দেশ

দেশ

ঠাকুরগাঁওয়ে ৬ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার, মাদক উদ্ধার

জেলা পুলিশের অভিযান

ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন থানা এলাকায় ৫৮০ গ্রাম শুকনো গাঁজা, ৮০ পিস ট্যাপেন্টাডোল ট্যাবলেট উদ্ধারসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার জেলা পুলিশ উল্লেখিত বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

প্রতিবেদনে পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার বিভিন্ন থানা পুলিশের পৃথক অভিযানে মদকদ্রব্যসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এরমধ্যে ঠাকুরগাঁও সদর থানা পুলিশ সালন্দর ইউনিয়নের গড়েয়া রোডস্থ ঠাকুরগাঁও হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেইন গেটের সামনে অভিযান চালায়। এ সময় ১০৫ গ্রাম শুকনো গাঁজাসহ পৌর শহরের পূর্ব হাজীপাড়া মহল্লার মৃত মকলেছুর রহমান ওরফে মোখলেছুরের ছেলে মোঃ মাসুদ ওরফে মাসুমকে (৩১) গ্রেফতার করে। একই সাথে সদর উপজেলার চিলারং ইউনিয়নের বুড়িরবাঁধ এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালানো হয়। এ সময় সদর উপজেলার রুহিয়া থানার গঞ্জুরবাড়ী গ্রামের সাগর আলীর ছেলে মোঃ সারোয়ার হোসেন ওরফে ঝুলুকে (২৮) ১৫৫ গ্রাম শুকনো গাঁজাসহ গ্রেফতার করা হয়। এছাড়াও জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ পীরগঞ্জ উপজেলার ভোমরাদহ ছিলাছাপা গ্রামস্থ লোহাগাড়া থেকে পীরগঞ্জ গামী রাস্তার উপর থেকে ৪ বোতল ফেনসিডিল ও ২০ পিস ট্যাপেন্টাডোল ট্যাবলেটসহ মোঃ মমতাজ আলীকে (৪০) গ্রেফতার করে। সে ওই উপজেলার ঘোড়াধাপ (গুচ্ছগ্রাম) গ্রামের মৃত এরশাদ আলীর ছেলে।

একই দিনে রানীশংকৈল থানা পুলিশ নেকমরদ ভবানন্দপুর (টাওয়ার পাড়া) এলাকা থেকে ২শ গ্রাম শুকনো গাঁজাসহ মোঃ হুমায়ুন কবিরকে (৪২) গ্রেফতার করে। সে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার গোয়াকারী গ্রামের মৃত আনিসুর রহমানের ছেলে। একই সাথে পীরগঞ্জ থানা পুলিশ পীরগঞ্জ হতে ঠাকুরগাঁওগামী পীরগঞ্জ সরকারি কলেজ সংলগ্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় পিস ট্যাপেন্টাডোল ট্যাবলেটসহ উপজেলার ভেলাতৈড় গ্রামের মোঃ হাফিজ উদ্দীনের ছেলে মোঃ দুলাল হোসেনকে (২৫) ৬০ গ্রেফতার করা হয়।

অপরদিকে রুহিয়া থানা পুলিশ রুহিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের রামনাথ বাজারে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় ১২০ গ্রাম শুকনো গাঁজাসহ রিপন বর্মনকে (২২) গ্রেফতার করা হয়। সে পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী উপজেলার মোলানী (ধামাপাড়া গ্রামের বাগ্যনাথের ছেলে।

পৃথক ৬টি ঘটনায় গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়। অপরাধ দমন ও শান্তি শৃংখলা রক্ষা এবং মাদক নির্মুলে ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশ সদা তৎপর রয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার।

পরবর্তী খবর

৫০ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার

সীমান্ত সম্ভারে স্বর্ণের দোকানে চাঞ্চল্যকর চুরির রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার ৩

রাজধানীর ধানমণ্ডির বিজিবি সীমান্ত সম্ভার শপিং কমপ্লেক্সের একটি স্বর্ণের দোকানে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. রুবেল (২৮), সফিক ওরফে সোহেল (৩৫) এবং সাদ্দাম হোসেন (৩১)। এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া ৫০ ভরি আট আনা স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা।

ডিবি সূত্রে জানা যায়, ধানমণ্ডি মডেল থানাধীন ‘ক্রাউন ডায়মন্ড এন্ড জুয়েলার্স’ শোরুমে গত ৩ জানুয়ারি বেলা ১টার দিকে চুরির ঘটনা ঘটে। চোরচক্র অভিনব পদ্ধতিতে শো-রুমের তালা ও সাটার কেটে মাত্র আট মিনিটের মধ্যে ১৫৯ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। দোকানের মালিক কাজী আকাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকারের আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়।

মামলার প্রেক্ষিতে ডিবি পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ৯ জানুয়ারি থেকে ডিবি পুলিশ ধারাবাহিক অভিযান চালায়। কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে প্রথমে মো. রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লার দেবীদ্বার থেকে সফিক ওরফে সোহেল এবং মুরাদনগর থেকে সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ২৮ ভরি ১৪ আনা আসল স্বর্ণ এবং ২১ ভরি ১০ আনা গলিত স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। ডিবি সূত্রে আরও জানা যায়, চুরির ঘটনায় জড়িত চক্রের অন্যান্য সদস্যদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেফতার ও অবশিষ্ট স্বর্ণ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ডিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান পিপিএম জানান, এই চক্র অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পরিকল্পনা করে চুরি সংঘটিত করে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে জনগণের আস্থা অক্ষুণ্ণ রাখতে সক্ষম হয়েছে।

বিষয়:
পরবর্তী খবর

পোরশায় ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস, কেনা যাবে ২৫০ গ্রাম

চড়া দামের কারণে নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত অনেক মানুষ পুরো এক কেজি মাংস কিনতে পারছে না। এমন ক্রেতাদের সুবিধার্থে এবার ২৫০ গ্রাম গরুর মাংসও বিক্রি হবে নওগাঁর পোরশায়। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ন্যায্যমূল্যের দোকানে গরুর মাংস বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৩ই ডিসেম্বর) সকাল আটটার দিকে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফ আদনান।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সহযোগিতায় ও জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আউয়ালের নির্দেশে ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস বিক্রির এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এ সময় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।

এ প্রসঙ্গে ইউ এন ও আরিফ আদনান বলেন, জেলা প্রশাসকের দিকনির্দেশনায় ন্যায্য মূল্যের মাংসের দোকান চালু করা হয়েছে । এই দোকানে প্রতি কেজি ৬০০ টাকা দরে ক্রেতাগণ কিনতে পারবেন এবং গরিব জনগণ ২৫০ গ্রাম থেকে গরুর মাংস কিনতে পারবেন বলে জানান ইউ এন ওআরিফ আদনান।

বিষয়:
সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত