নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের দাউদপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িত ৪৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে ভুক্তভোগী প্রাণনাশের হুমকিতে ঘটনার মূলহোতা দুইজনের নাম মামলার এজাহারে উল্লেখ করেননি। বুধবার রাতে ভুক্তভোগী দাউদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম ওরফে জাহাঙ্গীর মাস্টার বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় মামলার এজাহার দায়ের করেন। বৃহস্পতিবার রূপগঞ্জ থানার ওসি দীপঙ্কর চন্দ্র সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, বুধবার রাতে ইউপি পরিষদের হামলার ঘটনা ৪৪ জনের নাম উল্লেখ করে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ২১। মামলাটি তদন্তাদীন রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি বলে জানান তিনি।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে দুই ঘন্টাব্যাপী ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর মাস্টারের গাড়িসহ অন্তত পাঁচটি গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এমনকি চেয়ারম্যান কার্যালয়ে থাকা বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবিও ভাঙচুর করে মেঝেতে ফেলে রাখা হয়। ভাঙ্গা হয় কয়েকটি কক্ষের দরজা ও জানালা, এসি। এ সময় অফিসের গোডাউনে থাকা চার বস্তা সরকারি চাল ও তিন বস্তা কম্বল নিয়ে যায় হামলাকারীরা। সিসি টিভি ভাঙচুর করে যন্ত্রাংশগুলো নিয়ে যায় তারা। এ হামলায় চেয়ারম্যানসহ ২০ জনের মতো আহত হন। এছাড়া ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে সব মিলিয়ে কোটি টাকার বেশি আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর মাস্টারের অভিযোগ, স্বতন্ত্র প্রার্থী (কেটলি) শাহজাহান ভুইয়ার পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালান তিনি। সেই ক্ষোভ থেকে রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল এবং তাঁর ভাই মিজানের ভাড়াটে ক্যাডাররা এই হামলা চালিয়েছে।
এদিকে সন্ধ্যার দিকে চেয়ারম্যানের দায়েরকৃত মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (পরিদর্শক ইন্টিলিজেন্ট) মো. জিল্লুর রহমান বলেন, বেআইনিভাবে জনসমাগম, জখম, হামলা ও অগ্নিসংযোগের সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা হয়েছে। ওসি তদন্ত জুবায়ের আহমেদসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাচ্ছি। তদন্ত শেষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
দাউদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম ওরফে জাহাঙ্গীর মাস্টার জানান, রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিক ও মিজানের নেতৃত্বে আব্দুস সাত্তার, রফিকুল ইসলাম, সোহেলসহ দুই শতাধিক লোক এ হামলা চালিয়েছে। এমন ৪৪ জনকে শনাক্ত করে নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছি। এখনো এলাকার ত্রাস (রফিক ও মিজান) নানাভাবে লোক মারফতে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য ভুক্তভোগীরা বলছেন, রফিক ও তার সন্ত্রাসী ভাই মিজান সরাসরি উপস্থিত না থেকে নির্দেশনা দেন, সেভাবে তাদের ক্যাডাররা এ হামলা চালিয়েছে। মূলত হামলা চালানোর সময়ে কারো ধারণকৃত ভিডিওতে যেন তারা না আসেন, সেজন্য আড়ালে থেকে এ নির্দেশনা দেন।
ঘটনার মূলহোতা রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ও তার ভাই মিজানকে কেন মামলার আসামি উল্লেখ করেননি এমন প্রশ্নে ভুক্তভোগী চেয়ারম্যান বলেন, তাকে আসামি করলে আমাকে প্রাণে মেরে ফেলবে। তাই ভয়ে-আতঙ্কে আসামি করিনি। এমনিতে ঘটনার পর থেকে তাদের হুমকিতে প্রাণনাশের ভয়ে আতঙ্কে আছি।
রাজধানীর ধানমণ্ডির বিজিবি সীমান্ত সম্ভার শপিং কমপ্লেক্সের একটি স্বর্ণের দোকানে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. রুবেল (২৮), সফিক ওরফে সোহেল (৩৫) এবং সাদ্দাম হোসেন (৩১)। এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া ৫০ ভরি আট আনা স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, ধানমণ্ডি মডেল থানাধীন ‘ক্রাউন ডায়মন্ড এন্ড জুয়েলার্স’ শোরুমে গত ৩ জানুয়ারি বেলা ১টার দিকে চুরির ঘটনা ঘটে। চোরচক্র অভিনব পদ্ধতিতে শো-রুমের তালা ও সাটার কেটে মাত্র আট মিনিটের মধ্যে ১৫৯ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। দোকানের মালিক কাজী আকাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকারের আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়।
মামলার প্রেক্ষিতে ডিবি পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ৯ জানুয়ারি থেকে ডিবি পুলিশ ধারাবাহিক অভিযান চালায়। কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে প্রথমে মো. রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লার দেবীদ্বার থেকে সফিক ওরফে সোহেল এবং মুরাদনগর থেকে সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ২৮ ভরি ১৪ আনা আসল স্বর্ণ এবং ২১ ভরি ১০ আনা গলিত স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। ডিবি সূত্রে আরও জানা যায়, চুরির ঘটনায় জড়িত চক্রের অন্যান্য সদস্যদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেফতার ও অবশিষ্ট স্বর্ণ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ডিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান পিপিএম জানান, এই চক্র অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পরিকল্পনা করে চুরি সংঘটিত করে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে জনগণের আস্থা অক্ষুণ্ণ রাখতে সক্ষম হয়েছে।
চড়া দামের কারণে নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত অনেক মানুষ পুরো এক কেজি মাংস কিনতে পারছে না। এমন ক্রেতাদের সুবিধার্থে এবার ২৫০ গ্রাম গরুর মাংসও বিক্রি হবে নওগাঁর পোরশায়। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ন্যায্যমূল্যের দোকানে গরুর মাংস বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ই ডিসেম্বর) সকাল আটটার দিকে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফ আদনান।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সহযোগিতায় ও জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আউয়ালের নির্দেশে ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস বিক্রির এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ সময় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে ইউ এন ও আরিফ আদনান বলেন, জেলা প্রশাসকের দিকনির্দেশনায় ন্যায্য মূল্যের মাংসের দোকান চালু করা হয়েছে । এই দোকানে প্রতি কেজি ৬০০ টাকা দরে ক্রেতাগণ কিনতে পারবেন এবং গরিব জনগণ ২৫০ গ্রাম থেকে গরুর মাংস কিনতে পারবেন বলে জানান ইউ এন ওআরিফ আদনান।