সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় আন্তর্জাতিক রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই)-এর আয়োজনে ‘তর্কে বিতর্কে উপজেলা নির্বাচন’ নির্বাচনী বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (১৯ মে) সাতক্ষীরা শহরের লেকভিউ রির্সোটে অনুষ্ঠিত ব্যতিক্রমী এই নির্বাচনী বিতর্কে অংশ নেন সাতক্ষীরা উপজেলার ৪ চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এস এম শওকত হোসেন, মশিউর রহমান বাবু, এ্যাড. তামিম হোসেন সোহাগ এবং প্রভাষক সুশান্ত কুমার মন্ডল।
জনপ্রিয় মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ফেরদৌস বাপ্পীর সঞ্চালনায় ‘তর্কে বিতর্কে উপজেলা নির্বাচন’ শিরোনামে এই নির্বাচনী বিতর্কে অংশ নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীগণ তাঁদের নিজ নিজ নির্বাচনী ইশতেহার, জাতীয় ও স্থানীয় অঙ্গীকার, প্রত্যাশা ও অবস্থান তুলে ধরছেন। এসময় তাদের বক্তব্যে উঠে আসে জলাবদ্ধতা নিরসনে নদী ও খাল খনন, সুপেয় পানি সংকট সমাধান, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধসহ নির্বাচনী এলাকার নানা সমস্যা, তা নিয়ে এলাকাবাসীর হতাশা, সংশয়, উৎকণ্ঠা প্রভৃতি বিষয়ে প্রার্থীদের ভাবনা ও অঙ্গীকার প্রভৃতি বিষয়।
অনুষ্ঠানে সাতক্ষীরা সদরে জলাবদ্ধতা, সুপেয় পানি সংকট, যানজট, চাকরি সংকটসহ বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে প্রার্থীদের প্রশ্ন করেন সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ড. দিলারা বেগম, সাপ্তাহিক সূর্যের আলোর সম্পাদক ওয়ারেশ খান চৌধুরী, জেলা নাগরিক কমিটির আলিনুর খান বাবুল, মহিলা পরিষদ সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক জ্যোৎস্না দত্তসহ বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা।
এসময় উত্থাপিত প্রশ্ন, সাম্প্রতিক সমস্যা এবং নির্বাচিত হলে সেই সব সমস্যা সমাধানে প্রার্থীদের ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্নের উত্তর দেন অংশগ্রহণকারী প্রার্থীগণ।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন চ্যানেল আই সাতক্ষীরা প্রতিনিধি আবুল কালাম আজাদ, উদীচী শিল্পগোষ্ঠী সাতক্ষীরা জেলার সভাপতি শেখ সিদ্দকুর রহমান, জাতীয় পার্টির শরিফুল ইসলাম বাপ্পীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও কর্মী-সমর্থক।
চলমান ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই)-এর সহযোগিতায় দেশের অন্যতম শীর্ষ বিজ্ঞাপনী সংস্থা ইনোভেটিভ ক্রিয়েশন লিমিটেড (আই ক্রিয়েশন) এই বিতর্কের আয়োজন করেছে। ব্যতিক্রমী এই নির্বাচনী বিতর্কের প্রতিটি পর্বে অংশ নিচ্ছেন এক একটি নির্দিষ্ট উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থীগণ। সাতক্ষীরা শহরের লেকউভিতে ধারণকৃত অনুষ্ঠানটি আগামী ২৪ মে রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে জনপ্রিয় স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল ‘চ্যানেল আই’তে প্রচারিত হবে।
রাজধানীর ধানমণ্ডির বিজিবি সীমান্ত সম্ভার শপিং কমপ্লেক্সের একটি স্বর্ণের দোকানে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. রুবেল (২৮), সফিক ওরফে সোহেল (৩৫) এবং সাদ্দাম হোসেন (৩১)। এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া ৫০ ভরি আট আনা স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, ধানমণ্ডি মডেল থানাধীন ‘ক্রাউন ডায়মন্ড এন্ড জুয়েলার্স’ শোরুমে গত ৩ জানুয়ারি বেলা ১টার দিকে চুরির ঘটনা ঘটে। চোরচক্র অভিনব পদ্ধতিতে শো-রুমের তালা ও সাটার কেটে মাত্র আট মিনিটের মধ্যে ১৫৯ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। দোকানের মালিক কাজী আকাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকারের আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়।
মামলার প্রেক্ষিতে ডিবি পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ৯ জানুয়ারি থেকে ডিবি পুলিশ ধারাবাহিক অভিযান চালায়। কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে প্রথমে মো. রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লার দেবীদ্বার থেকে সফিক ওরফে সোহেল এবং মুরাদনগর থেকে সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ২৮ ভরি ১৪ আনা আসল স্বর্ণ এবং ২১ ভরি ১০ আনা গলিত স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। ডিবি সূত্রে আরও জানা যায়, চুরির ঘটনায় জড়িত চক্রের অন্যান্য সদস্যদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেফতার ও অবশিষ্ট স্বর্ণ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ডিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান পিপিএম জানান, এই চক্র অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পরিকল্পনা করে চুরি সংঘটিত করে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে জনগণের আস্থা অক্ষুণ্ণ রাখতে সক্ষম হয়েছে।
চড়া দামের কারণে নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত অনেক মানুষ পুরো এক কেজি মাংস কিনতে পারছে না। এমন ক্রেতাদের সুবিধার্থে এবার ২৫০ গ্রাম গরুর মাংসও বিক্রি হবে নওগাঁর পোরশায়। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ন্যায্যমূল্যের দোকানে গরুর মাংস বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ই ডিসেম্বর) সকাল আটটার দিকে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফ আদনান।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সহযোগিতায় ও জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আউয়ালের নির্দেশে ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস বিক্রির এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ সময় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে ইউ এন ও আরিফ আদনান বলেন, জেলা প্রশাসকের দিকনির্দেশনায় ন্যায্য মূল্যের মাংসের দোকান চালু করা হয়েছে । এই দোকানে প্রতি কেজি ৬০০ টাকা দরে ক্রেতাগণ কিনতে পারবেন এবং গরিব জনগণ ২৫০ গ্রাম থেকে গরুর মাংস কিনতে পারবেন বলে জানান ইউ এন ওআরিফ আদনান।