রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের ব্যবস্থাপনায় আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতি কর্তৃক আয়োজিত ৫২তম শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০২৪ অনুষ্ঠিত হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড রাজশাহী’র চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. অলীউল আলম-এর সভাপতিত্বে ক্রীড়া অনুষ্ঠানাটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার উদ্দেশ্যে শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সভাকক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন সহকারী পুলিশ সুপার রেজাউল করিম খান, বোয়ালিয়ার এসি ল্যান্ড শাহীন মিয়া, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) এর পক্ষে মো. রুবেল হক, ড. শরমিন ফেরদৌস চৌধুরী, উপ-পরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা, রাজশাহী অঞ্চল, রাজশাহী, রাজশাহী জেলা শিক্ষা অফিসার মো. নাসির উদ্দিন, রাজশাহী জেলা ক্রীড়া অফিসার মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের সহকারী পরিদর্শক ড. মো. জাহিদুল হক সিদ্দিকী, বাংলাদেশ বাস্কেট বল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি মো. খাইরুল আলম ফরহাদ, রাজশাহী জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক, রাজশাহী সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মো. মাহবুবুর রহমান, শহীদ মামুন মাহমুদ পুলিশ লাইনস্ স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ ড. মো. গোলাম মওলা, রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক, অগ্রণী বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মো. সাইফুল হক ও সিনিয়র শিক্ষক আব্দুর রোকন মাসুমসহ রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের ৫২তম শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সার্বিক ব্যবস্থাপনা উপ-কমিটির আহ্বায়কবৃন্দ।
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সচিব মো. হুমায়ূন কবীর এবং প্রেষণে নিযুক্ত কর্মকর্তাবৃন্দ, উপ-সচিব (প্রশাসন), উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (মাধ্যমিক), উপ-কলেজ পরিদর্শকসহ সভায় উপস্থিত সকলেই ৫২তম শীতকালীন জাতীয় খেলাধুলা ও অনুষ্ঠানটি সফল করার উদ্দেশ্যে দিক নির্দেশনামূলক মতামত প্রদান করেন।
৫২তম শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০২৪ এর সাংগঠনিক কমিটির সদস্য সচিব ও রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক মহা. জিয়াউল হক তাঁর স্বাগত বক্তব্যে ক্রীড়া প্রস্তুতি সম্পর্কে বিস্তারিত সভাকে অবহিত করেন।
৫২তম শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০২৪ এর সাংগঠনিক কমিটির সভাপতি ও রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. অলীউল আলম তাঁর বক্তব্যে বলেন, ৫২তম শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০২৪ রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের মর্যাদাকে অনন্য উচ্চতায় তুলে ধরার সুযোগ করে দিয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি যে সকল সুধীজন আজকের সভায় উপস্থিত হয়েছেন তাঁরা এ শহরের শিক্ষা ও ক্রীড়ার প্রাণ। সকলের হৃদিক সহযোগিতা নিয়ে আমরা সবরকম চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সফলতা অর্জন করতে চাই। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে আমরা সামনে এগিয়ে যেতে চাই।
সভার সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন ৫২তম শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০২৪-এর সাংগঠনিক কমিটির সদস্য সচিব ও রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক মহা. জিয়াউল হক।
রাজধানীর ধানমণ্ডির বিজিবি সীমান্ত সম্ভার শপিং কমপ্লেক্সের একটি স্বর্ণের দোকানে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. রুবেল (২৮), সফিক ওরফে সোহেল (৩৫) এবং সাদ্দাম হোসেন (৩১)। এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া ৫০ ভরি আট আনা স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, ধানমণ্ডি মডেল থানাধীন ‘ক্রাউন ডায়মন্ড এন্ড জুয়েলার্স’ শোরুমে গত ৩ জানুয়ারি বেলা ১টার দিকে চুরির ঘটনা ঘটে। চোরচক্র অভিনব পদ্ধতিতে শো-রুমের তালা ও সাটার কেটে মাত্র আট মিনিটের মধ্যে ১৫৯ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। দোকানের মালিক কাজী আকাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকারের আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়।
মামলার প্রেক্ষিতে ডিবি পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ৯ জানুয়ারি থেকে ডিবি পুলিশ ধারাবাহিক অভিযান চালায়। কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে প্রথমে মো. রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লার দেবীদ্বার থেকে সফিক ওরফে সোহেল এবং মুরাদনগর থেকে সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ২৮ ভরি ১৪ আনা আসল স্বর্ণ এবং ২১ ভরি ১০ আনা গলিত স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। ডিবি সূত্রে আরও জানা যায়, চুরির ঘটনায় জড়িত চক্রের অন্যান্য সদস্যদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেফতার ও অবশিষ্ট স্বর্ণ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ডিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান পিপিএম জানান, এই চক্র অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পরিকল্পনা করে চুরি সংঘটিত করে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে জনগণের আস্থা অক্ষুণ্ণ রাখতে সক্ষম হয়েছে।
চড়া দামের কারণে নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত অনেক মানুষ পুরো এক কেজি মাংস কিনতে পারছে না। এমন ক্রেতাদের সুবিধার্থে এবার ২৫০ গ্রাম গরুর মাংসও বিক্রি হবে নওগাঁর পোরশায়। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ন্যায্যমূল্যের দোকানে গরুর মাংস বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ই ডিসেম্বর) সকাল আটটার দিকে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফ আদনান।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সহযোগিতায় ও জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আউয়ালের নির্দেশে ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস বিক্রির এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ সময় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে ইউ এন ও আরিফ আদনান বলেন, জেলা প্রশাসকের দিকনির্দেশনায় ন্যায্য মূল্যের মাংসের দোকান চালু করা হয়েছে । এই দোকানে প্রতি কেজি ৬০০ টাকা দরে ক্রেতাগণ কিনতে পারবেন এবং গরিব জনগণ ২৫০ গ্রাম থেকে গরুর মাংস কিনতে পারবেন বলে জানান ইউ এন ওআরিফ আদনান।