দেশ

দেশ

সাতক্ষীরায় সরিষার বাম্পার ফলনেও অর্জিত হয়নি লক্ষ্যমাত্রা

সাতক্ষীরায় চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সরিষার বাম্পার ফলন ও দাম ভালো হলেও অর্জিত হয়নি লক্ষ্যমাত্রা। তবে এবছর সরিষা ক্ষেত থেকে প্রায় সাড়ে ৯ সহস্রাধিক মণ মধু সংগৃহীত হয়েছে বলে দাবি করেছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (খামার বাড়ি)।

সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (খামার বাড়ি) থেকে জানা যায়, চলতি ২০২৩-২৪ মৌসুমে জেলায় সাতটি উপজেলায় সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৯ হাজার ১৫০ হেক্টর জমি। সে অনুযায়ী চাষ হয়েছে আট হাজার ৪০৫ হেক্টর জমিতে।সদর উপজেলায় আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় তিন হাজার ৪৬০ হেক্টর জমি, অর্জিত হয় দুই হাজার ৮২৫ হেক্টর জমি।কলারোয়া উপজেলায় আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় তিন হাজার ৪৭৫ হেক্টর জমি, চাষ হয় তিন হাজার ৩৭০ হেক্টর জমিতে। তালা উপজেলায় আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৪১০ হেক্টর জমিতে, চাষ হয় ৫৬০ হেক্টর জমিতে। দেবহাটা উপজেলায় আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় এক হাজার ১২৫ হেক্টর, চাষ হয় এক হাজার একশ হেক্টর জমিতে। কালীগঞ্জ উপজেলায় আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৪১০ হেক্টর জমি, অর্জিত হয় ৩১০ হেক্টর জমি। আশাশুনি উপজেলায় আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ২২০ হেক্টর জমি, অর্জিত হয় ২১০ হেক্টর জমি এবং শ্যামনগর উপজেলায় আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৫০ হেক্টর জমি, অর্জিত হয় ৪০ হেক্টর জমি।

সাতক্ষীরার সদর উপজেলার সরিষা চাষি আতাউর রহমান জানান, গত বছর তিন বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছিলাম। আর এবার পাঁচ বিঘা জমিতে আবাদ করেছি। গত বছর সরিষা আবাদ করতে প্রতি বিঘায় খরচ হয়েছিল সাড়ে চার হাজার টাকা। গতবারের তলুনায় এবার খরচ একটু বেশি হলেও সব খরচ বাদ দিয়ে তার ২৫ হাজার টাকা মতো লাভ হবে বলে তিনি আশা করছেন।

সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহসিন আলী জানান, সরিষা ক্ষেতের পাশে মৌমাছির বক্স স্থাপন করা হলে পরাগায়ণ হয় অনেক বেশি। এতে স্বাভাবিকের চেয়ে ২৫-৩০ শতাংশ সরিষা উৎপাদন বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। এবার এক হাজার ৩০০ হেক্টর সরিষা জমি মৌ বাক্সের আওতায় আনা হয়েছে। এসব ক্ষেতের পাশে স্থাপন করা হয় দুই হাজার ৩৩০টি মৌ বাক্স। আর এ থেকে চলতি মৌসুমে প্রায় ৯ হাজার ২০০ মণ মধু উৎপাদিত হয়েছে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। উন্নতমানের বীজ ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ সহয়তা দিতে পারলে সরিষা চাষে কৃষক অনেক বেশি লাভবান হবেন।

সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের (খামার বাড়ি) উপ-পরিচালক আবদুল মান্নান জানান, চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সরিষার ফলন ভালো হয়েছে। এতে তুলনামূলকভাবে চাষিরা লাভবান হবেন। এবছর কৃষকদের সরিষা চাষে আগ্রহ বাড়াতে প্রয়োজনীয় সকল পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। সরকারি লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হলেও জেলায় সরিষার ফলন ভালো হয়েছে। দামও ছিল অনেক ভালো।

বিষয়:
পরবর্তী খবর

৫০ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার

সীমান্ত সম্ভারে স্বর্ণের দোকানে চাঞ্চল্যকর চুরির রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার ৩

রাজধানীর ধানমণ্ডির বিজিবি সীমান্ত সম্ভার শপিং কমপ্লেক্সের একটি স্বর্ণের দোকানে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. রুবেল (২৮), সফিক ওরফে সোহেল (৩৫) এবং সাদ্দাম হোসেন (৩১)। এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া ৫০ ভরি আট আনা স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা।

ডিবি সূত্রে জানা যায়, ধানমণ্ডি মডেল থানাধীন ‘ক্রাউন ডায়মন্ড এন্ড জুয়েলার্স’ শোরুমে গত ৩ জানুয়ারি বেলা ১টার দিকে চুরির ঘটনা ঘটে। চোরচক্র অভিনব পদ্ধতিতে শো-রুমের তালা ও সাটার কেটে মাত্র আট মিনিটের মধ্যে ১৫৯ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। দোকানের মালিক কাজী আকাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকারের আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়।

মামলার প্রেক্ষিতে ডিবি পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ৯ জানুয়ারি থেকে ডিবি পুলিশ ধারাবাহিক অভিযান চালায়। কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে প্রথমে মো. রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লার দেবীদ্বার থেকে সফিক ওরফে সোহেল এবং মুরাদনগর থেকে সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ২৮ ভরি ১৪ আনা আসল স্বর্ণ এবং ২১ ভরি ১০ আনা গলিত স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। ডিবি সূত্রে আরও জানা যায়, চুরির ঘটনায় জড়িত চক্রের অন্যান্য সদস্যদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেফতার ও অবশিষ্ট স্বর্ণ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ডিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান পিপিএম জানান, এই চক্র অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পরিকল্পনা করে চুরি সংঘটিত করে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে জনগণের আস্থা অক্ষুণ্ণ রাখতে সক্ষম হয়েছে।

বিষয়:
পরবর্তী খবর

পোরশায় ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস, কেনা যাবে ২৫০ গ্রাম

চড়া দামের কারণে নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত অনেক মানুষ পুরো এক কেজি মাংস কিনতে পারছে না। এমন ক্রেতাদের সুবিধার্থে এবার ২৫০ গ্রাম গরুর মাংসও বিক্রি হবে নওগাঁর পোরশায়। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ন্যায্যমূল্যের দোকানে গরুর মাংস বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৩ই ডিসেম্বর) সকাল আটটার দিকে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফ আদনান।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সহযোগিতায় ও জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আউয়ালের নির্দেশে ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস বিক্রির এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এ সময় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।

এ প্রসঙ্গে ইউ এন ও আরিফ আদনান বলেন, জেলা প্রশাসকের দিকনির্দেশনায় ন্যায্য মূল্যের মাংসের দোকান চালু করা হয়েছে । এই দোকানে প্রতি কেজি ৬০০ টাকা দরে ক্রেতাগণ কিনতে পারবেন এবং গরিব জনগণ ২৫০ গ্রাম থেকে গরুর মাংস কিনতে পারবেন বলে জানান ইউ এন ওআরিফ আদনান।

বিষয়:
সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত