ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইলের চাঞ্চল্যকর সাদেক হত্যা মামলার পলাতক প্রধান আসামি সবুজকে তার প্রধান সহযোগীসহ গ্রেফতার করেছে র্যাব। গতকাল ১৩ জানুয়ারি মাঝরাতে ০০:৪৫টায় র্যাব-১০-এর একটি আভিযানিক দল র্যাব-১৩-এর সহযোগিতায় দিনাজপুর জেলার কাহারোল থানাধীন নালাপুর এলাকায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করে প্রধান সহযোগী তার স্ত্রী মোছাঃ নাজমা খাতুনসহ গ্রেফতার করে।
গত ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখ ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানাধীন চর কোমরভাঙ্গা এলাকায় জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে উক্ত এলাকায় বসবাসকারী মোঃ সবুজ মিয়া (৪৫) ও তার স্ত্রী মোছাঃ নাজমা খাতুন (৪০) উভয় মিলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে সবুজের আপন জেঠাতো ভাই সাদেককে বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়িভাবে বেধরক মারধর করতে থাকে। মারধর ও ডাক-চিৎকারের শব্দ শুনতে পেয়ে সাদেকের ভাই মোঃ রুবেল মিয়া ও আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলের দিকে এগিয়ে আসলে সবুজ ও তার স্ত্রী নাজমা সাদেককে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে রেখে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। অতঃপর সাদেকের ভাই রুবেল ও তার পরিবারের লোকজন সাদেককে গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিলেক কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার প্রাক্কালে রাস্তায় সাদেক মৃত্যুবরণ করেন। পরবর্তীতে ভিকটিম সাদেকের লাশ তাদের নিজ বাড়িতে নিয়ে এসে পুলিশকে সংবাদ দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে ময়না তদন্তের জন্য সাদেকের লাশ মর্গে প্রেরণ করেন।
উক্ত ঘটনায় মৃত সাদেকের ভাই মোঃ রুবেল মিয়া (৩৫) বাদী হয়ে ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানায় চাঞ্চল্যকর সাদেক হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত মোঃ সবুজ মিয়া (৪৫) ও তার স্ত্রী মোছাঃ নাজমা খাতুন (৪০) এর বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং-১৪, তাং-১৭/১২/২০২৩ খ্রিঃ, ধারা-৩০২/৩৪ দণ্ডবিধি। উক্ত হত্যাকাণ্ডে ঘটনাটি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া গুরুত্বের সাথে প্রচারিত হলে দেশব্যাপী ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে র্যাব-১০-এর একটি আভিযানিক দল হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি জানতে পেরে আসামিদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ১৩ জানুয়ারি আনুমানিক মাঝরাত ০০:৪৫টায় র্যাব-১০-এর উক্ত আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এবং র্যাব-১৩ এর সহযোগিতায় দিনাজপুর জেলার কাহারোল থানাধীন নালাপুর এলাকায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে উল্লিখিত ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল এলাকায় জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে চাঞ্চল্যকর সাদেক হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত প্রধান আসামি মোঃ সবুজ মিয়া (৪৫), পিতা-মৃত আঃ মতিন, সাং-চর কোমরভাঙ্গা, থানা-নান্দাইল, জেলা- ময়মনসিংহ ও তার প্রধান সহযোগী তার স্ত্রী মোছাঃ নাজমা খাতুনকে (৪০) গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামিরা উক্ত হত্যাকাণ্ডের তাদের সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তারা মামলা রুজুর পর হতে দিনাজপুরের কাহারোল এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে ছিল বলে জানা যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামিদেরকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
রাজধানীর ধানমণ্ডির বিজিবি সীমান্ত সম্ভার শপিং কমপ্লেক্সের একটি স্বর্ণের দোকানে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. রুবেল (২৮), সফিক ওরফে সোহেল (৩৫) এবং সাদ্দাম হোসেন (৩১)। এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া ৫০ ভরি আট আনা স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, ধানমণ্ডি মডেল থানাধীন ‘ক্রাউন ডায়মন্ড এন্ড জুয়েলার্স’ শোরুমে গত ৩ জানুয়ারি বেলা ১টার দিকে চুরির ঘটনা ঘটে। চোরচক্র অভিনব পদ্ধতিতে শো-রুমের তালা ও সাটার কেটে মাত্র আট মিনিটের মধ্যে ১৫৯ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। দোকানের মালিক কাজী আকাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকারের আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়।
মামলার প্রেক্ষিতে ডিবি পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ৯ জানুয়ারি থেকে ডিবি পুলিশ ধারাবাহিক অভিযান চালায়। কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে প্রথমে মো. রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লার দেবীদ্বার থেকে সফিক ওরফে সোহেল এবং মুরাদনগর থেকে সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ২৮ ভরি ১৪ আনা আসল স্বর্ণ এবং ২১ ভরি ১০ আনা গলিত স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। ডিবি সূত্রে আরও জানা যায়, চুরির ঘটনায় জড়িত চক্রের অন্যান্য সদস্যদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেফতার ও অবশিষ্ট স্বর্ণ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ডিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান পিপিএম জানান, এই চক্র অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পরিকল্পনা করে চুরি সংঘটিত করে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে জনগণের আস্থা অক্ষুণ্ণ রাখতে সক্ষম হয়েছে।
চড়া দামের কারণে নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত অনেক মানুষ পুরো এক কেজি মাংস কিনতে পারছে না। এমন ক্রেতাদের সুবিধার্থে এবার ২৫০ গ্রাম গরুর মাংসও বিক্রি হবে নওগাঁর পোরশায়। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ন্যায্যমূল্যের দোকানে গরুর মাংস বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ই ডিসেম্বর) সকাল আটটার দিকে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফ আদনান।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সহযোগিতায় ও জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আউয়ালের নির্দেশে ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস বিক্রির এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ সময় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে ইউ এন ও আরিফ আদনান বলেন, জেলা প্রশাসকের দিকনির্দেশনায় ন্যায্য মূল্যের মাংসের দোকান চালু করা হয়েছে । এই দোকানে প্রতি কেজি ৬০০ টাকা দরে ক্রেতাগণ কিনতে পারবেন এবং গরিব জনগণ ২৫০ গ্রাম থেকে গরুর মাংস কিনতে পারবেন বলে জানান ইউ এন ওআরিফ আদনান।