দেশ

দেশ

সাতক্ষীরায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ মামলায় এক যুবক গ্রেপ্তার

সাতক্ষীরায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় মারুফ হোসেন বাপ্পী (২৬)নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে সাতক্ষীরা শহরের উত্তর কাটিয়ার ঈদগাহ ময়দান এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রলোভনে নারীর অশ্লীল স্থির চিত্র ধারন ও অশ্লীল ভিডিও ধারনের অভিযোগ রয়েছে। এর আগে শহরের নারকেলতলা এলাকার বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃত যুবকের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

গ্রেপ্তারকৃত যুবক মারুফ হোসেন বাপ্পী সাতক্ষীরা পৌর এলাকার মুনজিতপুর গ্রামের আনোয়ারুল ইসলামের ছেলে।

সাতক্ষীরা সাইবার ক্রাইম এলার্ট টিমের অ্যাডমিন শেখ মাহবুবুল হক জানান, মারুফ হোসেন বাপ্পী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্রীদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতেন। পরে তাদের কাছ থেকে ভিডিও কলে বা হোয়াটসএ্যাপ-ম্যাসেঞ্জার-টেলিগ্রাফে ন্যুড ছবি সংগ্রহ করতেন। সুবিধামতো সময়ে তাদেরকে ছবি ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিতেন। কখনও কখনও তাদেরকে শয্যাসঙ্গী হতে বাধ্য করতেন। সম্প্রতি দেশের স্বনামধন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী তার খপ্পরে পড়েন। সপ্তাহ দুয়েক আগে ওই ছাত্রীর পিতা সাতক্ষীরা সদর থানায় প্রতিকার চেয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে মাঠে নামে পুলিশ।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাতক্ষীরা সদর থানার এসআই মোস্তাফিজুর রহমান জানান, গ্রেপ্তারকৃত বাপ্পী ডা. আরমান হোসন নিলয় ডাক্তার হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন নারীদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ধারণ করে পরে তাদের সাথে প্রতারণা করতেন। কখনও অর্থ হাতিয়ে নিতেন, আবার কখনও শারীরিক সম্পর্কে জড়াতে বাধ্য করতেন।

সম্প্রতি সদর থানায় দায়ের করা একটি অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। একাধিক আইডি ও অন্যের নামের মোবাইল সিম ব্যবহার করে তিনি প্রতারণার সাম্রাজ্য গড়ে তোলেন। তাকে ধরতে পুলিশ ফাঁদ পাতে। একপর্যায়ে প্রতারণার শিকার জনৈকা নারীর মাধ্যমে বাপ্পীকে উত্তর কাটিয়ার ঈদগাহ ময়দানে ডেকে আনা হয়। পুলিশ সেখান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেন। এরপর তার কাছে থাকা দুটি মোবাইল ফোন জব্দ করে তা থেকে একাধিক নারীর অশ্লীল ছবি জব্দ করা হয়।

সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নজরুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ওই ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃত বাপ্পীর বিরুদ্ধে ২০১২ সালে প্রণিত পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের ৮(১),/৮(৫)(ক) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন।

গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

বিষয়:
পরবর্তী খবর

৫০ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার

সীমান্ত সম্ভারে স্বর্ণের দোকানে চাঞ্চল্যকর চুরির রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার ৩

রাজধানীর ধানমণ্ডির বিজিবি সীমান্ত সম্ভার শপিং কমপ্লেক্সের একটি স্বর্ণের দোকানে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. রুবেল (২৮), সফিক ওরফে সোহেল (৩৫) এবং সাদ্দাম হোসেন (৩১)। এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া ৫০ ভরি আট আনা স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা।

ডিবি সূত্রে জানা যায়, ধানমণ্ডি মডেল থানাধীন ‘ক্রাউন ডায়মন্ড এন্ড জুয়েলার্স’ শোরুমে গত ৩ জানুয়ারি বেলা ১টার দিকে চুরির ঘটনা ঘটে। চোরচক্র অভিনব পদ্ধতিতে শো-রুমের তালা ও সাটার কেটে মাত্র আট মিনিটের মধ্যে ১৫৯ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। দোকানের মালিক কাজী আকাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকারের আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়।

মামলার প্রেক্ষিতে ডিবি পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ৯ জানুয়ারি থেকে ডিবি পুলিশ ধারাবাহিক অভিযান চালায়। কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে প্রথমে মো. রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লার দেবীদ্বার থেকে সফিক ওরফে সোহেল এবং মুরাদনগর থেকে সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ২৮ ভরি ১৪ আনা আসল স্বর্ণ এবং ২১ ভরি ১০ আনা গলিত স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। ডিবি সূত্রে আরও জানা যায়, চুরির ঘটনায় জড়িত চক্রের অন্যান্য সদস্যদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেফতার ও অবশিষ্ট স্বর্ণ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ডিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান পিপিএম জানান, এই চক্র অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পরিকল্পনা করে চুরি সংঘটিত করে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে জনগণের আস্থা অক্ষুণ্ণ রাখতে সক্ষম হয়েছে।

বিষয়:
পরবর্তী খবর

পোরশায় ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস, কেনা যাবে ২৫০ গ্রাম

চড়া দামের কারণে নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত অনেক মানুষ পুরো এক কেজি মাংস কিনতে পারছে না। এমন ক্রেতাদের সুবিধার্থে এবার ২৫০ গ্রাম গরুর মাংসও বিক্রি হবে নওগাঁর পোরশায়। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ন্যায্যমূল্যের দোকানে গরুর মাংস বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৩ই ডিসেম্বর) সকাল আটটার দিকে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফ আদনান।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সহযোগিতায় ও জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আউয়ালের নির্দেশে ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস বিক্রির এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এ সময় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।

এ প্রসঙ্গে ইউ এন ও আরিফ আদনান বলেন, জেলা প্রশাসকের দিকনির্দেশনায় ন্যায্য মূল্যের মাংসের দোকান চালু করা হয়েছে । এই দোকানে প্রতি কেজি ৬০০ টাকা দরে ক্রেতাগণ কিনতে পারবেন এবং গরিব জনগণ ২৫০ গ্রাম থেকে গরুর মাংস কিনতে পারবেন বলে জানান ইউ এন ওআরিফ আদনান।

বিষয়:
সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত