দেশ

দেশ

সপ্তাহব্যাপী র‌্যাবের অভিযানে গ্রেফতার ১৬

দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অপরাধীদের বিরুদ্ধে সপ্তাহব্যাপী র‌্যাবের চলমান ভিন্ন ভিন্ন অভিযানে চাঁদাবাজ, খুনের আসামি ও সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিসহ ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সহকারী পুলিশ সুপার ও র‌্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া), এম.জে সোহেল এসব অভিযান ও অভিযানে গ্রেফতাকৃতদের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন।

অভিযান-১ :
অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

গত ১৭ এপ্রিল ২০২৪ রাত ৮:৩০টায় র‌্যাব-১০ এর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানাধীন কোনাপাড়া এলাকায় একটি অভিযান চালিয়ে আন্তঃজেলা ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, লরী ও সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহন হতে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করাকালীন ৪ জন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের নাম- ১। রিপন (৩৫), পিতা-মৃত সোহরাব, সাং- বালিগাও, থানা-লৌহজং, জেলা-মুন্সীগঞ্জ ২। বাবু (৩৫), পিতা-মৃত আব্দুল সাত্তার, সাং-পুটুলিয়া, থানা-সাভার , জেলা-ঢাকা ও ৩। জনি (৩৭), পিতা-মুসলিম মাতবর, সাং-ধার্র্মিক পাড়া, থানা-ডেমরা, ঢাকা, ৪। মোঃ সোহাগ (৩৫), পিতা-আনসার মিয়া, সাং-ধার্র্মিক পাড়া, থানা-ডেমরা, ঢাকা বলে জানা যায়। এসময় তাদের নিকট থেকে আদায়কৃত চাঁদা নগদ- ৬,০০০/- (ছয় হাজার) টাকা এবং ২টি কাঠের লাঠি উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা বেশ কিছুদিন যাবৎ রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, ডেমরাসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় আন্তঃজেলা ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, লরী ও সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহনের ড্রাইভার ও হেলপারদের সাথে অশোভন আচণের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে অবৈধভাবে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করে আসছিল।

গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

অভিযান-২ :
ফরিদপুর জেলার মধুখালিতে ‘শ্যালিকার সঙ্গে পরকীয়ার জেরে দুলাভাইকে নৃশংসভাবে হত্যা’ শীর্ষক চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার পলাতক প্রধান আসামি আশারুল শেখ এবং তার প্রধান সহযোগী ইলিয়াস শেখ ও খায়রুল শেখকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ফরিদপুর জেলার মধুখালী থানাধীন হাটঘাটা এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা নিজামউদ্দিন একই থানাধীন পার্শ্ববর্তী দিঘলিয়া এলাকায় মৃত জাহিদুল শেখের মেয়ে জামেলা খাতুনকে বিয়ে করেন। বিয়ের কিছুদিন পর নিজাম তার শ্যালিকা জলি খাতুনের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। সম্প্রতি জলি খাতুনের অন্যত্র বিয়ে ঠিক হয়। নিজাম গত ২১/০৩/২০২৪ খ্রি. তারিখ সকালে তার শ্যালিকা জলিকে সঙ্গে নিয়ে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি অসুস্থ এক আত্মীয়কে দেখতে যান। সেখান থেকে জলিকে নিয়ে নিজাম তার বাড়িতে যায়। বিষয়টি জানতে পেরে গত ২১/০৩/২০২৪ খ্রি. তারিখ আনুমানিক রাত ২৩:৩০টায় জলির পরিবারের লোকজনসহ ৯-১০ জন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঘটনাস্থল মধুখালী থানাধীন হাটঘাটা এলাকার নিজামের বসত ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে নিজামের শ্যালক শরিফুলসহ বেশ কয়েকজন মিলে নিজামকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে জলিকে নিয়ে যায়। অতঃপর নিজামের আত্মীয়স্বজন ও আশপাশের লোকজন নিজামকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে নিজামের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক নিজামকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ঐদিন রাতেই ঢাকা মেডিকেলে নেওয়ার পথিমধ্যে রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় পৌঁছালে অ্যাম্বুলেন্সের ভিতর নিজাম মৃত্যুবরণ করেন।

উক্ত ঘটনায় মৃত নিজামের ভাই মোঃ আজিম উদ্দিন শেখ (২৫), পিতা-মৃত মানিক শেখ, সাং-হাটঘাটা, থানা-মধুখালী, জেলা-ফরিদপুর বাদী হয়ে ফরিদপুর জেলার মধুখালী থানায় চাঞ্চল্যকর নিজামউদ্দিন হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত মোঃ শরিফুল শেখ ও মোসাঃ তথি বেগমসহ ৯-১০ জনের বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ১৪৩/৪৪৭/৪৪৮/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩০২/৫০৬/৩৪ ধারায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-২৪, তারিখ-২২/০৩/২০২৪)। মামলা দায়েরের বিষয়টি জানতে পেরে উক্ত হত্যাকাণ্ডে জড়িত সকল আসামি আত্মগোপনে চলে যায়।

নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডটি ইতোমধ্যে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় গুরুত্বসহকারে প্রকাশ পাওয়ায় সারাদেশে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। উক্ত হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি জানতে পেরে র‌্যাব-১০, সিপিসি-৩, ফরিদপুর ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল উক্ত হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামিদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি ও ছায়া তদন্ত শুরু করে।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৬ এপ্রিল ২০২৪, র‌্যাব-১০ এর উক্ত দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফরিদপুর জেলার কোতোয়ালি এলাকায় একটি অভিযান চালিয়ে উক্ত হত্যা মামলার যথাক্রমে ৫ নং ও ৬ নং পলাতক আসামি ১। মোঃ শরিফুল শেখ (২০), পিতা-মোঃ হারুন অর রশিদ ও ২। মোসাঃ তথি বেগম (৬২), স্বামী-মৃত হাশেম শেখ, সর্ব সাং-দীঘলিয়া, থানা-মধুখালী, জেলা-ফরিদপুর-দ্বয়কে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত আসামিদের স্বীকারোক্তি ও তাদের দেয়া তথ্যমতে গত ২০ এপ্রিল ২০২৪ ভোর ৫:০০টায় র‌্যাব-১০ এর একটি দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা এলাকায় অপর একটি অভিযান চালিয়ে মামলার ১, ২ ও ৪ নং আসামি ১। মোঃ আশারুল শেখ (২৮), ২। মোঃ ইলিয়াস শেখ (২৪) উভয় পিতা-মৃত জাহিদুল শেখ ও ৩। মোঃ খায়রুল শেখ (২২), পিতা-মোঃ হারুন অর রশিদ, সর্ব সাং-দীঘলিয়া, থানা-মধুখালী, জেলা-ফরিদপুরদেরকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামিরা উক্ত হত্যাকাণ্ডে তাদের সরাসরি সম্পৃক্তার কথা স্বীকার করেছে।

গ্রেফতারকৃত আসামিদেরকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

অভিযান-৩ :
চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর এলাকায় শালিসকে কেন্দ্র করে সুরুজ হত্যা মামলার পলাতক প্রধান আসামি কবির হোসেন’কে যশোর জেলার অভয়নগর এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়।

গত ২১ এপ্রিল ভোর ৪:১৫ টায় র‌্যাব-১০ এর একটি দল তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তা এবং র‌্যাব-০৬ এর সহযোগিতায় যশোর জেলার অভয়নগর এলাকায় একটি যৌথ অভিযান চালিয়ে চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর থানার মামলা নং-২৭, তারিখ-১৭/০৪/২০২৪ ধারা-৩০২ দণ্ডবিধি; শালিসকে কেন্দ্র করে বিরোধের জের ধরে সুরুজ প্রধান হত্যাকাণ্ডের পলাতক একমাত্র প্রধান আসামি মোঃ কবির হোসেন (৩৩), পিতা-মৃত রহিম উদ্দিন পাটোয়ারী, সাং-উত্তর মাইজকান্দি, থানা-মতলব উত্তর, জেলা-চাঁদপুরকে গ্রেফতার করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, গ্রেফতারকৃত আসামি উক্ত হত্যাকাণ্ডের সাথে তার সরাসরি সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। সে হত্যাকাণ্ডটি সংঘঠনের পর নিজেকে আইনের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য যশোরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে ছিল বলে জানা যায়।

গ্রেফতারকৃত আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

অভিযান-৪ :
‘ফরিদপুরে বাস-পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ; প্রাণ গেলো ১৫ জনের’ শিরোনামে ভয়ংকর সড়ক দুর্ঘটনার ক্লুলেস মামলার অজ্ঞাতনামা ঘাতক বাস চালকের পরিচয় উদঘাটন করতঃ ঘাতক চালককে ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

গত ১৬ এপ্রিল ২০২৪ খ্রিঃ তারিখ সকালে একটি পিকআপযোগে নারী ও শিশুসহ ১৬ জন আলফাডাংগা থেকে ফরিদপুর যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা করে। অতঃপর আনুমানিক সকাল ৭:৪০টায় উক্ত পিকআপটি যাত্রী নিয়ে ফরিদপুর জেলার কোতয়ালী থানাধীন কানাইপুর দিকনগর এলাকায় ফরিদপুর-মাগুড়াসড়কে পৌঁছালে মাগুড়াগামী একটি উত্তরা ইউনিক পরিবহনের বাসের অজ্ঞাতনামা চালক দ্রুত ও বেপরোয়া গতিতে বাসটি চালিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উক্ত যাত্রীবাহী পিকআপটিকে চাপা দেয়। এতে পিকআপে থাকা ১১ জন যাত্রী ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন। অতঃপর আশপাশের লোকজন অন্যান্য যাত্রীদের গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। পরবর্তীতে আরো ৪ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় উক্ত হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। এছাড়া পিকআপে থাকা অপর যাত্রীরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। পরবর্তীতে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে গাড়ি দুটি জব্দ করে তাদের হেফাজতে নেয় এবং মৃত সকল লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে মানবিক কারণে লাশের ময়না তদন্ত ব্যতীত লাশের আত্মীয় স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করেন।এই ঘটনার পর পর অজ্ঞাতনামা বাস চালক আত্মগোপনে চলে যায়।

উক্ত ঘটনায় নিহত ইকবালের বড় ভাই ইমামুল শেখ (২৮) বাদী হয়ে উত্তরা ইউনিক পরিবহনের অজ্ঞাতনামা চালকের বিরুদ্ধে ফরিদপুর জেলার কোতয়ালী থানায় সড়ক পরিবহন আইনে দ্রুত ও বেপরোয়া গতিতে বাস চালিয়ে দূর্ঘটনা ঘটিয়ে প্রাণহানি ঘটানোর অপরাধে একটি মামলা দায়ের করেন।

ইতোমধ্যে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনাটি সারাদেশে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা সংঘটনকারী বাস চালকের পরিচয় সনাক্ত এবং উক্ত চালককে গ্রেফতার করতে র‌্যাব-১০, সিপিসি-৩ ফরিদপুর ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি ও ছায়া তদন্ত শুরু করে।

তদন্তের এক পর্যায়ে র‌্যাব-১০, ফরিদপুর ক্যাম্পের উক্ত দল ঘাতক উত্তরা ইউনিক পরিবহনের চালকের পরিচয় সনাক্ত করতে সক্ষম হয়। উক্ত ড্রাইভারের নাম- মোঃ খোকন মিয়া (৫৪), পিতা-মোঃ দেলোয়ার হোসেন, সাং-বাজে বামনদাহ, থানা-কোটচাঁদপুর, জেলা-ঝিনাইদহ। র‌্যাব-১০ সিপিসি-৩ ফরিদপুরের উক্ত দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় গত ২১ এপ্রিল দুপুর ১২:৩০টায় ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর এলাকায় একটি অভিযান চালিয়ে পলাতক ঘাতক চালককে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামি উক্ত উত্তরা ইউনিক পরিবহনের ঘাতক চালক বলে স্বীকার করেছে।

গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

অভিযান-৫:
গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা এলাকায় স্ত্রী হত্যা মামলার পলাতক প্রধান আসামি, স্বামী শ্রী রুপেন দাশ গ্রেফতার।

গত ২১ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭:৩৫ টায় র‌্যাব-১০ এর একটি দল তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তা এবং র‌্যাব-১৩ এর সহযোগিতায় ঢাকা জেলার কেরাণীগঞ্জ মডেল থানাধীন নতুন সোনাকান্দা এলাকায় একটি যৌথ অভিযান চালিয়ে অভিযানে গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা থানার মামলা নং- ০৭ তারিখ- ১৫/০৪/২০২৪ খ্রি.; ধারা- ৩২৩/৩২৬/৩০৭/৫০৬/ সংযোজন- ৩০২ পেনাল কোড-১৮৬০; পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামী কর্তৃক স্ত্রী হত্যা মামলার এজাহারনামীয় পলাতক একমাত্র প্রধান আসামি শ্রী রুপেন দাশ (৩৪), পিতা-খোঁকা দাশ, সাং-বোনারপাড়া, থানা-সাঘাটা, জেলা-গাইবান্ধাকে গ্রেফতার করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, গ্রেফতারকৃত আসামি উক্ত হত্যাকাণ্ডের সাথে তার সরাসরি সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। সে হত্যাকাণ্ডটি সংঘঠনের পর নিজেকে আইনের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে ছিল বলে জানা যায়।

গ্রেফতারকৃত আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

বিষয়:
পরবর্তী খবর

৫০ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার

সীমান্ত সম্ভারে স্বর্ণের দোকানে চাঞ্চল্যকর চুরির রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার ৩

রাজধানীর ধানমণ্ডির বিজিবি সীমান্ত সম্ভার শপিং কমপ্লেক্সের একটি স্বর্ণের দোকানে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. রুবেল (২৮), সফিক ওরফে সোহেল (৩৫) এবং সাদ্দাম হোসেন (৩১)। এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া ৫০ ভরি আট আনা স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা।

ডিবি সূত্রে জানা যায়, ধানমণ্ডি মডেল থানাধীন ‘ক্রাউন ডায়মন্ড এন্ড জুয়েলার্স’ শোরুমে গত ৩ জানুয়ারি বেলা ১টার দিকে চুরির ঘটনা ঘটে। চোরচক্র অভিনব পদ্ধতিতে শো-রুমের তালা ও সাটার কেটে মাত্র আট মিনিটের মধ্যে ১৫৯ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। দোকানের মালিক কাজী আকাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকারের আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়।

মামলার প্রেক্ষিতে ডিবি পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ৯ জানুয়ারি থেকে ডিবি পুলিশ ধারাবাহিক অভিযান চালায়। কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে প্রথমে মো. রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লার দেবীদ্বার থেকে সফিক ওরফে সোহেল এবং মুরাদনগর থেকে সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ২৮ ভরি ১৪ আনা আসল স্বর্ণ এবং ২১ ভরি ১০ আনা গলিত স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। ডিবি সূত্রে আরও জানা যায়, চুরির ঘটনায় জড়িত চক্রের অন্যান্য সদস্যদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেফতার ও অবশিষ্ট স্বর্ণ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ডিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান পিপিএম জানান, এই চক্র অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পরিকল্পনা করে চুরি সংঘটিত করে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে জনগণের আস্থা অক্ষুণ্ণ রাখতে সক্ষম হয়েছে।

বিষয়:
পরবর্তী খবর

পোরশায় ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস, কেনা যাবে ২৫০ গ্রাম

চড়া দামের কারণে নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত অনেক মানুষ পুরো এক কেজি মাংস কিনতে পারছে না। এমন ক্রেতাদের সুবিধার্থে এবার ২৫০ গ্রাম গরুর মাংসও বিক্রি হবে নওগাঁর পোরশায়। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ন্যায্যমূল্যের দোকানে গরুর মাংস বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৩ই ডিসেম্বর) সকাল আটটার দিকে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফ আদনান।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সহযোগিতায় ও জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আউয়ালের নির্দেশে ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস বিক্রির এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এ সময় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।

এ প্রসঙ্গে ইউ এন ও আরিফ আদনান বলেন, জেলা প্রশাসকের দিকনির্দেশনায় ন্যায্য মূল্যের মাংসের দোকান চালু করা হয়েছে । এই দোকানে প্রতি কেজি ৬০০ টাকা দরে ক্রেতাগণ কিনতে পারবেন এবং গরিব জনগণ ২৫০ গ্রাম থেকে গরুর মাংস কিনতে পারবেন বলে জানান ইউ এন ওআরিফ আদনান।

বিষয়:
সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত