দেশ

দেশ

বাগমারায় পুকুর খননের অনুমতি মেলে তুহিনকে চাঁদা দিলে!

রাজশাহীর বাগমারায় তুহিনকে চাঁদা দিলেই মেলে অবৈধ পুকুর খননের অনুমতি। শুধু পুকুর খনন না, বাগমারায় তুহিনকে চাঁদা দিলে আইন অমান্য করে অবৈধ যেকোনো কাজ করা যায় ।

রাজশাহী বাগমারা উপজেলার আউচপাড়া ইউনিয়নের হাটগাঙ্গোপাড়া খোদাপুর গ্রামে ২০ বিঘা ধানি জমিতে পুকুর খননের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিভিন্ন জায়গায় নিউজ হওয়ার পরে বাঘমারা থানার ওসি ও উপজেলা প্রশাসন সে কাজটি বন্ধ করে দেয়। ভেকুর ব্যাটারি জব্দ করেন থানা কর্তৃপক্ষ।

এরপর বাগমারার আউচপাড়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান সরদার জান মোহাম্মদের ছেলে তুহিন পুকুরের মালিক মিজানুর রহমানকে ফোন দিয়ে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এসময় মিজানুর রহমান বলেন তুহিনকে বলেন, আপনার লোকের সাথে আমার ২০ হাজার টাকার কথা হয়েছিল। তখন তুহিন বলেন, আপনি একজন শিল্পপতির ছেলে। ২০ হাজার টাকা দিয়ে আমি কী করবো? ১ লাখ টাকাই লাগবে। তবেই আপনি পুকুরের কাজ করতে পারবেন। আর আপনার ভেকুর সমস্ত কিছু উদ্ধার করে দেওয়া হবে। আরো বলেনি, আপনি একজন শিল্পপতির ছেলে। এই টাকা আপনার কাছে কোন ব্যাপারই না। এরপর পুকুর মালিক মিজানুর রহমানের সাথে তার ত্রিশ হাজার টাকা লেনদেনের সময় ও স্থান ঠিক করা হয়। সেই কল রেকর্ডের সকল তথ্য গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে এসে পৌঁছায়।

এই বিষয়ে পুকুর মালিক মিজানুর রহমানের সাথে মুঠো ফোনে কথা বললে তিনি জানান, এমন বিষয় আমার তো জানা নাই। গণমাধ্যম কর্মীর কাছে কল রেকর্ড আছে এই কথা বললে তিনি তুহিনের সাথে কথা বলতে বলে ফোন কেটে দেন।

সাবেক চেয়ারম্যান, আউচপাড়া ইউপির সরদার জান মোহাম্মদের ছেলে তুহিনকে ফোন করলে উনি বলেন, মিজানুর রহমান সাহেব আমাকে গিফট করতে চেয়েছে। গণমাধ্যম কর্মী যখন তাকে জানায় যে কল রেকর্ড তাদের কাছে আছে। তখন তিনি জানতে চান, কে আপনাকে এই রেকর্ডটা দিয়েছে এটা বলেন। গণমাধ্যম কর্মী সোর্স-এর নাম বলতে না চাওয়ায় তিনি ফোন কেটে দেন। এরপর সাবেক চেয়ারম্যানের ছেলে তুহিন বাগমারার অন্যান্য নেতাকর্মীকে দিয়ে ফোন করাতে শুরু করে হুমকি দেন এই প্রতিবেদককে।

বাগমারা থানার ওসি বলেন, গাড়ির সমস্ত কিছু আমরা জব্দ করেছি। যে যতই কথা বলুক কাজ তো শুরু হবে না। কারণ সেখানে পুকুর খনন হলে কৃষকরা অনেক বিপদগ্রস্ত হয়ে পড়বে। যদি কেউ বাগমারা থানার নাম করে চাঁদা বা যেকোনো অনৈতিক কাজ করে তার বিরুদ্ধে আমি অবশ্যই কঠোর ব্যবস্থা নিব।

বিষয়:
পরবর্তী খবর

৫০ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার

সীমান্ত সম্ভারে স্বর্ণের দোকানে চাঞ্চল্যকর চুরির রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার ৩

রাজধানীর ধানমণ্ডির বিজিবি সীমান্ত সম্ভার শপিং কমপ্লেক্সের একটি স্বর্ণের দোকানে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. রুবেল (২৮), সফিক ওরফে সোহেল (৩৫) এবং সাদ্দাম হোসেন (৩১)। এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া ৫০ ভরি আট আনা স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা।

ডিবি সূত্রে জানা যায়, ধানমণ্ডি মডেল থানাধীন ‘ক্রাউন ডায়মন্ড এন্ড জুয়েলার্স’ শোরুমে গত ৩ জানুয়ারি বেলা ১টার দিকে চুরির ঘটনা ঘটে। চোরচক্র অভিনব পদ্ধতিতে শো-রুমের তালা ও সাটার কেটে মাত্র আট মিনিটের মধ্যে ১৫৯ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। দোকানের মালিক কাজী আকাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকারের আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়।

মামলার প্রেক্ষিতে ডিবি পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ৯ জানুয়ারি থেকে ডিবি পুলিশ ধারাবাহিক অভিযান চালায়। কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে প্রথমে মো. রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লার দেবীদ্বার থেকে সফিক ওরফে সোহেল এবং মুরাদনগর থেকে সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ২৮ ভরি ১৪ আনা আসল স্বর্ণ এবং ২১ ভরি ১০ আনা গলিত স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। ডিবি সূত্রে আরও জানা যায়, চুরির ঘটনায় জড়িত চক্রের অন্যান্য সদস্যদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেফতার ও অবশিষ্ট স্বর্ণ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ডিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান পিপিএম জানান, এই চক্র অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পরিকল্পনা করে চুরি সংঘটিত করে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে জনগণের আস্থা অক্ষুণ্ণ রাখতে সক্ষম হয়েছে।

বিষয়:
পরবর্তী খবর

পোরশায় ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস, কেনা যাবে ২৫০ গ্রাম

চড়া দামের কারণে নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত অনেক মানুষ পুরো এক কেজি মাংস কিনতে পারছে না। এমন ক্রেতাদের সুবিধার্থে এবার ২৫০ গ্রাম গরুর মাংসও বিক্রি হবে নওগাঁর পোরশায়। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ন্যায্যমূল্যের দোকানে গরুর মাংস বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৩ই ডিসেম্বর) সকাল আটটার দিকে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফ আদনান।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সহযোগিতায় ও জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আউয়ালের নির্দেশে ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস বিক্রির এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এ সময় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।

এ প্রসঙ্গে ইউ এন ও আরিফ আদনান বলেন, জেলা প্রশাসকের দিকনির্দেশনায় ন্যায্য মূল্যের মাংসের দোকান চালু করা হয়েছে । এই দোকানে প্রতি কেজি ৬০০ টাকা দরে ক্রেতাগণ কিনতে পারবেন এবং গরিব জনগণ ২৫০ গ্রাম থেকে গরুর মাংস কিনতে পারবেন বলে জানান ইউ এন ওআরিফ আদনান।

বিষয়:
সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত