আজ (বুধবার) সকাল ৮টা ১০ মিনিটে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে রজনীগন্ধা নামে একটি ফেরি ডুবির ঘটনা ঘটেছে। জানা গেছে, নদীতে নোঙর করা অবস্থায় ফেরিটি ডুবে যায়। এর মাঝে বাল্কহেডের ধাক্কায় ফেরিটি ডুবে যাওয়ার খবর বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে উঠে আসলেও প্রত্যক্ষদর্শী জানান এমন কোন কিছু ঘটার খবর পাওয়া যায়নি।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “ঘন কুয়াশার কারণে ফেরিটি ঘাটের কাছাকাছি নোঙর করা ছিল। একটি ছোট মালবাহী জাহাজ ফেরিটিকে ধাক্কা দিলে সেটি ডুবে যায়। ফেরির সহকারী চালককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।”
প্রতিমন্ত্রী বলেন, রজনীগন্ধা-৭ একটি ইউটিলিটি টাইপ (ছোট) ফেরি। অন্তত পাঁচটি ছোট ট্রাক এবং দুটি বড় ট্রাক ওই ফেরিতে ছিল। ট্রাকের কর্মী ও ফেরির কর্মীরা ছাড়া আর কোনো যাত্রী ছিল বলে আমার কাছে এখন পর্যন্ত তথ্য নেই। সকলকে উদ্ধার করা হয়েছে, শুধু ফেরির চালকের সহকারীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।”
তবে ওই ফেরিতে থাকা এক ট্রাকের মালিক নাজমুল পাটুরিয়া ঘাটে সাংবাদিকদের বলেন, “কোনো বাল্কহেড ধাক্কা দেয়নি। নিচ দিয়ে পানি উঠে ডুবে গেছে। ট্রলারে করে লোকজন এসে আমাকেসহ কয়েকজনকে উদ্ধার করেছে।
আরেক ট্রাকের কর্মী শহিদুল ইসলাম বলেন, “ফেরিওলাদের গাফিলতিতে ফেরি ডুবছে। ঘাটের ২০০ মিটারের কাছে, তাও ডুবে গেছে। নিচ দিয়ে পানি উঠছিল, কাউকে তারা জানায়নি।”
ফায়ার সার্ভিসের কেন্দ্রীয় মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম জানান, “বুধবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাটে বিআইডব্লিউটিসির ফেরি রজনীগন্ধা-৭ ডুবে যাওয়ার খবর পান তারা।”
এরপর আরিচা ফায়ার স্টেশনের ডুবুরি ইউনিট সেখানে গিয়ে কাজ শুরু করে। ঢাকার সিদ্দিক বাজার থেকে আরো একটি ডুবুরি ইউনিট ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
আনোয়ারুল ইসলাম জানান, “ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা সেখানে ছয়জনকে জীবিত উদ্ধার করেছেন। তাৎক্ষণিকভাবে কারো মৃত্যুর তথ্য মেলেনি।”
তবে পাটুরিয়া ঘাটে বিআইডব্লিউটিসির এজিএম আব্দুস সালাম রোজকার খবরকে বলেছেন, “ওই ফেরিতে ট্রাক ছিল নয়টি। রাত ১টার দিকে দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে এলেও কুয়াশার কারণে পাটুরিয়া ঘাটে পৌঁছাতে না পেরে মাঝ নদীতে আটকে ছিল। সকালে আবার রওনা দিলেও ঘাটে পৌঁছানোর আগে দুর্ঘটনায় পড়ে।”
মানিকগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক আবদুল হামিদ মিয়া বলেন, “ফেরির একজন স্টাফ নিখোঁজ আছেন। তার খোঁজে তল্লাশি চলছে।”
এর আগে ২০২১ সালের ২৭ অক্টোবর সতেরটি ট্রাক, একটি প্রাইভেটকার ও আটটি মোটরসাইকেল নিয়ে দৌলতদিয়া ঘাটে ডুবে যায় রোরো ফেরি শাহজালাল।
রাজধানীর ধানমণ্ডির বিজিবি সীমান্ত সম্ভার শপিং কমপ্লেক্সের একটি স্বর্ণের দোকানে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. রুবেল (২৮), সফিক ওরফে সোহেল (৩৫) এবং সাদ্দাম হোসেন (৩১)। এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া ৫০ ভরি আট আনা স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, ধানমণ্ডি মডেল থানাধীন ‘ক্রাউন ডায়মন্ড এন্ড জুয়েলার্স’ শোরুমে গত ৩ জানুয়ারি বেলা ১টার দিকে চুরির ঘটনা ঘটে। চোরচক্র অভিনব পদ্ধতিতে শো-রুমের তালা ও সাটার কেটে মাত্র আট মিনিটের মধ্যে ১৫৯ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। দোকানের মালিক কাজী আকাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকারের আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়।
মামলার প্রেক্ষিতে ডিবি পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ৯ জানুয়ারি থেকে ডিবি পুলিশ ধারাবাহিক অভিযান চালায়। কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে প্রথমে মো. রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লার দেবীদ্বার থেকে সফিক ওরফে সোহেল এবং মুরাদনগর থেকে সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ২৮ ভরি ১৪ আনা আসল স্বর্ণ এবং ২১ ভরি ১০ আনা গলিত স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। ডিবি সূত্রে আরও জানা যায়, চুরির ঘটনায় জড়িত চক্রের অন্যান্য সদস্যদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেফতার ও অবশিষ্ট স্বর্ণ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ডিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান পিপিএম জানান, এই চক্র অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পরিকল্পনা করে চুরি সংঘটিত করে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে জনগণের আস্থা অক্ষুণ্ণ রাখতে সক্ষম হয়েছে।
চড়া দামের কারণে নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত অনেক মানুষ পুরো এক কেজি মাংস কিনতে পারছে না। এমন ক্রেতাদের সুবিধার্থে এবার ২৫০ গ্রাম গরুর মাংসও বিক্রি হবে নওগাঁর পোরশায়। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ন্যায্যমূল্যের দোকানে গরুর মাংস বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ই ডিসেম্বর) সকাল আটটার দিকে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফ আদনান।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সহযোগিতায় ও জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আউয়ালের নির্দেশে ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস বিক্রির এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ সময় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে ইউ এন ও আরিফ আদনান বলেন, জেলা প্রশাসকের দিকনির্দেশনায় ন্যায্য মূল্যের মাংসের দোকান চালু করা হয়েছে । এই দোকানে প্রতি কেজি ৬০০ টাকা দরে ক্রেতাগণ কিনতে পারবেন এবং গরিব জনগণ ২৫০ গ্রাম থেকে গরুর মাংস কিনতে পারবেন বলে জানান ইউ এন ওআরিফ আদনান।