দেশ, নির্বাচন, সর্বশেষ

দেশ, নির্বাচন, সর্বশেষ

সাতক্ষীরায় ৪টির মধ্যে ৩ টিতে নৌকা ও ১টিতে লাঙ্গলের জয়

এস এম হাবিবুল হাসান, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় ৪টি আসনের মধ্যে ৩ টিতে নৌকা ও একটিতে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তারা হলেন সাতক্ষীরা-১ ফিরোজ আহমেদ স্বপন (নৌকা), সাতক্ষীরা-৩ ডা.আ ফ ম রুহুল হক (নৌকা), সাতক্ষীরা-৪ এস এম আতাউল হক দোলন (নৌকা) এবং সাতক্ষীরা সদর-২ মো. আশরাফুজ্জামান আশু (লাঙ্গল)।

রবিবার (৭ জানুয়ারি)রাতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির ঘোষিত ফলাফলে জানান, সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফিরোজ আহমেদ স্বপন। তার প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ১ লক্ষ ৪৪ হাজার ৯৯। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ দিদার বখ্ত পেয়েছেন ২৬ হাজার ৮২১ ভোট। এই আসনে ২ লক্ষ ২ হাজার ১২৫ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন, যা শতকরা ৪২.৮%। ৩টি থানার ২৪টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভার নিয়ে গঠিত এই আসনে এবার মোট ভোটার ৪ লাখ ৭২ হাজার ৪৩জন। এই নির্বাচনী এলাকায় মোট ভোটকেন্দ্র ১৬৮টি। ৫০টি অস্থায়ী ভোট কক্ষসহ মোট ভোট কক্ষ ৯৮৯টি। সাতক্ষীরা-১ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ১০ জন প্রার্থী।

সাতক্ষীরা সদর-২ আসনে মহাজোট মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মো. আশরাফুজ্জামান আশু ৮৮ হাজার ৩৫৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান এমপি মীর মোস্তাক আহমেদ রবি পেয়েছেন ২৭ হাজার ৪৪৭ ভোট। এই আসনে ১ লক্ষ ৩০ হাজার ৬৪৬ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন, যা শতকরা ৩২%। সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত এই আসনে এবার মোট ভোটার ছিল ৪ লাখ ৬০৮ জন। ভোটকেন্দ্র ছিল ১৩৮টি। সাতক্ষীরা-২ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ৭ জন প্রার্থী।

সাতক্ষীরা-৩ আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা.আ ফ ম রুহুল হক। তার প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ১ লাখ ৭৩ হাজার ৮৭৩। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মো. আলিফ হোসেন পেয়েছে ১২ হাজার ৪৭৩ ভোট। এই আসনে ২ লক্ষ ৩ হাজার ৪৫৮ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন, যা শতকরা ৪৩.২২%। সাতক্ষীরা-৩ আসনে এবার মোট ভোটার ছিল ৪ লাখ ৩১ হাজার ৩৮০ জন এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৬ জন প্রার্থী।

সাতক্ষীরা-৪ আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আতাউল হক দোলন। প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ১ লাখ ৪০ হাজার ৪৬। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম)-এর নোঙ্গর প্রতীকের প্রার্থী সাবেক সাংসদ ও হুইপ এইচ এম গোলাম রেজা পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৯৪৬ ভোট। এই আসনে ২ লক্ষ ১৯ হাজার ৯৭২ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন, যা শতকরা হিসাবে ৪৯.৭%। এই আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৪২ হাজার ১৯৩ জন এবং এখানে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন ৭ জন।

সাতক্ষীরার ৪টি আসনে শতকরা হিসাবে ৪৩.২২% ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চারটি নির্বাচনী এলাকায় ৬০২টি ভোটকেন্দ্রে প্রায় সাড়ে ১৭ লাখ ভোটার ছিল। নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতসহ সমমনা জোটের বর্জনের মুখেও ১০টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের ২২জন এবং ৮জন স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ ৩০জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।

ফলাফল ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মু. মতিউর রহমান সিদ্দিকী,স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক মাসরুবা ফেরদৌস, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আতিকুল ইসলাম।

বিষয়:
পরবর্তী খবর

৫০ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার

সীমান্ত সম্ভারে স্বর্ণের দোকানে চাঞ্চল্যকর চুরির রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার ৩

রাজধানীর ধানমণ্ডির বিজিবি সীমান্ত সম্ভার শপিং কমপ্লেক্সের একটি স্বর্ণের দোকানে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. রুবেল (২৮), সফিক ওরফে সোহেল (৩৫) এবং সাদ্দাম হোসেন (৩১)। এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া ৫০ ভরি আট আনা স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা।

ডিবি সূত্রে জানা যায়, ধানমণ্ডি মডেল থানাধীন ‘ক্রাউন ডায়মন্ড এন্ড জুয়েলার্স’ শোরুমে গত ৩ জানুয়ারি বেলা ১টার দিকে চুরির ঘটনা ঘটে। চোরচক্র অভিনব পদ্ধতিতে শো-রুমের তালা ও সাটার কেটে মাত্র আট মিনিটের মধ্যে ১৫৯ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। দোকানের মালিক কাজী আকাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকারের আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়।

মামলার প্রেক্ষিতে ডিবি পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ৯ জানুয়ারি থেকে ডিবি পুলিশ ধারাবাহিক অভিযান চালায়। কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে প্রথমে মো. রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লার দেবীদ্বার থেকে সফিক ওরফে সোহেল এবং মুরাদনগর থেকে সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ২৮ ভরি ১৪ আনা আসল স্বর্ণ এবং ২১ ভরি ১০ আনা গলিত স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। ডিবি সূত্রে আরও জানা যায়, চুরির ঘটনায় জড়িত চক্রের অন্যান্য সদস্যদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেফতার ও অবশিষ্ট স্বর্ণ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ডিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান পিপিএম জানান, এই চক্র অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পরিকল্পনা করে চুরি সংঘটিত করে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে জনগণের আস্থা অক্ষুণ্ণ রাখতে সক্ষম হয়েছে।

বিষয়:
পরবর্তী খবর

পোরশায় ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস, কেনা যাবে ২৫০ গ্রাম

চড়া দামের কারণে নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত অনেক মানুষ পুরো এক কেজি মাংস কিনতে পারছে না। এমন ক্রেতাদের সুবিধার্থে এবার ২৫০ গ্রাম গরুর মাংসও বিক্রি হবে নওগাঁর পোরশায়। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ন্যায্যমূল্যের দোকানে গরুর মাংস বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৩ই ডিসেম্বর) সকাল আটটার দিকে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফ আদনান।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সহযোগিতায় ও জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আউয়ালের নির্দেশে ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস বিক্রির এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এ সময় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।

এ প্রসঙ্গে ইউ এন ও আরিফ আদনান বলেন, জেলা প্রশাসকের দিকনির্দেশনায় ন্যায্য মূল্যের মাংসের দোকান চালু করা হয়েছে । এই দোকানে প্রতি কেজি ৬০০ টাকা দরে ক্রেতাগণ কিনতে পারবেন এবং গরিব জনগণ ২৫০ গ্রাম থেকে গরুর মাংস কিনতে পারবেন বলে জানান ইউ এন ওআরিফ আদনান।

বিষয়:
সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত