‘আমি কালবেলার সাংবাদিক। তুই কোন পত্রিকার সাংবাদিক? তোকে কেউ চেনে? আমার কাউকে দরকার হয় না। বেশি বুঝলে ফাটায়ে ফেলাবো।’ এভাবেই বাংলাদেশ বেতারের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি সিনিয়র সাংবাদিক ও সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক ফারুক মাহবুবুর রহমানকে জনসম্মুখে হুমকি ধামকি দিয়ে লাঞ্ছিত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক ফারুক মাহবুবুর রহমান দাবি করেছেন, একাধিক চাঁদাবাজি মামলার আসামি মো. হাবিবুল বাশার ওরফে গাজী ফরহাদ রবিবার (১৪ জানুয়ারি) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব চত্বরে অর্ধশত চারাগাছ ছিনতাই করতে গিয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। এ সময় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের বেশকিছু সদস্য সেখানে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তারা কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঘটনা ঘটেছে বলে জানান। ফরহাদ নিজেকে কালবেলা পত্রিকার সাতক্ষীরা প্রতিনিধি বলে পরিচয় দেন এবং তিনি বারবার বিভিন্ন অপকর্ম করেও অদৃশ্য কারণে পার পেয়ে যান।
এ ঘটনায় বাদী হয়ে ভুক্তভোগী সাংবাদিক ফারুক মাহবুবুর রহমান সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগসূত্রে জানা যায়, রোববার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে তুচ্ছ ঘটনায় দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সাতক্ষীরা প্রতিনিধি সাংবাদিক ইয়ারবের সাথে বাংলাদেশ বেতারের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি সাংবাদিক ফারুক মাহবুবুর রহমানের সাথে বাকবিতণ্ডা চলছিলো। আকস্মিক সেখানে উপস্থিত হয়ে গণ্ডগোল শুরু করেন সাংবাদিক ফরহাদ ও ইয়ারব হোসেনের ড্রাইভার জাহাঙ্গীর হোসেন। তারা প্রেসক্লাবে সন্ত্রাসী কায়দায় ভাংচুর চালিয়ে প্রায় ৫০ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করেন। বাধা দিতে গেলে তারা সাংবাদিক ফারুক হোসেন ও ফারুক মাহবুবুর রহমানকে লাঞ্ছিত করেন। এক পর্যায়ে তারা অর্ধশত চারাগাছ জোরপূর্বক ছিনতাই করে কালো মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে চলে যান।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী সাংবাদিক ফারুক মাহবুবুর রহমান বলেন, সাংবাদিক ইয়ারব হোসেনের সাথে তুচ্ছ ঘটনায় তার বাকবিতণ্ডা হচ্ছিলো। এসময় আগ বাড়িয়ে শিবির ক্যাডার ফরহাদ তার সাথে বচসায় লিপ্ত হন। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজের একপর্যায়ে তার জামার কলার টেনে ধরে উপর্যুপরি পেটাতে থাকেন সাংবাদিক ফরহাদ। উপস্থিত সাংবাদিকরা এর প্রতিবাদ করলে তিনি তাদের ওপরেও চড়াও হন। বর্তমানে তিনি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং এ ব্যাপারে প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে তিনজনকে আসামি করে সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
তিনি আরও বলেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আসন্ন নির্বাচনকে বানচাল করতে ও প্রেসক্লাবের পরিবেশ নষ্ট করতে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গাজী ফরহাদের স্থায়ী বাড়ি সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার শোভনালী ইউনিয়নের বসুখালী গ্রামে। তিনি শিবির ক্যাডার হিসাবে জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতিতে যুক্ত রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে মারপিট, চাঁদাবাজি ও নাশকতার মামলা ছাড়াও নারী কেলেংকারির অভিযোগ রয়েছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে। এছাড়া পিতা হামিদুল্লাহ গাজীর নেতৃত্বে তার ছেলে ফরহাদ বসুখালি এলাকায় দীর্ঘদিন যাবত সন্ত্রাস কায়েম করে আসছে বলে সূত্রটি জানিয়েছে।
সূত্র আরও জানায়, গাজী ফরহাদের পিতা হামিদুল্লাহ গাজী একাধিক নাশকতা মামলার আসামি। বেশ কয়েকবার তিনি জেল খেটেছেন বলে জানা যায়।
রাজধানীর ধানমণ্ডির বিজিবি সীমান্ত সম্ভার শপিং কমপ্লেক্সের একটি স্বর্ণের দোকানে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. রুবেল (২৮), সফিক ওরফে সোহেল (৩৫) এবং সাদ্দাম হোসেন (৩১)। এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া ৫০ ভরি আট আনা স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, ধানমণ্ডি মডেল থানাধীন ‘ক্রাউন ডায়মন্ড এন্ড জুয়েলার্স’ শোরুমে গত ৩ জানুয়ারি বেলা ১টার দিকে চুরির ঘটনা ঘটে। চোরচক্র অভিনব পদ্ধতিতে শো-রুমের তালা ও সাটার কেটে মাত্র আট মিনিটের মধ্যে ১৫৯ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। দোকানের মালিক কাজী আকাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকারের আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়।
মামলার প্রেক্ষিতে ডিবি পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ৯ জানুয়ারি থেকে ডিবি পুলিশ ধারাবাহিক অভিযান চালায়। কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে প্রথমে মো. রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লার দেবীদ্বার থেকে সফিক ওরফে সোহেল এবং মুরাদনগর থেকে সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ২৮ ভরি ১৪ আনা আসল স্বর্ণ এবং ২১ ভরি ১০ আনা গলিত স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। ডিবি সূত্রে আরও জানা যায়, চুরির ঘটনায় জড়িত চক্রের অন্যান্য সদস্যদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেফতার ও অবশিষ্ট স্বর্ণ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ডিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান পিপিএম জানান, এই চক্র অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পরিকল্পনা করে চুরি সংঘটিত করে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে জনগণের আস্থা অক্ষুণ্ণ রাখতে সক্ষম হয়েছে।
চড়া দামের কারণে নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত অনেক মানুষ পুরো এক কেজি মাংস কিনতে পারছে না। এমন ক্রেতাদের সুবিধার্থে এবার ২৫০ গ্রাম গরুর মাংসও বিক্রি হবে নওগাঁর পোরশায়। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ন্যায্যমূল্যের দোকানে গরুর মাংস বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ই ডিসেম্বর) সকাল আটটার দিকে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফ আদনান।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সহযোগিতায় ও জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আউয়ালের নির্দেশে ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস বিক্রির এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ সময় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে ইউ এন ও আরিফ আদনান বলেন, জেলা প্রশাসকের দিকনির্দেশনায় ন্যায্য মূল্যের মাংসের দোকান চালু করা হয়েছে । এই দোকানে প্রতি কেজি ৬০০ টাকা দরে ক্রেতাগণ কিনতে পারবেন এবং গরিব জনগণ ২৫০ গ্রাম থেকে গরুর মাংস কিনতে পারবেন বলে জানান ইউ এন ওআরিফ আদনান।