দেশ

দেশ

অবশেষে পাটকেলঘাটা থানাকে উপজেলা ঘোষণার প্রক্রিয়া শুরু

দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর অবশেষে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানাকে ‘পাটকেলঘাটা উপজেলা’ ঘোষণার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ‘বি’ ক্যাটাগরির জেলা সাতক্ষীরা ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হবে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার শাখা ‘পাটকেলঘাটা উপজেলা’ গঠনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম-সচিব মো. সাইফুল ইসলাম মজুমদার স্বাক্ষরিত সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসককে পাঠানো চিঠিতে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গত ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসককে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ২২ আগস্ট ২০২১ তারিখের ১১৬ নং স্মারকের পত্র এবং ২৪ অক্টোবর ২০০৪ তারিখের ১৮৫ নং স্মারকের নীতিমালার আলোকে সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলাকে বিভক্ত করে ‘পাটকেলঘাটা’ উপজেলা গঠনের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। এর আগে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির গত ২৩ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে স্মারক নং ৭৫২ একটি পত্র পাঠিয়ে তালা উপজেলাকে বিভক্ত করে পাটকেলঘাটা উপজেলায় উন্নীতকরণের প্রস্তাব পাঠান।

আয়তনের দিক থেকে বাংলাদেশের অষ্টম বৃহত্তম জেলা হওয়া সত্ত্বেও সাতক্ষীরা ‘বি’ ক্যাটাগরির জেলা হওয়ায় উন্নয়ন বরাদ্দ পায় দেশের অন্যান্য জেলার চেয়ে তুলনামূলকভাবে অনেক কম। পাটকেলঘাটা উপজেলায় উন্নীত হলে জেলার উপজেলার সংখ্যা হবে ৮টি এবং সাতক্ষীরা ‘বি’ ক্যাটাগরি থেকে ‘এ’ ক্যাটাগরির জেলায় উন্নীত হবে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, ২০২০ সালের ৬ আগস্ট মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পরিপত্র অনুযায়ী দেশের জেলাগুলিকে চার ক্যাটাগরিতে বিভক্ত করা হয়। এই চার ক্যাটাগরির মধ্যে রয়েছে বিশেষ ক্যাটাগরি, এ, বি এবং সি ক্যাটাগরি। বেশি গুরুত্ববহ ৬টি জেলাগুলোকে ‘বিশেষ ক্যাটাগরি’, আট বা তার অধিক উপজেলা নিয়ে গঠিত ২৬টি জেলাকে ‘এ’ ক্যাটাগরির জেলা, পাঁচ থেকে সাতটি উপজেলা নিয়ে গঠিত ২৭টি জেলাকে ‘বি’ ক্যাটাগরির জেলা এবং পাঁচটির কম উপজেলা নিয়ে গঠিত ৫টি জেলাকে ‘সি’ ক্যাটাগরি জেলার মর্যাদা দেয়া হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ঐ পরিপত্র অনুযায়ী ঢাকা, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিশেষ ক্যাটাগরির জেলা।কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, কুমিল্লা, রাঙ্গামাটি,  ব্রাহ্মণবাড়িয়া, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, চাঁদপুর, কক্সবাজার, বগুড়া, নওগাঁ, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, রংপুর, বাগেরহাট, যশোর, বরিশাল, পটুয়াখালী, সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ,  মৌলভীবাজার ও নেত্রকোনা ‘এ’ ক্যাটাগরির জেলা।

অপরদিকে সাতক্ষীরা, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, নরসিংদী, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ,  রাজবাড়ী, বান্দরবান, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, জয়পুরহাট, গাইবান্ধা,  নীলফামারী, লালমনিরহাট, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ভোলা, পিরোজপুর, বরগুনা, জামালপুর ও শেরপুর ‘বি’ ক্যাটাগরির জেলা। এছাড়া মাদারীপুর, মাগুরা, মেহেরপুর, নড়াইল ও ঝালকাঠি ‘সি’ ক্যাটাগরির জেলা।

সূত্র জানায়, সাতটি উপজেলা নিয়ে গঠিত হওয়ার কারণে সাতক্ষীরা ‘বি’ ক্যাটাগরির জেলা। ফলে জনসংখ্যা এবং আয়তনের দিক থেকে বৃহৎ জেলা হয়েও সাতক্ষীরায় সরকারের উন্নয়ন বরাদ্দ পেতে হয় ‘বি’ ক্যাটাগরির জেলা হিসেবে। আয়তনের দিক থেকে সাতক্ষীরা দেশের অষ্টম বৃহত্তম জেলা। ২০২২ সালে প্রকাশিত জনশুমারীর রিপোর্ট অনুযায়ী আয়তনের দিক থেকে দেশের সর্ববৃহৎ জেলা রাঙামাটির উপজেলা ১০টি এবং জনসংখ্যা ৬ লাখ ৪১ হাজার ৯৪১ জন। আয়তনে দ্বিতীয় বৃহত্তম জেলা চট্টগ্রামের ১৪টি উপজেলার জনসংখ্যা ৮৮ লাখ ৬৫ হাজার ৩২৮ জন। তৃতীয় বৃহত্তম জেলা বান্দরবনের ৭টি উপজেলার জনসংখ্যা ৪ লাখ ৮১ হাজার ১৬ জন। চতুর্থ বৃহত্তম জেলা খুলনার ৯টি উপজেলার জনসংখ্যা ২৫ লাখ ৪৬ হাজার ৬৭০ জন। পঞ্চম বৃহত্তম জেলা ময়মনসিংহের ১২টি উপজেলার জনসংখ্যা ৫৮ লাখ ৭২ হাজার ৬৩৮ জন। ষষ্ঠ বৃহত্তম জেলা নোয়াখালীর ৯টি উপজেলার জনসংখ্যা ৩৬ লাখ ০৫ হাজার ১২৪ জন। সপ্তম বৃহত্তম জেলা বাগেরহাটের ৯টি উপজেলার জনসংখ্যা ১৬ লাখ ৩ হাজার ১২৬ জন। অপরদিকে অষ্টম বৃহত্তম জেলা সাতক্ষীরার ৭টি উপজলার জনসংখ্যা ২১ লাখ ৯০ হাজার ৪৫০ জন। অর্থাৎ বৃহৎ জেলাগুলোর মধ্যে একমাত্র পার্বত্য জেলা বান্দরবনে উপজেলা সংখ্যা ৭টি এবং সেখানকার জনসংখ্যাও মাত্র ৪ লাখ ৮১ হাজার ১৬ জন। সেই হিসেবে জেলার আয়তন এবং জনসংখ্যার দিক থেকে সাতক্ষীরা একটি বৃহৎ জেলা হওয়া সত্বেও উপজেলার সংখ্যা তুলনামূলক কম।

এসব দিক বিবেচনায় সাতক্ষীরার উপজেলা সংখ্যা বৃদ্ধি করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছে জেলার নাগরিক সমাজ। ২০১৬ সালে পাটকেলঘাটার সরুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমানকে আহ্বায়ক করে পাটকেলঘাটা উপজেলা বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করা হয়। ঐ কমিটি সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে পাটকেলঘাটা উপজেলা বাস্তবায়নের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে স্মারকলিপি দেয়। তবে, নতুন উপজেলার এলাকা নির্ধারণ নিয়ে অঞ্চলভিত্তিক জনগণের মধ্যে পক্ষে-বিপক্ষে নানা মত থাকায় এ নিয়ে জোরালো কোন আন্দোলন গড়ে ওঠেনি।

সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটি দীর্ঘদিন ধরে সাতক্ষীরায় উপজেলার সংখ্যা বৃদ্ধি করার দাবি জানিয়ে আসছে। সর্বশেষ গত ২০২৩ সালের ২৯ এপ্রিল নাগরিক কমিটির সভায় সুনিদিষ্ঠভাবে পাটকেলঘাটা উপজেলা ঘোষণার দাবি উত্থাপন করা হয় এবং সংগঠনের ২১ দফা কর্মসূচিতে এই দাবি অর্ন্তভুক্ত করা হয়।

সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক এ্যাড. আজাদ হোসেন বেলাল বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সাতক্ষীরায় উপজেলার সংখ্যা বৃদ্ধি করাসহ ২১ দফা দাবি জানিয়ে আসছি। অবশেষে একটি দাবি পূরণ হচ্ছে। আশা করি বাকি দাবিগুলোও একে একে পূরণ হবে।

বিষয়:
পরবর্তী খবর

বসুন্ধরা পারলে কেন সিটি করপোরেশন পারবে না

ভোররাত থেকে বৃষ্টি হচ্ছিল। সারা রাত আকাশে মেঘ ছিল। আষাঢ় শেষ হয়ে আসছে। বর্ষাকাল। এখন এরকমই হওয়ার কথা। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হবে হঠাৎ করেই। ঝুপ ঝুপ করে নামবে বৃষ্টি। কখনও থেকে থেকে, কখনও অবিরাম। এ বছরের বর্ষায় প্রবল বৃষ্টি হতে পারে, আবহাওয়াবিদরা পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। জলবায়ু পরিবর্তন এখন পৃথিবীর সবচাইতে বড় সমস্যা। যেদিন আমরা পিছনে ফেলে এসেছি, যে আবহাওয়ায় বড় হয়েছি, সেই আবহাওয়া এখন আর নেই। শীতের দেশগুলোতে তীব্র গরম পড়ছে। শীতকালে শীত পড়ছে আগের তুলনায় বেশি। বরফের পাহাড় গলে যাচ্ছে আন্টার্টিকায়। দাবানলে পুড়ছে আমেরিকার বনভূমি। প্রকৃতি উল্টো-পাল্টা হয়ে গেছে। বদলে গেছে বহু কিছু।

এ বছরের গ্রীষ্মে প্রচণ্ড গরম পড়েছিল। মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা। জীবজগৎ বিপর্যস্ত। আবহাওয়াবিদরা বলেছিলেন, বর্ষায় প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। ক’দিন আগে তাই হলো। ভোররাত থেকে বৃষ্টি। সকাল দশটা এগারোটা পর্যস্ত থামার নাম নেই। আকাশ অন্ধকার হয়ে আছে। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ছায়াময় পরিবেশ। আমি একটু বেলা করে উঠেছি। মধ্যমাত্রার বৃষ্টি তখনও ঝরছে। দুপুর নাগাদ টেলিভিশন আর অনলাইনগুলো দেখে হতভম্ব হয়ে গেলাম। ঢাকা শহরের বহু এলাকা বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে। রিকশার পাদানিতে উঠে গেছে পানি। বাসের চাকা ডুবে গেছে। প্রাইভেটকার ডুবে গেছে, জেগে আছে শুধু গাড়ির ছাদটুকু। নিউমার্কেট আর কাঁটাবন এলাকার দোকানপাটের ভিতর কোমর পানি। ছোট আর মাঝারি ব্যবসায়ীরা পড়ে গেছেন ব্যাপক সংকটে। দোকানের মালামাল রক্ষা করতে পারেননি। সব ভেসে গেছে বৃষ্টিতে। শত কোটি টাকার ক্ষতি হয়ে গেছে।

অন্যদিকে মানুষের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ। কর্মস্থলে যাওয়া মানুষ, বাড়ি ফেরার মানুষ, ছাত্র-ছাত্রী প্রত্যেকেই পড়েছে চরম দুর্ভোগে। গাড়ি চলছে না। হেঁটে বাড়ি ফিরছে মানুষ। তাদের কোমরের ওপর পর্যন্ত পানি। পুরান ঢাকার অলিগলি রাজপথ ডুবে গেছে। ঘরে ঢুকে গেছে পানি। মানুষ দিশেহারা। এ অবস্থা কেমন করে সামাল দেবে? এক বেলার বৃষ্টিতে জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত। অথচ কোটি কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে ঢাকা শহরের পানি নিষ্কাশনের জন্য। কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। বৃষ্টি হলেই ডুবছে রাস্তাঘাট। বিপাকে পড়ছে মানুষ। আবহাওয়াবিদদের সাবধানতা বা ভবিষ্যদ্বাণী সিটি করপোরেশন দুটো সেভাবে মনে রাখেনি। মনে রেখে আগাম ব্যবস্থা নিলে শহরবাসী এরকম বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ত না। এই বিষয়ে দুই মেয়রের তীক্ষ্ণ নজর থাকা জরুরি ছিল। ঢাকার খালগুলো প্রায় সবই বুজে গেছে। দখল হয়ে গেছে। সবই আছে খালগুলোতে, শুধু পানিটাই নেই। পানির প্রবাহ বলতে কিছু নেই। ময়লা আবর্জনার ভাগাড় হয়ে গেছে একেকটা খাল। মেয়র মহোদয়দের দেখি, প্রায়ই খাল উদ্ধারের অভিযান করছেন। দু-একটা খাল দখল মুক্তও করছেন। তারপর আর খবর নেই। আগের মতো দখল হয়ে যাচ্ছে। আরেক মহাশত্রু হয়েছে পলিথিন। এই জিনিসের কোনও বিনাশ নেই। শুধুমাত্র পলিথিনই ডুবিয়ে দিচ্ছে অনেক অর্জন। এই বিষয়টি নিয়ে সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের সচেতন হওয়া জরুরি। পলিথিনের হাত থেকে বাঁচাতে হবে দেশ। পলিথিনের বিকল্প ব্যবস্থা কাজে লাগাতে হবে। এক্ষেত্রে সরকার ও মিডিয়া মিলে জনসচেতনা গড়ে তোলা জরুরি। মানুষ সচেতন হলে সমাজ পরিশিলিত হয়। গত তিরিশ পঁয়ত্রিশ বছর ধরে ধীরে ধীরে গড়ে উঠছিল বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা। এখন বসুন্ধরা ঢাকার সবচাইতে অভিজাত এলাকা। সবচাইতে আকর্ষণীয় এলাকা। বসুন্ধরায় কারও একটি ফ্ল্যাট বা কারও এক টুকরো জমি থাকলে তিনি খুব গৌরববোধ করেন। বসুন্ধরার মতো সুবিন্যস্ত আবাসিক এলাকা ঢাকায় আর নেই। এলাকাটির পরিকল্পনা করা হয়েছে সম্পূর্ণতই ইউরোপ-আমেরিকার ঘনবসতিপূর্ণ শহরগুলোর লাগোয়া অতি আধুনিক আবাসিক শহরগুলোর মতো করে। সুপরিকল্পিত ও সুব্যবস্থাপূর্ণ। বড় বড় রাস্তা। রাস্তার ধার আর আইল্যান্ডগুলো সবুজ গাছপালায় ভর্তি। রাজউকের বিল্ডিংকোড মেনে নির্মিত প্রতিটি বাড়ি। সঙ্গে আছে বসুন্ধরার নিজস্ব কঠোর তদারকি। নিয়মের বাইরে একটি ইটও বসানো যাবে না। একটি গাছের পাতাও ছেঁড়া যাবে না। অন্যদিকে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুরুষমানুষরা তো বটেই, নারী ও শিশুরা চাইলেও রাত দুপুরে বাড়ির বাইরে বেড়াতে বেরোতে পারে। ডিস্টার্ব করা তো দূরের কথা, চোখ তুলেও তাকাবার সাহস পাবে না কেউ। নিরাপত্তায় নিয়োজিত গাড়িভর্তি কর্মী চব্বিশঘণ্টা টহল দিচ্ছে। ঢাকার ভিতরেই বসুন্ধরা সম্পূর্ণ এক আলাদা জগৎ। স্বপ্নের বাসভূমি। এটা সম্ভব হয়েছে সুপরিকল্পনা ও তা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন আর প্রয়োগের ফলে। গত কয়েক বছর আগে বর্ষার বৃষ্টিতে বসুন্ধরার কোথাও কোথাও পানি জমে যেত। এই নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন কর্তৃপক্ষ। সুদূর প্রসারী আধুনিক পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে রাতারাতি সামাল দিলেন সেই সমস্যা। গড়ে তুললেন অত্যাধুনিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা। যত বৃষ্টিই হোক, বসুন্ধরায় এখন আর পানি জমে না। জোরালো ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে বৃষ্টির পানি এক মিনিটও দাঁড়াতে পারে না। সঙ্গে আছে এলাকার ড্রেনগুলোর সঠিক তদারকি। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বহুকর্মী নিয়োজিত এই কাজে। কী নেই বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায়? হাসপাতাল, বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল, খেলার মাঠ, শপিং মল, সুন্দর সুন্দর মসজিদ, গোরস্থান, অতি আধুনিক সব রেস্টুরেন্ট। এক কথায় সব মিলিয়ে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা বর্তমান বিশ্বের অতি আধুনিক এক মনোরম শহর। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা নিয়ে কথাগুলো বলার কারণ, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র মহোদয়দের দৃষ্টি আকর্ষণ করা। বসুন্ধরায় ড্রেনেজ ব্যবস্থার অনুকরণ করে তাঁরা খুব সহজেই হঠাৎ বৃষ্টিতে জলাবদ্ধ হয়ে যাওয়া ঢাকা শহরকে অনেকখানি মুক্তি দিতে পারেন। মানুষকে দুর্ভোগ মুক্ত করতে পারেন, ব্যবসায়ীদের বাঁচাতে পারেন ক্ষতির হাত থেকে। ছাত্র-ছাত্রী আর পথচলা মানুষদের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে পারেন। বৃষ্টির তোড়ে হঠাৎ অসহায় হয়ে পড়া গৃহবাসীদের সুরক্ষা দিতে পারেন। এই শহরের মানুষকে স্বস্তিতে বসবাস করার সুযোগ করে দিতে পারেন। এসব তাঁদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে নিশ্চয় তাঁরা ভাববেন। তাঁদের চোখের সামনেই তো উদাহরণ হিসেবে আছে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা।

পরবর্তী খবর

নওগাঁর ধামইরহাটে পানিতে ডুবে দুই ভাইয়ের মৃত্যু

নওগাঁর ধামইরহাটে পুকুরের পানিতে ডুবে যমজ দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৭ জুলাই) দুপুর ১২টায় উপজেলার খেলনা ইউনিয়নের পশ্চিম চকভবানী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু সালাম।

নিতহ দুই শিশু– লক্ষণ (৩) ও রাম (৩)। তারা উভয়ে একই গ্রামের সুজিত ওরাওঁ-এর যমজ সন্তান।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু সালাম বলেন, সকালের খাবার খেয়ে ওই দুই ভাই বাড়ির পাশে খেলতে থাকে। খেলার একপর্যায়ে সবার অগোচরে দুই ভাই বাড়ির সামনে পুকুরে ডুবে যায়। পরে তাদের খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে দুজনের লাশ পুকুরে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয়রা।

যমজ দুই ভাইয়ের মর্মান্তিক মৃত্যুতে পরিবারের সদস্য এবং প্রতিবেশীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

ধামইরহাট থানায় অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. বাহাউদ্দিন ফারুকী বলেন, দুই শিশু পানিতে ডুবে মারা যাওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, খেলতে গিয়েই তারা পানিতে ডুবে মারা গেছে। এ বিষয়ে থানায় কোন অভিযোগ করা হয়নি।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত