দেশ

দেশ

ঠাকুরগাঁওয়ে ৮ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার, মাদক উদ্ধার

ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন থানা এলাকায় বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশ উল্লেখিত বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক জানান, জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে গত ২৪ ঘন্টায় ১১০ বোতল ফেনসিডিল, ৭২পিস ট্যাপেন্টাডোল ট্যাবলেট ও ১১০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধারসহ ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়াও ৭টি ওয়ারেন্ট নিষ্পত্তি করা হয়।

পুলিশ জানায়, সদর থানা পুলিশের অভিযানে সদর উপজেলার নারগুন ইউনিয়নের গোবিন্দনগর গ্রামে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় পার্শ্ববর্তী এলাকার মোঃ দবিরুল ইসলামের ছেলে মোঃ জীবন ইসলাম (২৪)-কে ২৪ পিস ট্যাপেন্টাডোল ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার করা হয়। একই সাথে সদর থানা পুলিশ সদর উপজেলার জগন্নাথপুর গৌরিপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় ওই গামের মোঃ সাইদুল ইসলামের ছেলে মোঃ রাকিব ইসলাম (২৪)-কে ৩৫ পিস ট্যাপেন্টাডোল ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার করে।

অপরদিকে বালিয়াডাঙ্গী থানা পুলিশ উপজেলার ধনতলা ইউনিয়নের চানপাড়া গ্রামে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় ওই গ্রামের মোঃ ফজির উদ্দিনের ছেলে মোঃ আবু জাফর ওরফে সাদ্দাম (৩২)-কে ১শ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার করা হয়। একই সাথে একই ইউনিয়নের কাচনাপাড়া গ্রামে অভিযান পরিচালনাকালে ২০ বোতল ফেনসিডিলসহ ধনতলা গ্রামের সমির উদ্দিনের ছেলে মোঃ মসিরুল ইসলাম (৩৫)-কে গ্রেফতার করা হয়। পীরগঞ্জ থানা পুলিশ উপজেলার রঘুনাথপুর কলেজ বাজার এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় উপজেলার জগথা গ্রামের মোঃ আনোয়ার হোসেনের ছেলে মোঃ আরিফুল ইসলাম বুলেট (৩৫)-কে ১৩ পিস ট্যাপেন্টাডোল ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার করে। রুহিয়া থানা পুলিশ ঢোলারহাট ইউনয়নের মাধবপুর এলাকায় অভিযানে রুহিয়া থানার হাচিপ আলীর ছেলে মোঃ বিপ্লব আলী (২৩) ও অত্র থানার মধুপুর গ্রামের মোঃ শহিদুল ইসলামের ছেলে মোঃ শাহিন (২০)-কে ১১০ গ্রাম গাঁজাসহ গ্রেফতার করা হয়।

এছাড়াও গত ২৪ ঘন্টায় সদর থানায় ৩টি, পীরগঞ্জ থানায় ১টি, রানীশংকৈল থানায়-১টি, হরিপুর থানায় ১টি ও রুহিয়া থানায় ১টিসহ মোট ৭টি ওয়ারেন্ট নিষ্পত্তি করা হয়।

বিভিন্ন থানায় মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতারকৃত ৮ জনের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করা হয়। অপরাধ দমন ও শান্তি শৃংখলা রক্ষা এবং মাদক নির্মুলে ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশ সদা তৎপর রয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার।

পরবর্তী খবর

৫০ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার

সীমান্ত সম্ভারে স্বর্ণের দোকানে চাঞ্চল্যকর চুরির রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার ৩

রাজধানীর ধানমণ্ডির বিজিবি সীমান্ত সম্ভার শপিং কমপ্লেক্সের একটি স্বর্ণের দোকানে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. রুবেল (২৮), সফিক ওরফে সোহেল (৩৫) এবং সাদ্দাম হোসেন (৩১)। এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া ৫০ ভরি আট আনা স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা।

ডিবি সূত্রে জানা যায়, ধানমণ্ডি মডেল থানাধীন ‘ক্রাউন ডায়মন্ড এন্ড জুয়েলার্স’ শোরুমে গত ৩ জানুয়ারি বেলা ১টার দিকে চুরির ঘটনা ঘটে। চোরচক্র অভিনব পদ্ধতিতে শো-রুমের তালা ও সাটার কেটে মাত্র আট মিনিটের মধ্যে ১৫৯ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। দোকানের মালিক কাজী আকাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকারের আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়।

মামলার প্রেক্ষিতে ডিবি পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ৯ জানুয়ারি থেকে ডিবি পুলিশ ধারাবাহিক অভিযান চালায়। কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে প্রথমে মো. রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লার দেবীদ্বার থেকে সফিক ওরফে সোহেল এবং মুরাদনগর থেকে সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ২৮ ভরি ১৪ আনা আসল স্বর্ণ এবং ২১ ভরি ১০ আনা গলিত স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। ডিবি সূত্রে আরও জানা যায়, চুরির ঘটনায় জড়িত চক্রের অন্যান্য সদস্যদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেফতার ও অবশিষ্ট স্বর্ণ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ডিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান পিপিএম জানান, এই চক্র অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পরিকল্পনা করে চুরি সংঘটিত করে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে জনগণের আস্থা অক্ষুণ্ণ রাখতে সক্ষম হয়েছে।

বিষয়:
পরবর্তী খবর

পোরশায় ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস, কেনা যাবে ২৫০ গ্রাম

চড়া দামের কারণে নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত অনেক মানুষ পুরো এক কেজি মাংস কিনতে পারছে না। এমন ক্রেতাদের সুবিধার্থে এবার ২৫০ গ্রাম গরুর মাংসও বিক্রি হবে নওগাঁর পোরশায়। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ন্যায্যমূল্যের দোকানে গরুর মাংস বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৩ই ডিসেম্বর) সকাল আটটার দিকে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফ আদনান।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সহযোগিতায় ও জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আউয়ালের নির্দেশে ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস বিক্রির এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এ সময় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।

এ প্রসঙ্গে ইউ এন ও আরিফ আদনান বলেন, জেলা প্রশাসকের দিকনির্দেশনায় ন্যায্য মূল্যের মাংসের দোকান চালু করা হয়েছে । এই দোকানে প্রতি কেজি ৬০০ টাকা দরে ক্রেতাগণ কিনতে পারবেন এবং গরিব জনগণ ২৫০ গ্রাম থেকে গরুর মাংস কিনতে পারবেন বলে জানান ইউ এন ওআরিফ আদনান।

বিষয়:
সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত