দেশ

দেশ

ঠাকুগাঁওয়ে প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন

ঠাকুরগাঁওয়ে গত কয়েক দিনের তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। প্রচণ্ড গরমে মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। কাঠফাটা রোদে ও তীব্র গরমে নিতান্তই প্রয়োজন ব্যতিরেকে কেউই বাসার বাইরে বের হচ্ছেন না। অফিস-আদালত, বাসাবাড়ি কোথাও একটু খানিও স্বস্তি মিলছে না। আজ (বৃহস্পতিবার ) ঠাকুরগাঁওয়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

গতকালও প্রচণ্ড গরম ও তীব্র রোদের কারণে দুরামারি বাণিজ্যিক ও শিল্প প্রধান এ শহরের রাস্তায় মানুষজনের চলাচল ছিল একেবারের কম। আর দিনমজুর, রিক্সা, রিক্সাভ্যান চালক, ব্যাটারিচালিত অটো রিক্সা চালকদের অবস্থা আরও কাহিল। রিক্সা চালকেরা দুই-একটি ভাড়া ফেলেই ছায়ার খোঁজে গাছতলায় কিংবা হোটেল রেস্তোরাঁয় গিয়ে বসে বিশ্রাম নেন।

কাঠফাটা রোদে ও প্রচনণ্ড গরমে শহরের মানুষের উপস্থিতি কম থাকায় রিক্সা, রিক্সা ভ্যান, ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা কিংবা পাগলুতে যাত্রী সংখ্যা তেমন একটা নেই বললেই চলে।

শহরের প্রবীণ রিক্সাচালক আনোয়ার হোসেন বলেন, গত কয়েক দিন থেকে প্রচণ্ড গরমের কারণে দিনের বেলা রিক্সা চালাতে পারি না। তাছাড়াও তীব্র তাপদাহে ও গরমের কারণে দিনের বেলা শহরে লোকজনের চলাচলও তেমন নেই। তাই গত কয়েক দিনে আয়-রোজগার অনেক কম হচ্ছে। এখন প্রতিদিন যে আয় হচ্ছে, তা দিয়ে সংসারের খরচ বহন করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।

এছাড়া বর্তমানে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামও আকাশচুম্বী। প্রতিদিনের যৎসামান্য উপার্জন দিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তিনি বলেন, এমন তীব্র তাপপ্রবাহ আমার ৬৫ বছরের জীবনে কোনদিনও দেখিনি। সামনে আরও নাকি তাপমাত্রা বাড়বে বলে শুনছি। তখন আমাদের মতো দিনে আনে দিন খাওয়া মানুষদের অবস্থা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে বুঝতে পারছি না। একমাত্র সৃষ্টিকর্তাই পারেন এমন অবস্থা থেকে আমাদের রক্ষা করতে।

এদিকে, তীব্র গরম ও প্রচণ্ড তাপদাহে মানুষজন অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। বিশেষ করে বয়স্ক মানুষ ও শিশুদের অবস্থা সবচেয়ে বেশি কাহিল। এতে করে প্রতিদিন স্থানীয় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের বর্হিবিভাগে ও আন্তঃবিভাগে অসুস্থ মানুষের ভীড় বাড়ছে। অসুস্থ মানুষকে চিকিৎসাসেবা দিতে হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসরা হিমশিম খাচ্ছেন। এছাড়া নানা রোগে আক্রান্ত রোগীরা শহরের বিভিন্ন চিকিৎসকদের চেম্বারে গিয়েও চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করছেন।

আজ ঠাকুরগাঁওয়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত এক সপ্তাহে এটিই এখানকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এর আগে এখানে সর্বোচ্চ ৩৬ ডিগ্রি সেলিসিয়াস থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা উঠানামা করেছে।

বিষয়:
পরবর্তী খবর

৫০ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার

সীমান্ত সম্ভারে স্বর্ণের দোকানে চাঞ্চল্যকর চুরির রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার ৩

রাজধানীর ধানমণ্ডির বিজিবি সীমান্ত সম্ভার শপিং কমপ্লেক্সের একটি স্বর্ণের দোকানে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. রুবেল (২৮), সফিক ওরফে সোহেল (৩৫) এবং সাদ্দাম হোসেন (৩১)। এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া ৫০ ভরি আট আনা স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা।

ডিবি সূত্রে জানা যায়, ধানমণ্ডি মডেল থানাধীন ‘ক্রাউন ডায়মন্ড এন্ড জুয়েলার্স’ শোরুমে গত ৩ জানুয়ারি বেলা ১টার দিকে চুরির ঘটনা ঘটে। চোরচক্র অভিনব পদ্ধতিতে শো-রুমের তালা ও সাটার কেটে মাত্র আট মিনিটের মধ্যে ১৫৯ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। দোকানের মালিক কাজী আকাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকারের আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়।

মামলার প্রেক্ষিতে ডিবি পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ৯ জানুয়ারি থেকে ডিবি পুলিশ ধারাবাহিক অভিযান চালায়। কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে প্রথমে মো. রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লার দেবীদ্বার থেকে সফিক ওরফে সোহেল এবং মুরাদনগর থেকে সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ২৮ ভরি ১৪ আনা আসল স্বর্ণ এবং ২১ ভরি ১০ আনা গলিত স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। ডিবি সূত্রে আরও জানা যায়, চুরির ঘটনায় জড়িত চক্রের অন্যান্য সদস্যদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেফতার ও অবশিষ্ট স্বর্ণ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ডিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান পিপিএম জানান, এই চক্র অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পরিকল্পনা করে চুরি সংঘটিত করে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে জনগণের আস্থা অক্ষুণ্ণ রাখতে সক্ষম হয়েছে।

বিষয়:
পরবর্তী খবর

পোরশায় ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস, কেনা যাবে ২৫০ গ্রাম

চড়া দামের কারণে নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত অনেক মানুষ পুরো এক কেজি মাংস কিনতে পারছে না। এমন ক্রেতাদের সুবিধার্থে এবার ২৫০ গ্রাম গরুর মাংসও বিক্রি হবে নওগাঁর পোরশায়। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ন্যায্যমূল্যের দোকানে গরুর মাংস বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৩ই ডিসেম্বর) সকাল আটটার দিকে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফ আদনান।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সহযোগিতায় ও জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আউয়ালের নির্দেশে ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস বিক্রির এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এ সময় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।

এ প্রসঙ্গে ইউ এন ও আরিফ আদনান বলেন, জেলা প্রশাসকের দিকনির্দেশনায় ন্যায্য মূল্যের মাংসের দোকান চালু করা হয়েছে । এই দোকানে প্রতি কেজি ৬০০ টাকা দরে ক্রেতাগণ কিনতে পারবেন এবং গরিব জনগণ ২৫০ গ্রাম থেকে গরুর মাংস কিনতে পারবেন বলে জানান ইউ এন ওআরিফ আদনান।

বিষয়:
সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত