনপদ হিসেবে এসব ক্ষেত্রে সমৃদ্ধি অনেক আগে থেকেই। বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের সকল ডিসিপ্লেনেই এ জেলার খেলোয়াড় ও সংগঠকদের আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও রয়েছে দীপ্ত পদচারণা। যা ঐতিহ্যের স্বাক্ষর বহন করে আসছে। আমাদের প্রাণপ্রিয় জন্মভূমি, মাতৃভূমি সাতক্ষীরা জেলার যে সকল ক্রীড়াবিদ ও সংগঠক বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিনিধিত্ব তথা বিভিন্ন খেলায় অংশগ্রহণ করেছেন বা করছেন তাঁদের নিয়ে এ এসোসিয়েশন গঠন (২০১৬ খ্রি.) করা হয়েছে। জেলার আন্তর্জাতিক ক্রীড়াবিদ ও সংগঠকদের মধ্যে বন্ধুত্ব-ভ্রাতৃত্ব, সহযোগিতা-সহমর্মিতা, তরুণ-নবীন সহযোগিতা করা সর্বোপরি ঐক্যবদ্ধভাবে খেলাধুলাকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য কাজ করার ক্ষেত্র সৃষ্টি করা আমাদের লক্ষ্য হতে পারে। সাতক্ষীরায় আন্তর্জাতিক ক্রীড়াবিদ ও সংগঠক এ্যাসোসিয়েশনের অভিষেক সভা ও ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দ এসব মন্তব্য করেন।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে সাতক্ষীরা শহরের লেক ভিউ কনভেনশন সেন্টারে আন্তর্জাতিক ক্রীড়াবিদ ও সংগঠক এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাবেক ফিফা রেফারি জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত সংগঠক তৈয়ব হাসান শামসুজ্জামান বাবুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সদর-০২ আসনের সংসদ সদস্য জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আশরাফুজ্জামান আশু।

প্রধান অতিথি এমপি আশু তার বক্তব্যে বলেন, সাতক্ষীরা থেকে বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রাক্তন ও বর্তমান মিলে বিভিন্ন খেলাধুলায় মোট ৯০ জন কৃতি খেলোয়াড় প্রতিনিধিত্ব করছে বা করেছেন। তার মধ্যে ফিফা রেফারি হিসাবে ৩ জন, অ্যাটলেটিকস ১ জন, বাংলাদেশ ক্রিকেটে প্রাক্তন ও বর্তমান ১০ জন, ফুটবলে মহিলা ও পুরুষ ২৫ জন, সেপাক টাকরো ১২ জন, খো খো ১২ জন, ভলিবল ৭ জন, শুটিং ২ জন, কেরাম ২ জন, তাইকোয়ান্দ ১ জন, কুস্তি ১ জন, বক্সিন ১ জন, ফ্রডবল ১ জন, অ্যাটলেটিক্সের দ্রুততম মানবী ১ জন, হ্যান্ডবল ১ জন, টেবিল টেনিস ২ জন, কাবাডি ৪ জন। এর মধ্যে দেশ ছাড়াও বিদেশে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করছেন সাবেক ফিফা রেফারি তৈয়ব হাসান শামসুজ্জামান বাবু বা তৈয়ব বাবু, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার শেখ রবিউল ইসলাম শিবলু, ড্যাসিং হিরো সৌম্য সরকার, দ্যা ফিজ খ্যাত মোস্তাফিজুর রহমান, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী,আশিকুর রহমান, জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন, অনূর্ধ্ব ১৯ জাতীয় মহিলা দলের অধিনায়ক আফিদা খন্দকার, জাতীয় মহিলা খো কো দলের অধিনায়ক সারাবান তহুরা, জাতীয় পুরুষ খো কো দলের অধিনায়ক ও কোচ আব্দুর রহমান রানা প্রমুখ।

বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের সঞ্চালনায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. নজরুল ইসলাম, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য লায়লা পারভীন সেঁজুতি, জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত এ্যাথলেট ফরিদ খান চৌধুরী, জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক ইমাদুল হক খান, সাবেক টেস্ট ক্রিকেটার শেখ রবিউল ইসলাম শিবলু।

২০১৬ খ্রি.-এ গঠিত আন্তর্জাতিক ক্রীড়াবিদ-সংগঠক এসোসিয়েশনটিতে ইতোমধ্যে ৪ জন জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব এবং প্রায় ৯০ জন আন্তর্জাতিক ক্রীড়াবিদ-সংগঠক’কে এসোসিয়েশনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এসোসিয়েশন গঠনের মাধ্যমে আগামীতে জেলার সকল আন্তর্জাতিক ক্রীড়াবিদ ও সংগঠকদের সহৃদয় ও সক্রিয় অংশগ্রহণে সুন্দর ও গঠনমূলক লক্ষ্য- উদ্দেশ্য নিয়ে অনেক দূর এগিয়ে যাবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা বলে মনে করেন সংগঠনটির কর্মকর্তাবৃন্দ।

আন্তর্জাতিক ক্রীড়াবিদ ও সংগঠক এ্যাসোসিয়েশন সাতক্ষীরার উপদেষ্টা কমিটির প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে আছেন শেখ বশির আহমেদ মামুন (জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত সংগঠক), উপদেষ্টা হিসেবে আছেন, শেখ নিজাম উদ্দীন (আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিনিধিত্বকারী ক্রীড়া সংগঠক), শামীম আল মামুন (জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত ক্রীড়াবিদ), কার্যনির্বাহী কমিটি সভাপতি হয়েছেন সাবেক ফিফা রেফারী জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত সংগঠক তৈয়েব হাসান সামছুজ্জামান বাবু এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক ইমাদুল হক খান। এছাড়া কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, সহ-সভাপতি জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত এ্যাথলেটিক্স ফরিদ খান চৌধুরী, জাতীয় ক্রিকেটার সৌম্য সরকার, জাতীয় খো খো অধিনায়ক ও কোচ আব্দুর রহমান রানা, সহ-সাধারণ সম্পাদক সাবেক জাতীয় ক্রিকেটার শেখ রবিউল ইসলাম শিবলু, যুগ্ম সম্পাদক জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন, জাতীয় এ্যাথলেটিক্স শিরিন আক্তার, সাংগঠনিক সম্পাদক জাতীয় ফুটবলার আলমগীর কবির রানা, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দা আতকিয়া হাসান দিশা (শুটিং), অর্থ সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান সোহাগ (সেফাট টাকরো), তথ্য যোগাযোগ ও প্রচার মো. ফরহাদুজ্জামান বাবু (ফুটবল), দপ্তর সম্পাদক ইমরান হোসেন (সেফাট টাকরো), নির্বাহী সদস্য, জাতীয় ক্রিকেটার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, সুজিত কুমার ব্যানার্জী (রেফারী ফুটবল), শেখ ইসমাইল হোসেন সজীব (ভলিবল), ফারজানা বানু শিল্পী (ক্যারাম) শেখ ইকবাল আলম (রেফারী ফুটবল),আরেফিন সিদ্দিকী (হ্যান্ডবল), সারাবান তহুরা (খো খো), সুমাইয়া ইমরোজ (তায়কোয়ান্দ), হাসিবুর রহমান (খো খো), আফরা খন্দকার প্রাপ্তি (বক্সার), জাতীয় ক্রিকেটার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী নিপুণ, জাতীয় মহিলা ফুটবলার মসুরা পারভীন।

বিষয়:
পরবর্তী খবর

বসুন্ধরা পারলে কেন সিটি করপোরেশন পারবে না

ভোররাত থেকে বৃষ্টি হচ্ছিল। সারা রাত আকাশে মেঘ ছিল। আষাঢ় শেষ হয়ে আসছে। বর্ষাকাল। এখন এরকমই হওয়ার কথা। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হবে হঠাৎ করেই। ঝুপ ঝুপ করে নামবে বৃষ্টি। কখনও থেকে থেকে, কখনও অবিরাম। এ বছরের বর্ষায় প্রবল বৃষ্টি হতে পারে, আবহাওয়াবিদরা পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। জলবায়ু পরিবর্তন এখন পৃথিবীর সবচাইতে বড় সমস্যা। যেদিন আমরা পিছনে ফেলে এসেছি, যে আবহাওয়ায় বড় হয়েছি, সেই আবহাওয়া এখন আর নেই। শীতের দেশগুলোতে তীব্র গরম পড়ছে। শীতকালে শীত পড়ছে আগের তুলনায় বেশি। বরফের পাহাড় গলে যাচ্ছে আন্টার্টিকায়। দাবানলে পুড়ছে আমেরিকার বনভূমি। প্রকৃতি উল্টো-পাল্টা হয়ে গেছে। বদলে গেছে বহু কিছু।

এ বছরের গ্রীষ্মে প্রচণ্ড গরম পড়েছিল। মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা। জীবজগৎ বিপর্যস্ত। আবহাওয়াবিদরা বলেছিলেন, বর্ষায় প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। ক’দিন আগে তাই হলো। ভোররাত থেকে বৃষ্টি। সকাল দশটা এগারোটা পর্যস্ত থামার নাম নেই। আকাশ অন্ধকার হয়ে আছে। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ছায়াময় পরিবেশ। আমি একটু বেলা করে উঠেছি। মধ্যমাত্রার বৃষ্টি তখনও ঝরছে। দুপুর নাগাদ টেলিভিশন আর অনলাইনগুলো দেখে হতভম্ব হয়ে গেলাম। ঢাকা শহরের বহু এলাকা বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে। রিকশার পাদানিতে উঠে গেছে পানি। বাসের চাকা ডুবে গেছে। প্রাইভেটকার ডুবে গেছে, জেগে আছে শুধু গাড়ির ছাদটুকু। নিউমার্কেট আর কাঁটাবন এলাকার দোকানপাটের ভিতর কোমর পানি। ছোট আর মাঝারি ব্যবসায়ীরা পড়ে গেছেন ব্যাপক সংকটে। দোকানের মালামাল রক্ষা করতে পারেননি। সব ভেসে গেছে বৃষ্টিতে। শত কোটি টাকার ক্ষতি হয়ে গেছে।

অন্যদিকে মানুষের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ। কর্মস্থলে যাওয়া মানুষ, বাড়ি ফেরার মানুষ, ছাত্র-ছাত্রী প্রত্যেকেই পড়েছে চরম দুর্ভোগে। গাড়ি চলছে না। হেঁটে বাড়ি ফিরছে মানুষ। তাদের কোমরের ওপর পর্যন্ত পানি। পুরান ঢাকার অলিগলি রাজপথ ডুবে গেছে। ঘরে ঢুকে গেছে পানি। মানুষ দিশেহারা। এ অবস্থা কেমন করে সামাল দেবে? এক বেলার বৃষ্টিতে জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত। অথচ কোটি কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে ঢাকা শহরের পানি নিষ্কাশনের জন্য। কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। বৃষ্টি হলেই ডুবছে রাস্তাঘাট। বিপাকে পড়ছে মানুষ। আবহাওয়াবিদদের সাবধানতা বা ভবিষ্যদ্বাণী সিটি করপোরেশন দুটো সেভাবে মনে রাখেনি। মনে রেখে আগাম ব্যবস্থা নিলে শহরবাসী এরকম বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ত না। এই বিষয়ে দুই মেয়রের তীক্ষ্ণ নজর থাকা জরুরি ছিল। ঢাকার খালগুলো প্রায় সবই বুজে গেছে। দখল হয়ে গেছে। সবই আছে খালগুলোতে, শুধু পানিটাই নেই। পানির প্রবাহ বলতে কিছু নেই। ময়লা আবর্জনার ভাগাড় হয়ে গেছে একেকটা খাল। মেয়র মহোদয়দের দেখি, প্রায়ই খাল উদ্ধারের অভিযান করছেন। দু-একটা খাল দখল মুক্তও করছেন। তারপর আর খবর নেই। আগের মতো দখল হয়ে যাচ্ছে। আরেক মহাশত্রু হয়েছে পলিথিন। এই জিনিসের কোনও বিনাশ নেই। শুধুমাত্র পলিথিনই ডুবিয়ে দিচ্ছে অনেক অর্জন। এই বিষয়টি নিয়ে সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের সচেতন হওয়া জরুরি। পলিথিনের হাত থেকে বাঁচাতে হবে দেশ। পলিথিনের বিকল্প ব্যবস্থা কাজে লাগাতে হবে। এক্ষেত্রে সরকার ও মিডিয়া মিলে জনসচেতনা গড়ে তোলা জরুরি। মানুষ সচেতন হলে সমাজ পরিশিলিত হয়। গত তিরিশ পঁয়ত্রিশ বছর ধরে ধীরে ধীরে গড়ে উঠছিল বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা। এখন বসুন্ধরা ঢাকার সবচাইতে অভিজাত এলাকা। সবচাইতে আকর্ষণীয় এলাকা। বসুন্ধরায় কারও একটি ফ্ল্যাট বা কারও এক টুকরো জমি থাকলে তিনি খুব গৌরববোধ করেন। বসুন্ধরার মতো সুবিন্যস্ত আবাসিক এলাকা ঢাকায় আর নেই। এলাকাটির পরিকল্পনা করা হয়েছে সম্পূর্ণতই ইউরোপ-আমেরিকার ঘনবসতিপূর্ণ শহরগুলোর লাগোয়া অতি আধুনিক আবাসিক শহরগুলোর মতো করে। সুপরিকল্পিত ও সুব্যবস্থাপূর্ণ। বড় বড় রাস্তা। রাস্তার ধার আর আইল্যান্ডগুলো সবুজ গাছপালায় ভর্তি। রাজউকের বিল্ডিংকোড মেনে নির্মিত প্রতিটি বাড়ি। সঙ্গে আছে বসুন্ধরার নিজস্ব কঠোর তদারকি। নিয়মের বাইরে একটি ইটও বসানো যাবে না। একটি গাছের পাতাও ছেঁড়া যাবে না। অন্যদিকে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুরুষমানুষরা তো বটেই, নারী ও শিশুরা চাইলেও রাত দুপুরে বাড়ির বাইরে বেড়াতে বেরোতে পারে। ডিস্টার্ব করা তো দূরের কথা, চোখ তুলেও তাকাবার সাহস পাবে না কেউ। নিরাপত্তায় নিয়োজিত গাড়িভর্তি কর্মী চব্বিশঘণ্টা টহল দিচ্ছে। ঢাকার ভিতরেই বসুন্ধরা সম্পূর্ণ এক আলাদা জগৎ। স্বপ্নের বাসভূমি। এটা সম্ভব হয়েছে সুপরিকল্পনা ও তা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন আর প্রয়োগের ফলে। গত কয়েক বছর আগে বর্ষার বৃষ্টিতে বসুন্ধরার কোথাও কোথাও পানি জমে যেত। এই নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন কর্তৃপক্ষ। সুদূর প্রসারী আধুনিক পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে রাতারাতি সামাল দিলেন সেই সমস্যা। গড়ে তুললেন অত্যাধুনিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা। যত বৃষ্টিই হোক, বসুন্ধরায় এখন আর পানি জমে না। জোরালো ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে বৃষ্টির পানি এক মিনিটও দাঁড়াতে পারে না। সঙ্গে আছে এলাকার ড্রেনগুলোর সঠিক তদারকি। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বহুকর্মী নিয়োজিত এই কাজে। কী নেই বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায়? হাসপাতাল, বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল, খেলার মাঠ, শপিং মল, সুন্দর সুন্দর মসজিদ, গোরস্থান, অতি আধুনিক সব রেস্টুরেন্ট। এক কথায় সব মিলিয়ে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা বর্তমান বিশ্বের অতি আধুনিক এক মনোরম শহর। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা নিয়ে কথাগুলো বলার কারণ, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র মহোদয়দের দৃষ্টি আকর্ষণ করা। বসুন্ধরায় ড্রেনেজ ব্যবস্থার অনুকরণ করে তাঁরা খুব সহজেই হঠাৎ বৃষ্টিতে জলাবদ্ধ হয়ে যাওয়া ঢাকা শহরকে অনেকখানি মুক্তি দিতে পারেন। মানুষকে দুর্ভোগ মুক্ত করতে পারেন, ব্যবসায়ীদের বাঁচাতে পারেন ক্ষতির হাত থেকে। ছাত্র-ছাত্রী আর পথচলা মানুষদের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে পারেন। বৃষ্টির তোড়ে হঠাৎ অসহায় হয়ে পড়া গৃহবাসীদের সুরক্ষা দিতে পারেন। এই শহরের মানুষকে স্বস্তিতে বসবাস করার সুযোগ করে দিতে পারেন। এসব তাঁদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে নিশ্চয় তাঁরা ভাববেন। তাঁদের চোখের সামনেই তো উদাহরণ হিসেবে আছে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা।

পরবর্তী খবর

নওগাঁর ধামইরহাটে পানিতে ডুবে দুই ভাইয়ের মৃত্যু

নওগাঁর ধামইরহাটে পুকুরের পানিতে ডুবে যমজ দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৭ জুলাই) দুপুর ১২টায় উপজেলার খেলনা ইউনিয়নের পশ্চিম চকভবানী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু সালাম।

নিতহ দুই শিশু– লক্ষণ (৩) ও রাম (৩)। তারা উভয়ে একই গ্রামের সুজিত ওরাওঁ-এর যমজ সন্তান।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু সালাম বলেন, সকালের খাবার খেয়ে ওই দুই ভাই বাড়ির পাশে খেলতে থাকে। খেলার একপর্যায়ে সবার অগোচরে দুই ভাই বাড়ির সামনে পুকুরে ডুবে যায়। পরে তাদের খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে দুজনের লাশ পুকুরে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয়রা।

যমজ দুই ভাইয়ের মর্মান্তিক মৃত্যুতে পরিবারের সদস্য এবং প্রতিবেশীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

ধামইরহাট থানায় অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. বাহাউদ্দিন ফারুকী বলেন, দুই শিশু পানিতে ডুবে মারা যাওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, খেলতে গিয়েই তারা পানিতে ডুবে মারা গেছে। এ বিষয়ে থানায় কোন অভিযোগ করা হয়নি।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত