দেশ

দেশ

দূর্গাপুরে শত বিঘা আবাদি জমিতে পুকুর খনন, প্রশাসন নীবর 

রাজশাহী জেলার দূর্গাপুর উপজেলায় শত শত বিঘা আবাদি জমিতে গভীর রাতে চলছে পুকুর খনন। ২০ হাজার টাকা বিঘা প্রতি নিয়ে অলিখিত অনুমোদন দেয় উপজেলা প্রশাসন।

৩০ মে ও ৩১ মে (শুক্রবার ও শনিবার) সারাদিন দুর্গাপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ১৫-২০টি পুকুর খনন ও সংস্কারের নামে চলছে মাটি বিক্রি ও রাস্তা নষ্টের মহাউৎসব।

উপজেলার সাধারণ মানুষের অভিযোগ, পুকুর খননকারীদের মাটি উৎসবে চরমভাবে বিপাকে সাধারণ মানুষ। সাধারণ কৃষক নানাভাবে হয়রানিসহ প্রভাবশালীদের হুমকি ধামকিতে জমি দিতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। রাস্তাগুলো সাধারণ জনগণের চলাচলের অযোগ্য করে তোলা হয়েছে। কৃষকদের আবাদি জমি এখন হুমকির মুখে। পুকুর খননকারীদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোনো সমাধান পাচ্ছেন না প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

জানা গেছে, উপজেলার ঝিনার মোড়, জয়নগর, নামদারখালি আঙরবিল, শ্যামপুর বউবাজার, নিগার হিমাগারের পিছন, কানপাড়া পাইকরতলা, কিসমত তেকাটিয়া তেবিলা, গোপালপাড়া বিল, রাতুগ্রাম বিল, উজান খোলসি, আনুলিয়া, বহরমপুরসহ আরো কয়েক জায়গায় চলছে পুকুর খননের মহাউৎসব। রাস্তার বারোটা বাজিয়ে দেদারসে শত শত বিঘা আবাদি জমিতে পুকুর খনন চলছে। উপজেলা প্রশাসনের নাকের ডগায় পুকুর খনন চললেও কোনো প্রকার তৎপরতা চালাতে দেখা যায়নি প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

পুকুর খননকারীদের বক্তব্য, প্রশাসনের অলিখিত অনুমোদন নিয়েই চলছে এসব পুকুর খননের কাজ। কেউ এই পুকুর খনন বন্ধ করতে পারবে না বলেও দাম্ভিকতা দেখিয়ে কুরবান আলী নামে একজন সাংবাদিক পরিচয়দানকারী বলেন, সংবাদ প্রকাশ করলেই করবো মামলা, চালাবো মিথ্যা প্রোপাগাণ্ডা। ইতোমধ্যে সংবাদ প্রকাশের পর উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় অনুমোদনহীন কিছু অনলাইনে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। ছড়িয়েছে মিথ্যা প্রোপাগাণ্ডা। কোনো প্রকার প্রমাণ ছাড়াই ভুইফোর অনলাইনে এসব লিখে ছড়ানোই তাঁর কাজ। এর বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া দাবিও জানান এলাকাবাসী।

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দূর্গাপুর উপজেলার কয়েকজন জনপ্রতিনিধি বলেন, প্রশাসন ও স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী মিলে এসব পুকুর খননের মহাউৎসব চালাচ্ছেন। পুকুরের মাটি যাচ্ছে ইট ভাটায়। এতে রাস্তাগুলো চলাচলে অনুপযোগী হয়ে উঠেছে। চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। এসব বিষয়ে ভয়ে কেউ মুখ খুলছে না। মুখ খুললেই নেমে আসে মিথ্যা মামলা হামলাসহ নির্যাতন।

জানতে চাইলে দূর্গাপুর উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান শরিফুজ্জামান শরিফ বলেন, আমি সবেমাত্র নির্বাচিত হয়েছি। এখনও দ্বায়িত্ব নেওয়া হয়নি। আমি এসব বিষয়ে প্রশাসনের মাধ্যমে যর্থাযথ ব্যবস্থা নিবো।

জানতে চাইলে দূর্গাপুর থানার ওসি খায়রুল ইসলাম বলেন, আমার অভিযান করার এখতিয়ার নাই। এটা ইউএনও ও এসি ল্যান্ড দেখবে।

কথা বললে দূর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) স্বীকৃতি প্রামাণিক বলেন, আমি এই মূহুর্তে মোবাইল কোর্টে আছি। পরে ফোন দেন। এ কারণে তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

রাজশাহী জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদকে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

পুঠিয়া ও দুর্গাপুর আসনের সংসদ সদস্য, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী আব্দুল ওয়াদুদ দারা বলেন, পুকুর খননের বিষয়গুলো আমি জেনেছি। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়া জন্য কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

পরবর্তী খবর

৫০ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার

সীমান্ত সম্ভারে স্বর্ণের দোকানে চাঞ্চল্যকর চুরির রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার ৩

রাজধানীর ধানমণ্ডির বিজিবি সীমান্ত সম্ভার শপিং কমপ্লেক্সের একটি স্বর্ণের দোকানে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. রুবেল (২৮), সফিক ওরফে সোহেল (৩৫) এবং সাদ্দাম হোসেন (৩১)। এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া ৫০ ভরি আট আনা স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা।

ডিবি সূত্রে জানা যায়, ধানমণ্ডি মডেল থানাধীন ‘ক্রাউন ডায়মন্ড এন্ড জুয়েলার্স’ শোরুমে গত ৩ জানুয়ারি বেলা ১টার দিকে চুরির ঘটনা ঘটে। চোরচক্র অভিনব পদ্ধতিতে শো-রুমের তালা ও সাটার কেটে মাত্র আট মিনিটের মধ্যে ১৫৯ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। দোকানের মালিক কাজী আকাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকারের আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়।

মামলার প্রেক্ষিতে ডিবি পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ৯ জানুয়ারি থেকে ডিবি পুলিশ ধারাবাহিক অভিযান চালায়। কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে প্রথমে মো. রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লার দেবীদ্বার থেকে সফিক ওরফে সোহেল এবং মুরাদনগর থেকে সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ২৮ ভরি ১৪ আনা আসল স্বর্ণ এবং ২১ ভরি ১০ আনা গলিত স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। ডিবি সূত্রে আরও জানা যায়, চুরির ঘটনায় জড়িত চক্রের অন্যান্য সদস্যদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেফতার ও অবশিষ্ট স্বর্ণ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ডিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান পিপিএম জানান, এই চক্র অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পরিকল্পনা করে চুরি সংঘটিত করে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে জনগণের আস্থা অক্ষুণ্ণ রাখতে সক্ষম হয়েছে।

বিষয়:
পরবর্তী খবর

পোরশায় ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস, কেনা যাবে ২৫০ গ্রাম

চড়া দামের কারণে নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত অনেক মানুষ পুরো এক কেজি মাংস কিনতে পারছে না। এমন ক্রেতাদের সুবিধার্থে এবার ২৫০ গ্রাম গরুর মাংসও বিক্রি হবে নওগাঁর পোরশায়। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ন্যায্যমূল্যের দোকানে গরুর মাংস বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৩ই ডিসেম্বর) সকাল আটটার দিকে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফ আদনান।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সহযোগিতায় ও জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আউয়ালের নির্দেশে ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস বিক্রির এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এ সময় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।

এ প্রসঙ্গে ইউ এন ও আরিফ আদনান বলেন, জেলা প্রশাসকের দিকনির্দেশনায় ন্যায্য মূল্যের মাংসের দোকান চালু করা হয়েছে । এই দোকানে প্রতি কেজি ৬০০ টাকা দরে ক্রেতাগণ কিনতে পারবেন এবং গরিব জনগণ ২৫০ গ্রাম থেকে গরুর মাংস কিনতে পারবেন বলে জানান ইউ এন ওআরিফ আদনান।

বিষয়:
সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত