রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মো. আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, ‘আপনারা গরুর গাড়ির চাকা দেখেছেন সেখানে কিন্তু পাম্প দিতে হয় না। আপনারা মনে করবেন, আমি গরুর গাড়ির চাকা, আমাকে পাম্প দিতে হয় না।’
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে রাজশাহীর বাগমারার ভবানীগঞ্জ মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর কমপ্লেক্সে বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমরা কিন্তু ২০০৮ সালে হঠাৎ করে রাজনীতিতে আসা মানুষ নই। ১৯৮৬ সাল থেকে নানা আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে রাজনীতি করে এসেছি। যারা জন্মসূত্রে আওয়ামী লীগ তাদেরই একজন আমি আবুল কালাম আজাদ। আমি এক লক্ষ আট হাজার ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছি। কিন্তু আমি তা মনে করি না। আমি মনে করি আমি তিন লক্ষ ৬ হাজার ভোটারের এমপি।’
এমপি কালাম আরো বলেন, ‘আপনারা ধৈর্য ধরুন। আমার কাছে আপনাদের আসতে হবে না। আমি আপনাদের ওয়ার্ডে, ইউনিয়নে, আপনাদের গ্রামে গ্রামে গিয়ে সমস্যার কথা শুনব। সেই সমস্যার আলোকে তা সমাধান করব। আমাকে একটু সময় দেবেন। আগামী পাঁচ বছরে এই বাগমারাকে স্মার্ট এবং মডেল বাগমারা হিসেবে গড়ে তুলবো ইনশাল্লাহ। আমি নির্বাচনের ক্যাম্পেইন করতে গিয়ে বাগমারার বিভিন্ন এলাকায় দেখেছি ভাঙ্গাচোরা রাস্তাঘাট। আমি ভোটারদের আশ্বস্ত করেছি আমি নির্বাচিত হলেই রাস্তাঘাটের সংস্থার করব। তাই আপনারা দ্রুত প্রত্যেক ইউনিয়নে ইউনিয়নে ভাঙ্গাচুরা রাস্তাঘাটের তালিকা করেন। যত দ্রুত সম্ভব আমি এসব রাস্তাঘাটের সংস্কার করবো।’
বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম হেলালের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম সারোয়ার আবুলের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক ড. পিএম সফিকুল ইসলাম, রাজশাহী আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট জাকিরুল ইসলাম সান্টু, জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বাগমারার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
রাজধানীর ধানমণ্ডির বিজিবি সীমান্ত সম্ভার শপিং কমপ্লেক্সের একটি স্বর্ণের দোকানে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. রুবেল (২৮), সফিক ওরফে সোহেল (৩৫) এবং সাদ্দাম হোসেন (৩১)। এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া ৫০ ভরি আট আনা স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, ধানমণ্ডি মডেল থানাধীন ‘ক্রাউন ডায়মন্ড এন্ড জুয়েলার্স’ শোরুমে গত ৩ জানুয়ারি বেলা ১টার দিকে চুরির ঘটনা ঘটে। চোরচক্র অভিনব পদ্ধতিতে শো-রুমের তালা ও সাটার কেটে মাত্র আট মিনিটের মধ্যে ১৫৯ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। দোকানের মালিক কাজী আকাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকারের আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়।
মামলার প্রেক্ষিতে ডিবি পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ৯ জানুয়ারি থেকে ডিবি পুলিশ ধারাবাহিক অভিযান চালায়। কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে প্রথমে মো. রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লার দেবীদ্বার থেকে সফিক ওরফে সোহেল এবং মুরাদনগর থেকে সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ২৮ ভরি ১৪ আনা আসল স্বর্ণ এবং ২১ ভরি ১০ আনা গলিত স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। ডিবি সূত্রে আরও জানা যায়, চুরির ঘটনায় জড়িত চক্রের অন্যান্য সদস্যদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেফতার ও অবশিষ্ট স্বর্ণ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ডিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান পিপিএম জানান, এই চক্র অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পরিকল্পনা করে চুরি সংঘটিত করে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে জনগণের আস্থা অক্ষুণ্ণ রাখতে সক্ষম হয়েছে।
চড়া দামের কারণে নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত অনেক মানুষ পুরো এক কেজি মাংস কিনতে পারছে না। এমন ক্রেতাদের সুবিধার্থে এবার ২৫০ গ্রাম গরুর মাংসও বিক্রি হবে নওগাঁর পোরশায়। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ন্যায্যমূল্যের দোকানে গরুর মাংস বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ই ডিসেম্বর) সকাল আটটার দিকে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফ আদনান।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সহযোগিতায় ও জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আউয়ালের নির্দেশে ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস বিক্রির এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ সময় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে ইউ এন ও আরিফ আদনান বলেন, জেলা প্রশাসকের দিকনির্দেশনায় ন্যায্য মূল্যের মাংসের দোকান চালু করা হয়েছে । এই দোকানে প্রতি কেজি ৬০০ টাকা দরে ক্রেতাগণ কিনতে পারবেন এবং গরিব জনগণ ২৫০ গ্রাম থেকে গরুর মাংস কিনতে পারবেন বলে জানান ইউ এন ওআরিফ আদনান।